বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির-পাঠান’ মুক্তি না দিলে হল বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির-পাঠান’ মুক্তি না দিলে হল বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি

সুদীপ দেবনাথ (রিমন সূর্য) : গত শনিবার (৪ মার্চ) রাজধানী মগবাজারের একটি রেস্তোরাঁয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এমন ঘোষণা দেন। এই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির প্রধান উপদেষ্টা সুদীপ্ত কুমার দাস, সিনিয়র সহ-সভাপতি নিয়ে আলাউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন, সহ-সাধারণ সম্পাদ শরফুদ্দিন এলাহী সম্রাট, সহ-সাধারণ সম্পাদক মোঃ খুরশিদ আলম, সাংস্কৃতিক,সমাজ কল্যাণ ও আইন বিষয়ক সম্পাদক, আর, এম ইউনুস রুবেল,সহ সংগঠনটির অন্যান্য নেতারা। সংবাদ সম্মেলনে সরকারে কাছে ভারতীয় হিন্দি সিনেমা শাহরুখ খান অভিনীত ‘পাঠান’ সিনেমা আমদানি বিষয়ে যে জটিলতা সৃষ্টি করা হয়েছে তার নিরসনে সমিতির পক্ষ থেকে মাননীয় মন্ত্রী বরাবরে একটি আবেদন পেশ করা হয় কিন্তু পাঠান ছবি আমদানির অনুমতি দানের বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের নেতিবাচক চিঠির কোন ব্যাখ্যা ও দেওয়া হচ্ছে না। চার বছর আগে চালু সিনেমা হলের সঙ্গে ছিল ২৪০ টি এখন এই সংখ্যা মাত্র ৪০ এ দাঁড়িয়েছে। সিনেমা হল চালু রাখার আর কোনো বাস্তব যুক্তি আমরা খুঁজে পাচ্ছি না বিধায় বন্ধ করে দেয়ায় শ্রেয় বলে মনে করি। সিনেমা হল মালিকগণ এই হতাশাজনক পরিস্থিতিতে যেকোনো দিন সিনেমা হল বন্ধ করে দিতে পারেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যে সিনেমা ভালো যাচ্ছে আমরা সেই সিনেমাই আমদানির পক্ষে, সেটা যেকোনো ভাষার হতে পারে। সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যমের কাছে প্রদর্শক সমিতির নেতারা প্রশ্ন করেন হল যদি না চলে, হল যদি বন্ধ হয়ে যাবে দেশের সিনেমা চালাবে কোথায়? পাশাপাশি তারা হিন্দি ছবি আমদানি কর না চালাতে দিলে হল বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেন। এ ব্যাপারে তারা দ্রুত সরকারের যথাযথ সিদ্ধান্তও চান। সাংবাদিকদের বলেন প্রধান উপদেষ্টা সুদীপ্ত কুমার দাস সরকারের সিদ্ধান্তহীনতায় ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, “ হিন্দি ছবি না চালাতে দিলে এখন আর হল চালু রাখার উপায় দেখছি না। সিনেমা হল চালু রাখার আর কোনো বাস্তব যুক্তি খুঁজে পাচ্ছি না বিধায় বন্ধ করে দেওয়াই শ্রেয় বলে মনে করি।” এক প্রশ্নের জবাবে সমিতির সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন বলেন “চার বছর আগেও সিনেমা হলের সংখ্যা ছিল ২৪০। এখন নিয়মিত চালু হলের সংখ্যা মাত্র ৪০। দেশের সিনমা হল সব গোডাউন হয়ে যাচ্ছে।’ ভালা সিনেমা নির্মিত হচ্ছেনা বলেই এসব হল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে দাবি করে দেশের বর্তমান হলের সংখ্যার কথা জানালন হল মালিক চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির নেতারা। সংবাদ সম্মেলনে চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক, লায়নস প্রেক্ষাগৃহের মালিক মির্জা আব্দুল খালেক দাবি করেন, ভবিষ্যতে বাংলা সিনেমা টিকিয়ে রাখতে বর্তমানে সিনেমা আমদানির বিকল্প নেই। তিনি বলেন,“ঈদে বিগ বাজেট সিনেমা আসছে কিন্তু দুর্ভাগ্য হলেও সত্য, একটা সিনেমা পুঁজি তুলে আনতে পারবে না। কারণ, পুঁজি তুলে আনার মতো জায়গা নাই। বর্তমান পরিস্থিতিতে আমি মনে করি, ২০ লাখ টাকা দিয়ে সিনেমা বানালেও সেই টাকা তুলে আনার মতো জায়গা নাই। সরকার দাবি মেনে না নিলে কবে নাগাদ হল বন্ধ করা হবে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নর উত্তরে নেতারা আগামী ঈদের আগেই তারা সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানান।

Please Share This Post in Your Social Media

শিল্প-সংস্কৃতির প্রতি অসম্ভব ভালোবাসা ছিলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের। এ ভালোবাসা থেকেই বঙ্গবন্ধু যখন প্রাদেশিক সরকারের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী ছিলেন তখন ১৯৫৭ সালের ৩ এপ্রিল তার দূরদর্শিতায় চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন প্রতিষ্ঠার বিল আনা হয়। প্রতিষ্ঠিত হয় আজকের বাংলাদেশে চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (এফডিসি)।

সিনেমা অঙ্গনকে ভালোবেসে এদেশের চলচ্চিত্রের উন্নয়নে আমৃত্যু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, তিনি নিজেও সিনেমাতে অভিনয় করেছেন। বঙ্গবন্ধু অভিনীত সিনেমাটির নাম ‘সংগ্রাম’। ছবিটি পরিচালনা করেন প্রয়াত নির্মাতা চাষী নজরুল ইসলাম।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক চলচ্চিত্র ‘সংগ্রাম’। এতে ছোট্ট এক ভূমিকায় হাজির হয়েছিলেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ এই বাঙালি। সে সময়ের চিত্রনায়ক কামরুল আলম খান খসরু ও চাষী নজরুল ইসলামের অনুরোধে ছোট্ট ওই চরিত্রে অভিনয়ে রাজি হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু।

ছবির চিত্রনাট্যের শেষ দিকে ছিল, মুক্তিযুদ্ধের পর সদ্য স্বাধীন দেশের সামরিক বাহিনী বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের নায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে স্যালুট করছে। এই দৃশ্য কীভাবে ধারণ করা যায় সে নিয়ে চিন্তায় পড়েছিলেন পরিচালক চাষী নজরুল ইসলাম। একপ্রকার দুঃসাহস নিয়ে বঙ্গবন্ধুকে ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব দিয়ে বসেন ছবিটির নায়ক খসরু। কিন্তু বঙ্গবন্ধু প্রথমে রাজি হননি। পরে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মান্নানকে দিয়ে সুপারিশ করিয়ে অভিনয়ের জন্য তাকে রাজি করানো হয়।

‘সংগ্রাম’ ছবিটিতে নাযক ছিলেন খসরু আর নায়িকা সূচন্দা। ছবিটি ১৯৭৪ সালে মুক্তি পায়।

বঙ্গবন্ধু যে চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন