আমিনুল ইসলাম বাবু : বৃহস্পতি বার ১লা জুন অপরাহ্নে উত্তরা ফাইন্যান্স এন্ড ইনভেষ্টমেন্ট লিমিটেডের ৪১ কোটি ৪৭ লক্ষ ৪৮ হাজার টাকা আত্মসাৎ এর দায়ে গ্রেফতার করা হয়েছে মর্মে দুদক নিশ্চিত করেছে।
প্রয়াত উত্তম কুমার সাহা(নবগঙ্গা ট্রেডিং এন্টারপ্রাইজ লিঃ এর প্রাক্তন চেয়ারম্যান) এবং উত্তরা ফাইন্যান্স এন্ড ইনভেষ্টমেন্ট লিঃ এর সাবেক এমডি এস এম শামসুল আরেফিন গণ অসৎ উদ্দেশ্যে সুপরিকল্পিতভাবে প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাতের উদ্দেশ্যে উল্লিখিত অর্থ ট্রান্সফারের বিষয়টি বোর্ডে উপস্থাপন না করে ও বোর্ডের কোন প্রকার অনুমোদন ব্যতিত অবৈধভাবে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে তাদের নিজ নামে এবং তার পরিবারের সদস্যদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট হিসাবে স্থানান্তর করা হয়।
অর্থ আত্মসাৎ কান্ডে, অসৎ উদ্দেশ্যে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য ক্ষমতার অপব্যবহারপূর্বক একে অপরের সহায়তায় প্রতারণার আশ্রয়ে অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ করে অবৈধ উপায়ে উত্তরা ফাইন্যান্স এন্ড ইনভেষ্টমেন্ট লিমিটেড-এ ঋণ গ্রহনের নিমিত্ত কোন ধরণের রেকর্ডপত্র জমা না দিয়ে, বোর্ডে উপস্থাপন না করে এবং বোর্ডের কোন প্রকার অনুমোদন ব্যতিত মোট ৪১ কোটি ৪৭ লক্ষ ৪৮ হাজার টাকা নবগঙ্গা ট্রেডিং লিমিটেড এর হিসাবে স্থানান্তর করে আত্মসাৎ এবং পরবর্তীতে বিভিন্ন লেয়ারিং এর মাধ্যমে উক্ত অর্থ তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে অবস্থান গোপনপূর্বক পাচার করার অপরাধ প্রাপ্ত রেকর্ডদৃষ্টে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ১) এস এম শামসুল আরেফীন (৬২), সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক, উত্তরা ফাইন্যান্স এন্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড, ২) শংকর কুমার সাহা (৫৭), ব্যবস্থাপনা পরিচালক, নবগঙ্গা ট্রেডিং এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড, ৩) শম্পা রাণী সাহা (৪৫), স্বামী- প্রয়াত উত্তম কুমার সাহা গণের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/১০৯ ধারা ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ধারায় একটি মামলা রুজু করা হয় যাহার মামলা নম্বর ০৮ তাং ১৬/০৪/২০২৩। দুদকের উপপরিচালক, মোঃ আহসানুল কবীর পলাশ বাদী হয়ে, এই মামলাটি দুদকের পক্ষে দায়ের করেন।
দুদকের উপপরিচালক, মোঃ আহসানুল কবীর পলাশ নিকট এই মামলাটি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গত বছরের সেপ্টেম্বরে উত্তরা ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড থেকে প্রতিষ্ঠানটির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামসুল আরেফীনের পাসপোর্ট জব্দ করতে অনুরোধ জানিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) একটি চিঠি পাঠানো হয়। মূলত অর্থ আত্মসাতে সংশ্লিষ্টতার কারণে তিনি যেকোনো সময় পালিয়ে যেতে পারেন, এমন আশঙ্কা থেকেই চিঠিটি পাঠানো হয়েছিল। আমরা এরই প্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু করি এবং এস এম শামসুল আরেফিনকে এমডি পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া সহ তাহার পাসপোর্ট জব্দ করা হয়। তদন্ত কালে স্বাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়ায় মামলা করি এবং আজ আমরা এস এম শামসুল আরেফীন (৬২) ও শংকর কুমার সাহা (৫৭) নামীয় দুজন এজাহার ভূক্ত আসামী গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়েছি।