যে যেটা হতে চাও সেটাই হবে যদি হতে চাও-লক্ষ্মীপুরে নিক্বণের কর্মশালায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নূর-এ-আলম

যে যেটা হতে চাও সেটাই হবে যদি হতে চাও-লক্ষ্মীপুরে নিক্বণের কর্মশালায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নূর-এ-আলম

 স্টাফ রিপোর্টার : লক্ষ্মীপুর জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ নূর-এ-আলাম একটি কর্মশালার প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশ্য করে বলেন,যে যেটা হতে চাও সেটাই হবে যদি হতে চাও। তুমি হতে চাও কিনা সেটা বড় কথা। সমাজে কেউ কাউকে কিছু করে দিবেনা। নিজের পথ নিজেকেই ঠিক করে নিতে হবে। গত শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে লক্ষ্মীপুর কালেক্টরেমট স্কুলে নিক্বণ সাংস্কৃতিক সংসদ আয়োজিত সাংস্কৃতিক ও জীবনদক্ষতামূলক কর্মশালার সমাপনী ও সনদ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রশিক্ষণার্থী দের উদ্দেশ্য করে তিনি এসব কথা বলেন। প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশ্যে এ সময় তিনি আরও বলেন, স্বপ্নপূরণে সঠিক পথ নির্ণয় করতে হবে। যে নিজের স্বপ্নের পথ ঠিক করে স্বপ্ন বাস্তবায়নে পন করে তাকে কেউ দমিয়ে রাখতে পারেনা।শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন,জীবনে যাই হতে চাও মূল পড়ালেখা। স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য পড়ালেখার সময় ঠিকভাবে পড়ালেখা করতে হবে। পড়ালেখার সময় পড়ালেখায় ফাঁকি দিলে স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথ থেকে পিছলে পড়তে হয়। স্বপ্ন বাস্তবায়ন না হলে হাজার বছর হাঁটলেও কোন কাজ হবেনা। নিক্বণ সাংস্কৃতিক সংসদ এর সভাপতি মু. নাহিদ এর সভাপতিত্বে এ সময় বক্তব্য প্রদান করেন,বিবর্তন থিয়েটার এর সভাপতি সংস্কৃতি কর্মী টিঙ্কু রঞ্জন মল্লিক,লক্ষ্মীপুর জেলা সম্মিলিত স্বেচ্ছাসেবী পরিবার এর সাধারণ সম্পাদক তকীউদ্দিন মুহাম্মদ আকরাম,সংস্কৃতি কর্মী লিটন কুমার দে। সঞ্চালনায় ছিলেন,সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক চিত্রশিল্পী অপু চন্দ্র দাস। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন,সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক ইসমাইল খান সুজন,তারকা বিতার্কিক নূর সায়মা ও মো. বখতিয়ার আশিক। ২৪ ও ২৫ ফেব্রুয়ারি দুই দিনব্যাপী এ কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়। নিক্বণ সাংস্কৃতিক সংসদ তাদের সদস্যদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ প্রদানের পাশাপাশি স্কুল-কলেজ-মাদরাসার শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রতি বছর সাংস্কৃতিক ও ক্যারিয়ার ভিত্তিক এ কর্মশালাটি আয়োজন করে। এবারের কর্মশালাটি ছিল তাদের ৫ম কর্মশালা।

Please Share This Post in Your Social Media

শিল্প-সংস্কৃতির প্রতি অসম্ভব ভালোবাসা ছিলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের। এ ভালোবাসা থেকেই বঙ্গবন্ধু যখন প্রাদেশিক সরকারের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী ছিলেন তখন ১৯৫৭ সালের ৩ এপ্রিল তার দূরদর্শিতায় চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন প্রতিষ্ঠার বিল আনা হয়। প্রতিষ্ঠিত হয় আজকের বাংলাদেশে চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (এফডিসি)।

সিনেমা অঙ্গনকে ভালোবেসে এদেশের চলচ্চিত্রের উন্নয়নে আমৃত্যু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, তিনি নিজেও সিনেমাতে অভিনয় করেছেন। বঙ্গবন্ধু অভিনীত সিনেমাটির নাম ‘সংগ্রাম’। ছবিটি পরিচালনা করেন প্রয়াত নির্মাতা চাষী নজরুল ইসলাম।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক চলচ্চিত্র ‘সংগ্রাম’। এতে ছোট্ট এক ভূমিকায় হাজির হয়েছিলেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ এই বাঙালি। সে সময়ের চিত্রনায়ক কামরুল আলম খান খসরু ও চাষী নজরুল ইসলামের অনুরোধে ছোট্ট ওই চরিত্রে অভিনয়ে রাজি হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু।

ছবির চিত্রনাট্যের শেষ দিকে ছিল, মুক্তিযুদ্ধের পর সদ্য স্বাধীন দেশের সামরিক বাহিনী বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের নায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে স্যালুট করছে। এই দৃশ্য কীভাবে ধারণ করা যায় সে নিয়ে চিন্তায় পড়েছিলেন পরিচালক চাষী নজরুল ইসলাম। একপ্রকার দুঃসাহস নিয়ে বঙ্গবন্ধুকে ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব দিয়ে বসেন ছবিটির নায়ক খসরু। কিন্তু বঙ্গবন্ধু প্রথমে রাজি হননি। পরে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মান্নানকে দিয়ে সুপারিশ করিয়ে অভিনয়ের জন্য তাকে রাজি করানো হয়।

‘সংগ্রাম’ ছবিটিতে নাযক ছিলেন খসরু আর নায়িকা সূচন্দা। ছবিটি ১৯৭৪ সালে মুক্তি পায়।

বঙ্গবন্ধু যে চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন