দৈনিক প্রবাহবার্তা ডেস্ক : টেস্ট ম্যাচে কোনো দল যদি দুই ইনিংস মিলিয়ে প্রতিপক্ষের এক ইনিংসের সমান রান করতে না পারে তাহলে বলা হয় ইনিংস পরাজয়। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে সাকিব আল হাসান এবং মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা যে বিশাল অঙ্কের ভোটের ব্যবধানে নিজ নিজ আসনে জয়ী হয়েছেন, তাতে করে বলাই যায় যে ভোটের মাঠেও তারা জিতেছেন ইনিংস ব্যবধানে।
প্রথমবারের মতো সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন সাকিব। মাগুরা-১ সংসদীয় আসন থেকে আওয়ামী লিগের হয়ে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। আসনের সর্বমোট ভোটারের সংখ্যা ৪ লাখ ৪৯১। প্রার্থী ছিলেন পাঁচজন। বেসরকারি ফলাফল অনুযায়ী ভোট প্রদানের হার ৪২ শতাংশ। ১৫২টি কেন্দ্রে সাকিব পেয়েছেন ১ লাখ ৮৫ হাজার ৩৮৮টি। সাকিবের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ কংগ্রেসের অ্যাডভোকেট কাজী রেজাউল হাসান পেয়েছেন মাত্র ৫ হাজার ৯৭৩ ভোট। বিপুল এই ব্যবধানই বলে দেয়, সাকিব একা যত ভোট পেয়েছেন বিপক্ষের সবাই মিলেও তত ভোট পাননি। তাই খেলার মাঠের পর রাজনীতির মাঠেও যে প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকিয়েছেন সাকিব এ কথা বলাই যায়। মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা নড়াইল ২ আসনে পেয়েছেন ১ লাখ ৮৯ হাজার ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পেয়েছেন ৪ হাজার।
জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক দুই অধিনায়ক বড় ব্যবধানে জিতে সংসদে আসতে পারলেও আসতে পারছেন না জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আরিফ খান জয়। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ঈগল প্রতীকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন নেত্রকোনা-২ আসনে। পেয়েছেন ৮৬ হাজার ২৮৭ ভোট। আওয়ামী লীগের প্রার্থী আশরাফ আলী খান খসরু ১ লাখ ৫ হাজার ৩৫৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
বিসিবির প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপন জিতেছেন বড় ব্যবধানে। কিশোরগঞ্জ-৬ আসনে পেয়েছেন ১ লাখ ৯৮ হাজার ১৫৫ ভোট। প্রথমবারের মতো সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে সাংসদ হতে যাচ্ছেন আরেক বিসিবি পরিচালক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল। মৌলভীবাজার-২ আসনে নাদেল পেয়েছেন ৭২ হাজার ৭১৮ ভোট। এ ছাড়া আবাহনী লিমিটেডের ডিরেক্টর ইনচার্জ কাজী নাবিল আহমেদ ১ লাখ ২১ হাজার ৭২০ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন।