সিংগাইরে করোনা আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু- ১

সিংগাইরে করোনা আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু- ১

মো.রকিবুল হাসান বিশ্বাস(মানিকগঞ্জ):
মানিকগঞ্জের সিংগাইরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মো.ইউনুছ আলী (৬০) নামের এক ব্যক্তি
মারা গেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। আজ বৃহস্পতিবার(৪ জুন) ভোর ৫ টায় উপজেলার সিংগাইর পৌরসভা ৩ নং
ওয়ার্ডের আজিমপুর গ্রামের নিজ বাড়িতে এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা রুনা লায়লার নির্দেশে নিয়ম মেনে সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে সিংগাইর বাসষ্ট্যান্ড সংলগ্ন কবরস্থানে তাকে
দাফন করা হয়।স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়,ইউনুছ আলী সিংগাইর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে হেডক্লার্ক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
তার ছেলে মো.আব্দুল কাদের ওরফে সাদ্দাম (২৮) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আউটসোর্সসিং ওয়ার্ড বয় হিসেবে কর্তব্যরত অবস্থায় করোনা
উপসর্গ দেখা দিলে করোনা নমুনা দেয় হাসপাতালে। ঈদের আগে বুধবার (২০ মে) রিপোর্টে করোনা পজেটিভ আসে। পরে আব্দুল কাদের ওরফে সাদ্দাম মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়ে আইসোলেশনে
থাকে এবং বাড়ি লকডাউন করে দেয় প্রশাসন। এ দিকে কাদেরের সংস্পর্শে পরিবারের অন্য সদস্যদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ঢাকা
পাঠায়। রবিবার (২৪ মে) পরীক্ষার রিপোর্টে পরিবারের অন্য সদস্যদের করোনা নেগেটিভ হলেও আব্দুল কাদেরের পিতা-ইউনুছ আলীর করোনা
পজেটিভ আসে। তারপর তাকে বাড়িতেই আইসোলেশনে রাখা হয়। আইসোলেশনে থাকা অবস্থায় আজ বৃহস্পতিবার ভোর রাতে তার মৃত্যু
হয়। তার মৃত্যুর খবরে এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে।এ সময় স্থানীয়
সেচ্ছাসেবী মো.সাগর খান তার সহযোগীদের নিয়ে কবর খুড়ে ও উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা রুনা লায়লা নির্দেশে পৌর মেয়র এড্ মো.খোরশেদ আলম ভূইয়া জয় এবং প্যানেল মেয়র মো.সমেজউদ্দিনের
উপস্থিতিতে সরকারি নিয়ম মেনে জানাযা শেষে দাফনের কাজ সম্পূর্ন করেছেন বলে জানা গেছে।

Please Share This Post in Your Social Media

শিল্প-সংস্কৃতির প্রতি অসম্ভব ভালোবাসা ছিলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের। এ ভালোবাসা থেকেই বঙ্গবন্ধু যখন প্রাদেশিক সরকারের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী ছিলেন তখন ১৯৫৭ সালের ৩ এপ্রিল তার দূরদর্শিতায় চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন প্রতিষ্ঠার বিল আনা হয়। প্রতিষ্ঠিত হয় আজকের বাংলাদেশে চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (এফডিসি)।

সিনেমা অঙ্গনকে ভালোবেসে এদেশের চলচ্চিত্রের উন্নয়নে আমৃত্যু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, তিনি নিজেও সিনেমাতে অভিনয় করেছেন। বঙ্গবন্ধু অভিনীত সিনেমাটির নাম ‘সংগ্রাম’। ছবিটি পরিচালনা করেন প্রয়াত নির্মাতা চাষী নজরুল ইসলাম।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক চলচ্চিত্র ‘সংগ্রাম’। এতে ছোট্ট এক ভূমিকায় হাজির হয়েছিলেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ এই বাঙালি। সে সময়ের চিত্রনায়ক কামরুল আলম খান খসরু ও চাষী নজরুল ইসলামের অনুরোধে ছোট্ট ওই চরিত্রে অভিনয়ে রাজি হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু।

ছবির চিত্রনাট্যের শেষ দিকে ছিল, মুক্তিযুদ্ধের পর সদ্য স্বাধীন দেশের সামরিক বাহিনী বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের নায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে স্যালুট করছে। এই দৃশ্য কীভাবে ধারণ করা যায় সে নিয়ে চিন্তায় পড়েছিলেন পরিচালক চাষী নজরুল ইসলাম। একপ্রকার দুঃসাহস নিয়ে বঙ্গবন্ধুকে ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব দিয়ে বসেন ছবিটির নায়ক খসরু। কিন্তু বঙ্গবন্ধু প্রথমে রাজি হননি। পরে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মান্নানকে দিয়ে সুপারিশ করিয়ে অভিনয়ের জন্য তাকে রাজি করানো হয়।

‘সংগ্রাম’ ছবিটিতে নাযক ছিলেন খসরু আর নায়িকা সূচন্দা। ছবিটি ১৯৭৪ সালে মুক্তি পায়।

বঙ্গবন্ধু যে চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন