টাঙ্গাইলে স্থানীয় ভাবে উদ্ভাবিত লাগসই প্রযুক্তির প্রয়োগ ও সম্প্রসারণ শীর্ষক সেমিনার ও প্রদর্শনী

টাঙ্গাইলে স্থানীয় ভাবে উদ্ভাবিত লাগসই প্রযুক্তির প্রয়োগ ও সম্প্রসারণ শীর্ষক সেমিনার ও প্রদর্শনী

দৈনিক প্রবাহবার্তা অর্ণব আল আমিন, বাসাইল, টাঙ্গাইলঃ টাঙ্গাইলের বাসাইলে  বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গবেষণা মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে এবং বাসাইল উপজেলা প্রশাসন ও বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের বাস্তবায়নে ‘স্থানীয় ভাবে উদ্ভাবিত লাগসই প্রযুক্তির প্রয়োগ ও সম্প্রসারণ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত দিন ব্যাপী প্রদর্শনীর উদ্বোধন হয়েছে।
বৃহস্পতিবার  (১৬ ফেব্রুয়ারি ) সকালে বাসাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার পাপিয়া আক্তারের সভাপত্বিতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাসাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী অলিদ ইসলাম,বিশেষ অতিথি ছিলেন,বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের সিনিয়র অফিসার মোঃআজিজুল হক,উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি)আরিফুন্নাহার রিতা,এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বাসাইল সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহেল, কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শামীম আল মামুন,কাশিল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রমজান আলী মিয়া প্রমুখ।
উল্লেখ্য,উপজেলা পরিষদ চত্বরে ১৬ ফেব্রুয়ারি দিনব্যাপি মোট ১৫টি প্রতিষ্ঠান তাদের ষ্ট্রলে স্থানীয় ভাবে তাদের উদ্ভাবিত প্রযুক্তির বিভিন্ন আইটেম প্রদর্শর্নীতে উপস্থাপন করেন।
প্রদর্শনীর উদ্বোধন শেষে বাসাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী অলিদ ইসলাম এসব ষ্ট্রল ঘুরে ঘুরে দেখেন এবং নিজস্ব উদ্ভাবনী প্রযুক্তি দ্বারা তৈরী এসব পণ্যের ভূয়সী প্রশংসা করেন। বিশেষ করে স্কুল ও কলেজ ছাত্র ছাত্রীদের তৈরী পণ্যে প্রযুক্তির অভাবনীয় ব্যবহারে বিস্ময় প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠান শেষ বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
Please Share This Post in Your Social Media

শিল্প-সংস্কৃতির প্রতি অসম্ভব ভালোবাসা ছিলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের। এ ভালোবাসা থেকেই বঙ্গবন্ধু যখন প্রাদেশিক সরকারের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী ছিলেন তখন ১৯৫৭ সালের ৩ এপ্রিল তার দূরদর্শিতায় চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন প্রতিষ্ঠার বিল আনা হয়। প্রতিষ্ঠিত হয় আজকের বাংলাদেশে চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (এফডিসি)।

সিনেমা অঙ্গনকে ভালোবেসে এদেশের চলচ্চিত্রের উন্নয়নে আমৃত্যু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, তিনি নিজেও সিনেমাতে অভিনয় করেছেন। বঙ্গবন্ধু অভিনীত সিনেমাটির নাম ‘সংগ্রাম’। ছবিটি পরিচালনা করেন প্রয়াত নির্মাতা চাষী নজরুল ইসলাম।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক চলচ্চিত্র ‘সংগ্রাম’। এতে ছোট্ট এক ভূমিকায় হাজির হয়েছিলেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ এই বাঙালি। সে সময়ের চিত্রনায়ক কামরুল আলম খান খসরু ও চাষী নজরুল ইসলামের অনুরোধে ছোট্ট ওই চরিত্রে অভিনয়ে রাজি হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু।

ছবির চিত্রনাট্যের শেষ দিকে ছিল, মুক্তিযুদ্ধের পর সদ্য স্বাধীন দেশের সামরিক বাহিনী বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের নায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে স্যালুট করছে। এই দৃশ্য কীভাবে ধারণ করা যায় সে নিয়ে চিন্তায় পড়েছিলেন পরিচালক চাষী নজরুল ইসলাম। একপ্রকার দুঃসাহস নিয়ে বঙ্গবন্ধুকে ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব দিয়ে বসেন ছবিটির নায়ক খসরু। কিন্তু বঙ্গবন্ধু প্রথমে রাজি হননি। পরে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মান্নানকে দিয়ে সুপারিশ করিয়ে অভিনয়ের জন্য তাকে রাজি করানো হয়।

‘সংগ্রাম’ ছবিটিতে নাযক ছিলেন খসরু আর নায়িকা সূচন্দা। ছবিটি ১৯৭৪ সালে মুক্তি পায়।

বঙ্গবন্ধু যে চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন