মেসি সেরাদের সেরা’ নির্বাচিত হলেন

মেসি সেরাদের সেরা’ নির্বাচিত হলেন

দৈনিক প্রবাহবার্তা ডেস্ক : ‘সর্বকালের সেরা নিয়ে আর বিতর্কের দরকার আছে কি’—লিওনেল মেসির প্রশংসায় বিশ্বকাপ চলার সময়ই বলেছিলেন ইংলিশ কিংবদন্তি গ্যারি লিনেকার। এই বিতর্কটা অবশ্য শেষ হওয়ার নয়। তবে গত বছর যে ক্রীড়াঙ্গনের সবচেয়ে উজ্জ্বল নক্ষত্র ছিলেন মেসি—এ নিয়ে সন্দেহ নেই কারো। ফরাসি দৈনিক লেকিপ ‘চ্যাম্পিয়ন অব চ্যাম্পিয়নস’ পুরস্কার দিয়েছে ৩৬ বছর পর আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের এই মহানায়ককে।

১৯৪৬ সাল থেকে ফ্রান্সের বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার দিয়ে আসছে লেকিপ। ১৯৭৫ সাল থেকে এর পাশাপাশি বিশ্বের সব খেলা মিলিয়ে পত্রিকাটি সম্পাদকীয় বিভাগের সাংবাদিকদের ভোটে দেওয়া শুরু করে সেরাদের সেরার স্বীকৃতি। সেই ভোটেই এবার সর্বোচ্চ ৮০৮ পয়েন্ট পেয়ে সেরা হয়েছেন মেসি। দ্বিতীয় সেরা ফ্রান্সের কিলিয়ান এমবাপ্পে পেয়েছেন অর্ধেকেরও কম ৩৮১ পয়েন্ট। ‘চ্যাম্পিয়ন অব চ্যাম্পিয়নস’ না হলেও বিশ্বকাপ ফাইনালে হ্যাটট্রিক করা এমবাপ্পে জিতেছেন ফ্রান্সের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার।

সেরাদের সেরা হওয়া খেলোয়াড়টিকে নিয়ে প্রচ্ছদ করে থাকে লেকিপ। তবে এবার মেসির পাশাপাশি তারা রেখেছে এমবাপ্পেকেও। এ ছাড়া গত বছর দুটি গ্র্যান্ড স্লাম জেতা রাফায়েল নাদাল তৃতীয়, বেলজিয়ামের সাইক্লিস্ট রেমকো ইভেনোপোয়েল চতুর্থ আর বেলজিয়ামেরই ফর্মুলা ওয়ান রেসিং ড্রাইভার ম্যাক্স ভারসটাপেন হয়েছেন পঞ্চম।

বিশ্বকাপ জেতার কারণেই মেসি সেরাদের সেরা হয়েছেন এমন নয়। কারণ ব্রাজিল ও রাশিয়ায় বিশ্বকাপ জেতা দলের কোনো ফুটবলার জেতেননি এই পুরস্কার। ২০১১ সালে সর্বজয়ী বার্সেলোনার জার্সিতে খেলা মেসিই সর্বশেষ ফুটবলার হিসেবে জিতেছিলেন এটা। একমাত্র ফুটবলার হিসেবে পুরস্কারটা দুইবার পেলেন মেসি। তাঁর আগে ফুটবল থেকে লেকিপের সেরাদের সেরা হয়েছেন ইতালির পাওলো রসি (১৯৮২), আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি ডিয়েগো ম্যারাডোনা (১৯৮৬), ব্রাজিলের রোমারিও (১৯৯৪) আর ফরাসি তারকা জিনেদিন জিদান (১৯৯৮)। তাঁরা সবাই পুরস্কারটা পান সে বছর নিজেদের দেশকে বিশ্বকাপ জিতিয়ে।
Please Share This Post in Your Social Media

শিল্প-সংস্কৃতির প্রতি অসম্ভব ভালোবাসা ছিলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের। এ ভালোবাসা থেকেই বঙ্গবন্ধু যখন প্রাদেশিক সরকারের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী ছিলেন তখন ১৯৫৭ সালের ৩ এপ্রিল তার দূরদর্শিতায় চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন প্রতিষ্ঠার বিল আনা হয়। প্রতিষ্ঠিত হয় আজকের বাংলাদেশে চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (এফডিসি)।

সিনেমা অঙ্গনকে ভালোবেসে এদেশের চলচ্চিত্রের উন্নয়নে আমৃত্যু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, তিনি নিজেও সিনেমাতে অভিনয় করেছেন। বঙ্গবন্ধু অভিনীত সিনেমাটির নাম ‘সংগ্রাম’। ছবিটি পরিচালনা করেন প্রয়াত নির্মাতা চাষী নজরুল ইসলাম।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক চলচ্চিত্র ‘সংগ্রাম’। এতে ছোট্ট এক ভূমিকায় হাজির হয়েছিলেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ এই বাঙালি। সে সময়ের চিত্রনায়ক কামরুল আলম খান খসরু ও চাষী নজরুল ইসলামের অনুরোধে ছোট্ট ওই চরিত্রে অভিনয়ে রাজি হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু।

ছবির চিত্রনাট্যের শেষ দিকে ছিল, মুক্তিযুদ্ধের পর সদ্য স্বাধীন দেশের সামরিক বাহিনী বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের নায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে স্যালুট করছে। এই দৃশ্য কীভাবে ধারণ করা যায় সে নিয়ে চিন্তায় পড়েছিলেন পরিচালক চাষী নজরুল ইসলাম। একপ্রকার দুঃসাহস নিয়ে বঙ্গবন্ধুকে ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব দিয়ে বসেন ছবিটির নায়ক খসরু। কিন্তু বঙ্গবন্ধু প্রথমে রাজি হননি। পরে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মান্নানকে দিয়ে সুপারিশ করিয়ে অভিনয়ের জন্য তাকে রাজি করানো হয়।

‘সংগ্রাম’ ছবিটিতে নাযক ছিলেন খসরু আর নায়িকা সূচন্দা। ছবিটি ১৯৭৪ সালে মুক্তি পায়।

বঙ্গবন্ধু যে চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন