দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দিরের ৩৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী মহোৎসব সম্পন্ন

দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দিরের ৩৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী মহোৎসব সম্পন্ন

মিন্টু কান্তি নাথ রাজস্থলী : রাঙামাটি জেলার রাজস্থলী উপজেলার  বাঙ্গালহালিয়া শ্রী শ্রী দক্ষিণেশ্বর কালি মন্দিরের শত শত ভক্তদের সমাগমের মধ্যে দিয়ে আজ, ৩৪ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে অষ্টপ্রহরব্যাপী  সার্বজনীন মহানামযঞ্জ মহোৎসব বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে সম্পন্ন হয়েছে।মহোৎসব উপলক্ষে মহতী ধর্মসভা ৯মার্চ বিকাল ৩ ঘঠিকার সময় মন্দির প্রাঙ্গণে বিভিন্ন মাঙ্গলিক অনুষ্ঠানে ধমীর্য় আলোচক ছিলেন সনাতন ঋষি আশ্রমের অধিপতি শ্রীমৎ স্বামী সনাতন ঋষি মহারাজ, বিশেষ ধমীর্য় আলোচক ছিলেন বাঙ্গালহালিয়া জ্যোতিশ্বর বেদান্ত মঠ ও মিশনের অধিপতি শ্রীমৎ স্বামী ৩৪অভেদানন্দ গিরি মহারাজ, অনুষ্ঠানে পৌরহিত্যে করেন বৈষ্ণব প্রবর শ্রীল স্বরূপ মহারাজ বাবাজি, শ্রী শ্রী রাধা মদন গোপাল গিরিধারী সেবা কুঞ্জের অধ্যক্ষ মাধব গৌর দাস বাবাজি,অধিবাস পরিচালনায় শ্রী নীল কৃষ্ণ রুদ্র। মহতী ধর্মসভায় নয়ন চৌধুরীর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য নিউচিং মারমা,অনুষ্ঠানে উদ্বোধক ছিলেন মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা ও বাঙ্গালহালিয়া বাজার চৌধুরী থোয়াইসুইখই মারমা, চন্দ্রঘোনা থানার ওসি সাইফুল আজম বাবু,বাঙ্গালহালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আদোমং মারমা,ইউপি সদস্য শিমুল দাস,মহিলা সদস্যা বাপ্পী দেব, অমর নাথ চৌধুরী টিকলু, মগেশ্বর মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি প্রিয়লাল দত্ত, দক্ষিণাশ্বর কালি মন্দির পরিচালনা কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি  বিশ্বনাথ চৌধুরী, বিমল দেব, পংকজ ভুষন চৌধুরী,হারাধন দাস, মন্দির পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রিটন দত্ত, উৎসব পরিচালনা কমিটির সভাপতি দোলন দে, সাধারণ সম্পাদক সুমন কান্তি দে, অর্থ সম্পাদক রুবেল সিকদার রাজু চৌধুরী, বিকাশ বিশ্বাস,পুলক সাহা, সুজিত কুমার কর, আশুতোষ দাস, রাজেশ দে, রনজিৎ দে,আশিষ বিশ্বাস, প্রবীর দত্ত,  নয়ন চৌধুরী, প্রমুখ। শুক্রবার মহোৎসবে পূজা ও ভোগ নিবেদন শেষে আনন্দ বাজারে মহাপ্রসাদ বিতরণ করা হয়। আনন্দ বাজারে শত শত ভক্তরা মহাপ্রসাদ আস্বাদন করেন। ছবি ক্যাপশনঃ- বাঙ্গালহালিয়া শ্রী শ্রী দক্ষিণেশ্বর কালি মন্দিরের সার্বজনীন মহানামযঞ্জ মহোৎসব অনুষ্ঠানে।

Please Share This Post in Your Social Media

শিল্প-সংস্কৃতির প্রতি অসম্ভব ভালোবাসা ছিলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের। এ ভালোবাসা থেকেই বঙ্গবন্ধু যখন প্রাদেশিক সরকারের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী ছিলেন তখন ১৯৫৭ সালের ৩ এপ্রিল তার দূরদর্শিতায় চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন প্রতিষ্ঠার বিল আনা হয়। প্রতিষ্ঠিত হয় আজকের বাংলাদেশে চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (এফডিসি)।

সিনেমা অঙ্গনকে ভালোবেসে এদেশের চলচ্চিত্রের উন্নয়নে আমৃত্যু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, তিনি নিজেও সিনেমাতে অভিনয় করেছেন। বঙ্গবন্ধু অভিনীত সিনেমাটির নাম ‘সংগ্রাম’। ছবিটি পরিচালনা করেন প্রয়াত নির্মাতা চাষী নজরুল ইসলাম।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক চলচ্চিত্র ‘সংগ্রাম’। এতে ছোট্ট এক ভূমিকায় হাজির হয়েছিলেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ এই বাঙালি। সে সময়ের চিত্রনায়ক কামরুল আলম খান খসরু ও চাষী নজরুল ইসলামের অনুরোধে ছোট্ট ওই চরিত্রে অভিনয়ে রাজি হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু।

ছবির চিত্রনাট্যের শেষ দিকে ছিল, মুক্তিযুদ্ধের পর সদ্য স্বাধীন দেশের সামরিক বাহিনী বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের নায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে স্যালুট করছে। এই দৃশ্য কীভাবে ধারণ করা যায় সে নিয়ে চিন্তায় পড়েছিলেন পরিচালক চাষী নজরুল ইসলাম। একপ্রকার দুঃসাহস নিয়ে বঙ্গবন্ধুকে ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব দিয়ে বসেন ছবিটির নায়ক খসরু। কিন্তু বঙ্গবন্ধু প্রথমে রাজি হননি। পরে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মান্নানকে দিয়ে সুপারিশ করিয়ে অভিনয়ের জন্য তাকে রাজি করানো হয়।

‘সংগ্রাম’ ছবিটিতে নাযক ছিলেন খসরু আর নায়িকা সূচন্দা। ছবিটি ১৯৭৪ সালে মুক্তি পায়।

বঙ্গবন্ধু যে চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন