মহিলা সমিতিতে মঞ্চায়ন হয়ে গেল জিএলটিএস প্রফেশনাল থিয়েটারের সুন্দরী

মহিলা সমিতিতে মঞ্চায়ন হয়ে গেল জিএলটিএস প্রফেশনাল থিয়েটারের সুন্দরী

বিনোদন প্রতিবেদক : গ্লোবাল ল’ থিংকার্স সোসাইটি (জিএলটিএস) এর অঙ্গ সংগঠন জিএলটিএস প্রফেশনাল থিয়েটারের প্রযোজনায় গত রোববার (৫ মার্চ) সন্ধ্যায় রাজধানীর বেইলী রোডস্থ মহিলা সমিতির ড. নীলিমা ইব্রাহীম মিলনায়তনে মঞ্চায়ন হয়েছে সুন্দরী। শাহিন রিজভির রচনা ও নির্দেশনায় নাটকটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন জিএলটিএস প্রফেশনাল থিয়েটার পরিবারের একঝাঁক তরুণ নাট্যকর্মী। নাটকটি রচিত হয়ে বৃক্ষ আর মানব প্রেম নিয়ে। ছোটবেলা থেকেই চাঁদের সাথে বন্ধুত্ব সুন্দরীর। সুন্দরী শতবর্ষী একটি গাছ। বেলা অবেলায়,সময় অসময়ে চাঁদের একমাত্র খেলার সাথী সে। গরীব মাঝির যত চিন্তা শুধু মেয়ে চাঁদকে নিয়ে। মেয়ে বড় হয়েছে,নানাজনের নানা কথায় তার চিন্তার আকাশে জমতে থাকে বিষন্নতার কালো মেঘ। গ্রামের প্রভাবশালী কদম আলীর ছেলে মালিক চাঁদের প্রেমে পড়ে। যখন তখন পিছু নেয়,বিরক্ত করে। চাঁদের খুব রাগ হয়।মালিক চাঁদকে বিয়ে করার জন্য হন্যে হয়ে ওঠে। কদম আলী ছেলের একগুয়েমির কাছে হার মেনে ইচ্ছের বিরুদ্ধে বাধ্য হয় মাঝির মেয়ের সাথে বিয়ের কথা পাকা করতে। চাঁদ সুন্দরীর কাছে যায়,সুন্দরীকে ছেড়ে যেতে হবে এটি সে কিছুতেই মানতে চায় না,তবু কিছু করার নাই। গরীব বাবার কষ্টের কথা ভেবে বিয়ে করতে রাজি হয়। এমনি করে গল্প এগিয়ে যেতে থাকে এবং জীবনের বড় মূল্য দিতে হয় সুন্দরীকে। নাটকটির যে মূল ম্যাসেজ বৃক্ষ আর মানব প্রেম জিএলটিএস প্রফেশনাল থিয়েটার পরিবারের নাট্য কর্মীদের সুনিপুণ অভিনয়শৈলীতে তা খুব সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে। প্রকৃতিবান্ধব এই বিশ্বের পারস্পরিক বন্ধুত্বের উজ্জ্বল উপমা হয়ে ওঠায় জিএলটিএস প্রফেশনাল থিয়েটার প্রযোজিত সুন্দরী নাটকটি সহায়ক ভূমিকায় অবতীর্ণ থাকবে। উল্লেখ্য,তরুন জনগোষ্ঠীর মানসিক বিকাশ,দক্ষতা উন্নয়ন এবং ক্ষমতায়নের জন্য কাজ করছে গ্লোবাল ল’ থিংকার্স সোসাইটি (জিএলটিএস) নামের এই বিশ্বব্যাপী বহু-পেশাদার নেটওয়ার্কিং এবং আন্তর্জাতিক নেতৃত্ব সংগঠন। জিএলটিএস বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত হয় ২০১০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। পরবর্তীতে সংগঠনটি ১০৬ দেশে বিস্তার লাভ করে এবং জিএলটিএস চ্যাপ্টার প্রতিষ্ঠা করে। সংগঠনটি তরুনদের মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে কাজ করছে। জিএলটিএস এর প্রতিষ্ঠাতা বাংলাদেশী তরুন রওমান স্মিতা। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী। শিক্ষা জীবনে তিনি এই সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন।

Please Share This Post in Your Social Media

শিল্প-সংস্কৃতির প্রতি অসম্ভব ভালোবাসা ছিলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের। এ ভালোবাসা থেকেই বঙ্গবন্ধু যখন প্রাদেশিক সরকারের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী ছিলেন তখন ১৯৫৭ সালের ৩ এপ্রিল তার দূরদর্শিতায় চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন প্রতিষ্ঠার বিল আনা হয়। প্রতিষ্ঠিত হয় আজকের বাংলাদেশে চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (এফডিসি)।

সিনেমা অঙ্গনকে ভালোবেসে এদেশের চলচ্চিত্রের উন্নয়নে আমৃত্যু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, তিনি নিজেও সিনেমাতে অভিনয় করেছেন। বঙ্গবন্ধু অভিনীত সিনেমাটির নাম ‘সংগ্রাম’। ছবিটি পরিচালনা করেন প্রয়াত নির্মাতা চাষী নজরুল ইসলাম।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক চলচ্চিত্র ‘সংগ্রাম’। এতে ছোট্ট এক ভূমিকায় হাজির হয়েছিলেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ এই বাঙালি। সে সময়ের চিত্রনায়ক কামরুল আলম খান খসরু ও চাষী নজরুল ইসলামের অনুরোধে ছোট্ট ওই চরিত্রে অভিনয়ে রাজি হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু।

ছবির চিত্রনাট্যের শেষ দিকে ছিল, মুক্তিযুদ্ধের পর সদ্য স্বাধীন দেশের সামরিক বাহিনী বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের নায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে স্যালুট করছে। এই দৃশ্য কীভাবে ধারণ করা যায় সে নিয়ে চিন্তায় পড়েছিলেন পরিচালক চাষী নজরুল ইসলাম। একপ্রকার দুঃসাহস নিয়ে বঙ্গবন্ধুকে ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব দিয়ে বসেন ছবিটির নায়ক খসরু। কিন্তু বঙ্গবন্ধু প্রথমে রাজি হননি। পরে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মান্নানকে দিয়ে সুপারিশ করিয়ে অভিনয়ের জন্য তাকে রাজি করানো হয়।

‘সংগ্রাম’ ছবিটিতে নাযক ছিলেন খসরু আর নায়িকা সূচন্দা। ছবিটি ১৯৭৪ সালে মুক্তি পায়।

বঙ্গবন্ধু যে চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন