বাংলাদেশ বস্ত্র ও পোশাক শিল্প শ্রমিক লীগের নারী কমিটির সম্মেলন অনু্িষ্ঠত

বাংলাদেশ বস্ত্র ও পোশাক শিল্প শ্রমিক লীগের নারী কমিটির সম্মেলন অনু্িষ্ঠত

দৈনিক প্রবাহবার্তা : গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ বস্ত্র ও পোশাক শিল্প শ্রমিক লীগ ( বিটিজিডব্লিউএল)-এর নারী কমিটির চতুর্থ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বিকেল ৩ টায় ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউট (আইইবি)’র সেমিনার হলে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। বিটিজিডব্লিউএল-এর নারী কমিটির সভাপতি নাসরিন আক্তারের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইন্ডাস্ট্রিঅল গ্লোবাল ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক এটলে হোয়ে।বিশেষ অতিথি ছিলেন ইন্ডাস্ট্রিঅল গ্লোবাল ইউনিয়নের রিজিওনাল সেক্রেটারি অপূর্বা কাইয়ার, ইন্ডাস্ট্রিঅল বাংলাদেশ কাউন্সিল আইবিসির সভাপতি আমিরুল হক আমিন। বিটিজিডব্লিউএল-এর সভাপতি জেড. এম. কামরুল আনাম অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্যে সংগঠনের সাংগঠনিকসহ শ্রম অধিকার বিষয়ে বক্তব্য রাখেন। সংগঠনের নারী বিষয়ক সম্পদক শান্তা ফারজানার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বিটিজিডব্লিউএল-এর সাধারণ সম্পাদক শাহাব উদ্দীন চৌধুরী, বিটিজিডব্লিউএল নারী কমিটির সহ-সভাপতি নূর আক্তার বেগম প্রমুখ। প্রধান অতিথি এটলে হোয়ে বলেন, নারী শ্রমিকদের জন্য বিশ্বব্যাপী শোভন কাজসহ বেতনসহ বিভিন্ন সুবিধা দাবি উপস্থাপিত হচ্ছে, তাদের বেতন, তাদের স্বাস্থ্যসুবিধাসহ সকল দাবি বাস্তবায়নে কাজ করতে হবে। এই দাবির সাথে ইন্ডাস্ট্রিঅল গ্লোাবাল ইউনিয়ন সবসময় ছিলো, আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। জেড.এম. কামরুল আনাম বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যোগ্য উত্তরসূরী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শ্রমিকদের জন্য নিবেদিত সরকার। তাঁর নেতৃত্বে যেভাবে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি শ্রমিকদের ন্যায্য বেতনসহ সকল সুবিধা বাস্তবায়নে বিবেচনা করবেন। পরে বিটিজিডব্লিউএল-এর সভাপতি জেড এম কামরুল আনাম নতুন নির্বাচিত ৩৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির নাম ঘোষণা করেন। নব নির্বাচিত কমিটি নাসরিন আক্তার সভাপতি, নূর আক্তার বেগম কার্যকরী সভাপতি ও কুয়াশা হক সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

Please Share This Post in Your Social Media

শিল্প-সংস্কৃতির প্রতি অসম্ভব ভালোবাসা ছিলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের। এ ভালোবাসা থেকেই বঙ্গবন্ধু যখন প্রাদেশিক সরকারের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী ছিলেন তখন ১৯৫৭ সালের ৩ এপ্রিল তার দূরদর্শিতায় চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন প্রতিষ্ঠার বিল আনা হয়। প্রতিষ্ঠিত হয় আজকের বাংলাদেশে চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (এফডিসি)।

সিনেমা অঙ্গনকে ভালোবেসে এদেশের চলচ্চিত্রের উন্নয়নে আমৃত্যু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, তিনি নিজেও সিনেমাতে অভিনয় করেছেন। বঙ্গবন্ধু অভিনীত সিনেমাটির নাম ‘সংগ্রাম’। ছবিটি পরিচালনা করেন প্রয়াত নির্মাতা চাষী নজরুল ইসলাম।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক চলচ্চিত্র ‘সংগ্রাম’। এতে ছোট্ট এক ভূমিকায় হাজির হয়েছিলেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ এই বাঙালি। সে সময়ের চিত্রনায়ক কামরুল আলম খান খসরু ও চাষী নজরুল ইসলামের অনুরোধে ছোট্ট ওই চরিত্রে অভিনয়ে রাজি হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু।

ছবির চিত্রনাট্যের শেষ দিকে ছিল, মুক্তিযুদ্ধের পর সদ্য স্বাধীন দেশের সামরিক বাহিনী বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের নায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে স্যালুট করছে। এই দৃশ্য কীভাবে ধারণ করা যায় সে নিয়ে চিন্তায় পড়েছিলেন পরিচালক চাষী নজরুল ইসলাম। একপ্রকার দুঃসাহস নিয়ে বঙ্গবন্ধুকে ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব দিয়ে বসেন ছবিটির নায়ক খসরু। কিন্তু বঙ্গবন্ধু প্রথমে রাজি হননি। পরে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মান্নানকে দিয়ে সুপারিশ করিয়ে অভিনয়ের জন্য তাকে রাজি করানো হয়।

‘সংগ্রাম’ ছবিটিতে নাযক ছিলেন খসরু আর নায়িকা সূচন্দা। ছবিটি ১৯৭৪ সালে মুক্তি পায়।

বঙ্গবন্ধু যে চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন