দৈনিক প্রবাহবার্তা প্রতিবেদন : বিসিএস ব্যতীত সরকারি চাকরিতে সরাসরি নিয়োগের লক্ষ্যে প্রার্থীদের সর্বোচ্চ বয়সসীমায় ৩৯ মাস ছাড় দিয়েছে সরকার। যাদের বয়স ২০২০ সালের ২৫ মার্চ শেষ হয়েছে তারা আগামী ২০২৩ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত প্রকাশিতব্য বিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করতে পারবেন। আজ বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হয়। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দপ্তরের একটি সূত্র কালের কণ্ঠকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নির্দেশনায় বলা হয়, যে সকল মন্ত্রণালয়বিভাগ ও এর অধীন অধিদপ্তরপরিদপ্তর দপ্তর এবং সংবিধিবদ্ধ স্বায়ত্তশাসিত জাতীয়কৃত প্রতিষ্ঠানসমূহ বিভিন্ন ক্যাটাগরির সরকারি চাকরিতে (বিসিএস ব্যতীত) সরাসরি নিয়োগের লক্ষ্যে কভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে পারেনি, সে সকল দপ্তর প্রতিষ্ঠানের ২০২৩ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত প্রকাশিতবা বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত পদে আবেদনের ক্ষেত্রে প্রার্থীদের বয়স ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সর্বোচ্চ বয়সসীমার মধ্যে থাকলে উক্ত প্রার্থীরা আবেদন করার সুযোগ পাবেন।
উল্লিখিত বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিব, সিনিয়র সচিবকে অনুরোধ করা হয়েছে।
তবে চাকরিপ্রার্থীরা ৩০ বছরের পরিবর্তে আবেদনের বয়স ৩৫ করার দাবি জানিয়ে আসছেন।
করোনা মহামারির প্রথম দফায় সাধারণ ছুটির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত চাকরিপ্রার্থীদের বয়সের ক্ষেত্রে ছাড় দেয় সরকার। তখন গত বছরের ২৫ মার্চের পর যাদের বয়স ৩০ বছর পূর্ণ হয়েছিল তাদের পরবর্তী ৫ মাস, অর্থাৎ আগস্ট পর্যন্ত সরকারি চাকরিতে আবেদনের সুযোগ দেওয়া হয়। কিন্তু এরপর করোনার নতুন ঢেউ এলে ফের লকডাউন দেয় সরকার। এরপর গত বছরের (২০২১) ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অর্থাৎ ২১ মাস বয়সের ছাড় পান সরকারি চাকরিপ্রার্থীরা। এরপরও বাগে আসেনি করোনা সংক্রমণ। বিধিনিষেধের মধ্য দিয়ে গেছে অনেকটা সময়।
করোনা মহামারি বেকারত্ব আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। কয়েক লাখ চাকরিপ্রার্থীর ন্যূনতম বয়স লকডাউনের মধ্যে চলে গেছে বলে জানিয়েছেন চাকরিপ্রার্থীদের বয়স বাড়ানোর আন্দোলন করা সংগঠনগুলো।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। পরিস্থিতি ক্রমেই অবনতির দিকে যেতে থাকলে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করে সরকার। এরপর দফায় দফায় ছুটি বাড়তে থাকে। ওই বছরের ৩০ মে পর্যন্ত টানা ৬৬ দিন সাধারণ ছুটি ছিল।