দৈনিক প্রবাহবার্তা বিনোদন প্রতিবেদক : একবিংশ ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব এ “শর্ট এ্যান্ড ইন্ডিপেন্ডেন্ট – কম্পিটিশন ” বিভাগে প্রদর্শিত হল তরুণ চলচ্চিত্র নির্মাতা মৃত্তিকা রাশেদ এর চলচ্চিত্র “কৃষ্ণপক্ষ – A Burning Soul”। পরিচালক গল্পে দেখিয়েছেন- ফিল্ম জর্নালিস্ট রাশেদ সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশের সিনেমা হলের বর্তমান অবস্থা নিয়ে একটি আর্টিকেল লিখবেন। এ কারণে বিভিন্ন টিভি চ্যানেল ও পত্রিকায় প্রকাশিত খবর সে সংগ্রহ করতে থাকে। এক সময় তিনি অনুধাবন করতে পারেন সিনেমা হল গুলোর করুন পরিস্থিতি। ফলস্বরূপ তার মনস্তাত্ত্বিক জগতে ঘটতে থাকে অবর্ণনীয় যন্ত্রণা।চলচ্চিত্রটি সম্পর্কে নির্মাতা মৃত্তিকা রাশেদ বলেন – ” ‘কৃষ্ণপক্ষ’ একজন সিনেমা প্রেমী মানুষের গল্প, তার মনস্তাত্ত্বিক জগতের গল্প, যেখানে ঘুরপাক খাচ্ছে একটি রাষ্ট্রিয় সংকট। আমি কিছু অনুভূতি ব্যক্ত করার চেষ্টা করেছি থ্রু ক্যামেরা এ্যান্ড লেন্স। এই অনুভূতির ভিজ্যুয়ালাইজেশন সিনেমা হয়ে উঠেছে কি না তা দর্শক বিবেচনা করবেন।”চলচ্চিত্রটি দেখে বিশিষ্ট আবৃত্তিকার শামসুদ্দোহা বলেছেন – যারা সৃষ্টি করে তাদের কিন্তু অনেকগুলো মাধ্যম রয়েছে। কবি-সাহিত্যিকেরা সৃষ্টি করে বইয়ের মাধ্যমে প্রকাশিত হয় এবং পাঠক হিসেবে আমরা পড়ি। আবার সৃষ্টিশীল একটা জেনারেশন রয়েছে, তারা চায় তাদের সৃষ্টিগুলোকে ভিজ্যুয়ালাইজেশন করে মানুষকে দেখাবে।আজ এখানে আমি ৭-৮ টি ছবি দেখলাম। এই নতুন জেনারেশন এর যে টেনশন – জীবন নিয়ে বা নিজের ইচ্ছে গুলো ছড়িয়ে দেয়ার সেই জায়গা থেকে কৃষ্ণপক্ষ চলচ্চিত্রটি বেশ ভালো লেগেছে। এবং মনে হয়েছে আসলেই তো নব্বই দশকে দেড় হাজার সিনেমা হল ছিল সেখানে বর্তমানে চালু রয়েছে ১৫০টির মতো। এটা কেন হল? আমি মনে করি যে সরকারের ব্যর্থতার থেকেও বেশি ব্যর্থতা হল আমরা মানুষ গুলোই কেমন যেন হয়ে গেছি। আমরা একটা সেলফোনে নিজেদের বন্দি করে রেখেছি। দর্শক হিসেবে আমাদের উচিত সপ্তাহে অন্তত একটি ছবি দেখা। তাতে নির্মাতারাও অনুপ্রাণিত হবে, লগ্নিকারকেরাও অনুপ্রাণিত হবে এবং আবারও একদিন হলের সংখ্যা বেড়ে যাবে। সেটাই প্রত্যাশা করি।