বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারীর ইসরায়েলকে উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন

বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারীর ইসরায়েলকে উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন

হাকিকুল ইসলাম খোকন,যুক্তরাষ্ট্র সিনিয়র প্রতিনিধিঃদখলদার রাষ্ট্র ইসরায়েলের ফিলিস্তিন ও আঞ্চলিক শান্তি বিনষ্টকারী যে কোনও ধরনের উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ। পাশাপাশি রাজধানী হিসেবে পূর্ব জেরুজালেমের সাথে ১৯৬৭ সালের সীমান্তের ভিত্তিতে একটি সার্বভৌম ও কার্যকর রাষ্ট্রের জন্য ফিলিস্তিনের জনগণের অবিচ্ছেদ্য অধিকার আদায়ে অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে। সম্প্রতি জেরুজালেমের আল আকসা মসজিদে সংঘটিত ইসরাইলের উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড, ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে চলমান ইসরাইলি আগ্রাসন বন্ধে মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) জেদ্দায় অনুষ্ঠিত ইসলামী সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) নির্বাহী কমিটির জরুরি সভায় সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও ওআইসির স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী একথা বলেন।ইসরায়েলকে ফিলিস্তিনে ও আঞ্চলিক শান্তি বিনষ্টকারী যে কোনো ধরনের উসকানিমূলক কর্মকা- থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ। পাশাপাশি রাজধানী হিসেবে পূর্ব জেরুজালেমের সঙ্গে ১৯৬৭ সালের সীমান্তের ভিত্তিতে একটি সার্বভৌম ও কার্যকর রাষ্ট্রের জন্য ফিলিস্তিনের জনগণের অবিচ্ছেদ্য অধিকার আদায়েও বাংলাদেশ অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে। গতকাল মঙ্গলবার জেদ্দায় অনুষ্ঠিত ইসলামী সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) নির্বাহী কমিটির জরুরি সভায় সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এবং ওআইসির স্থায়ী প্রতিনিধি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী এ আহ্বান জানান। রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘জাতিসংঘের প্রাসঙ্গিক প্রস্তাবনা, আরব শান্তি উদ্যোগ এবং কোয়ার্টেট রোড ম্যাপ অনুযায়ী ।দূতাবাস থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় যে জাতিসংঘের প্রাসঙ্গিক প্রস্তাবনা, আরব শান্তি উদ্যোগ এবং কোয়ার্টেট রোড ম্যাপ অনুযায়ী ফিলিস্তিন ইস্যুতে ব্যাপক ও টেকসই সমাধানের বিষয়ে বাংলাদেশ তার নীতিগত অবস্থান অব্যাহত রেখেছে বলে জানায় রাষ্ট্রদূত।মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) জেদ্দায় সকালে ওআইসির কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত রয়েছে এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। ২০২২ সালে ১৫০ জনের বেশি ফিলিস্তিনের নাগরিক ইসরায়েলি আগ্রাসনে নিহত হয়েছেন, যা এযাবৎকালের মধ্যে সর্বোচ্চ। সম্প্রতি ইসরায়েলের নতুন সরকার গঠনের পরপরই জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রী বেন গভির পবিত্র আল আকসা মসজিদ পরিদর্শন করেছেন। যা অত্যন্ত উত্তেজনামূলক পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে এবং স্থানীয় ও আঞ্চলিক নিরাপত্তার তা জন্য হুমকিস্বরূপ। এ ধরনের উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড মধ্যপ্রাচ্যের স্থায়ী শান্তিপ্রক্রিয়াকে আরও দূরে ঠেলে দেবে বলে মন্তব্য করেন রাষ্ট্রদূত।বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদাসীনতায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর নৃশংসতা ও আগ্রাসন সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেড়ে চলেছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। নতুন বৈশ্বিক সংকট এবং অধিকৃত ফিলিস্তিন ভূখণ্ডের গুরুতর পরিস্থিতি থেকে জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মনোযোগ যাতে সরিয়ে না নেয়, সে বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান তিনি।

Please Share This Post in Your Social Media

শিল্প-সংস্কৃতির প্রতি অসম্ভব ভালোবাসা ছিলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের। এ ভালোবাসা থেকেই বঙ্গবন্ধু যখন প্রাদেশিক সরকারের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী ছিলেন তখন ১৯৫৭ সালের ৩ এপ্রিল তার দূরদর্শিতায় চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন প্রতিষ্ঠার বিল আনা হয়। প্রতিষ্ঠিত হয় আজকের বাংলাদেশে চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (এফডিসি)।

সিনেমা অঙ্গনকে ভালোবেসে এদেশের চলচ্চিত্রের উন্নয়নে আমৃত্যু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, তিনি নিজেও সিনেমাতে অভিনয় করেছেন। বঙ্গবন্ধু অভিনীত সিনেমাটির নাম ‘সংগ্রাম’। ছবিটি পরিচালনা করেন প্রয়াত নির্মাতা চাষী নজরুল ইসলাম।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক চলচ্চিত্র ‘সংগ্রাম’। এতে ছোট্ট এক ভূমিকায় হাজির হয়েছিলেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ এই বাঙালি। সে সময়ের চিত্রনায়ক কামরুল আলম খান খসরু ও চাষী নজরুল ইসলামের অনুরোধে ছোট্ট ওই চরিত্রে অভিনয়ে রাজি হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু।

ছবির চিত্রনাট্যের শেষ দিকে ছিল, মুক্তিযুদ্ধের পর সদ্য স্বাধীন দেশের সামরিক বাহিনী বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের নায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে স্যালুট করছে। এই দৃশ্য কীভাবে ধারণ করা যায় সে নিয়ে চিন্তায় পড়েছিলেন পরিচালক চাষী নজরুল ইসলাম। একপ্রকার দুঃসাহস নিয়ে বঙ্গবন্ধুকে ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব দিয়ে বসেন ছবিটির নায়ক খসরু। কিন্তু বঙ্গবন্ধু প্রথমে রাজি হননি। পরে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মান্নানকে দিয়ে সুপারিশ করিয়ে অভিনয়ের জন্য তাকে রাজি করানো হয়।

‘সংগ্রাম’ ছবিটিতে নাযক ছিলেন খসরু আর নায়িকা সূচন্দা। ছবিটি ১৯৭৪ সালে মুক্তি পায়।

বঙ্গবন্ধু যে চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন