গোপালগঞ্জ-এর নাম“মুজিবগ্রাম”

গোপালগঞ্জ-এর নাম“মুজিবগ্রাম”

গাজী খালেদ ইবনে মোহাম্মদ : হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্মগ্রহন করেছিলেন ১৯২০ খ্রিষ্টাব্দের ১৭ই মার্চ (৩রা চৈত্র ১৩২৭ বঙ্গাব্দ) রাত ৮টায় তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির অন্তর্ভুক্ত ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহকুমার পাটগাতি ইউনিয়নের বাইগার নদী তীরবর্তী টুঙ্গিপাড়া গ্রামে। যাঁর জন্ম না হলে জন্ম হতোনা আজকের এই স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের। যে মানুষটি তাঁর সারাজীবন ব্যয় করে দিয়েছেন গ্রামবাংলার সহজ সরল, নিরপরাধ ও স্বাধীনতাকামী গনমানুষের স্বপ্ন পূরনের লক্ষ্যে। বিশ্বমানবতা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের এক চরমতম কলঙ্কিত অধ্যায় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের সেই নির্মম হত্যাকাণ্ডে স্বপরিবারে শাহাদাৎ বরণের পরে তাঁকে সমাহিত করা হয় তাঁর সেই জন্মস্থান বর্তমান গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে। যেখানে তিনি চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন স্বাধীনতাকামী গ্রামবাংলার গনমানুষের মূর্ত প্রতীক হয়ে। বর্তমানে বিশ্বের বিস্ময়, উন্নয়নের প্রতীক এই বাংলাদেশে গ্রাম আছে ৮৭১৯১ টি। স্বাধীনতাকামী গনমানুষের আবাসস্থল এই ৮৭১৯১ টি গ্রামই বঙ্গবন্ধু’র সারা জীবনের আত্মত্যাগের ফসল যার প্রতীক হয়ে থাকবে একটি নাম “মুজিবগ্রাম”। আর এই নামটি সর্বাধিক প্রজোয্য হতে পারে সেই স্থানের/জেলার, যে জেলায় জন্মেছিলেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালির, যেখানে চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন আমাদের পিতা। তাই বর্তমান গোপালগঞ্জ জেলার নাম “মুজিবগ্রাম” আজ গ্রামবাংলার প্রতিটি গনমানুষের মনের দাবি,প্রানের দাবি।

Please Share This Post in Your Social Media

শিল্প-সংস্কৃতির প্রতি অসম্ভব ভালোবাসা ছিলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের। এ ভালোবাসা থেকেই বঙ্গবন্ধু যখন প্রাদেশিক সরকারের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী ছিলেন তখন ১৯৫৭ সালের ৩ এপ্রিল তার দূরদর্শিতায় চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন প্রতিষ্ঠার বিল আনা হয়। প্রতিষ্ঠিত হয় আজকের বাংলাদেশে চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (এফডিসি)।

সিনেমা অঙ্গনকে ভালোবেসে এদেশের চলচ্চিত্রের উন্নয়নে আমৃত্যু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, তিনি নিজেও সিনেমাতে অভিনয় করেছেন। বঙ্গবন্ধু অভিনীত সিনেমাটির নাম ‘সংগ্রাম’। ছবিটি পরিচালনা করেন প্রয়াত নির্মাতা চাষী নজরুল ইসলাম।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক চলচ্চিত্র ‘সংগ্রাম’। এতে ছোট্ট এক ভূমিকায় হাজির হয়েছিলেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ এই বাঙালি। সে সময়ের চিত্রনায়ক কামরুল আলম খান খসরু ও চাষী নজরুল ইসলামের অনুরোধে ছোট্ট ওই চরিত্রে অভিনয়ে রাজি হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু।

ছবির চিত্রনাট্যের শেষ দিকে ছিল, মুক্তিযুদ্ধের পর সদ্য স্বাধীন দেশের সামরিক বাহিনী বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের নায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে স্যালুট করছে। এই দৃশ্য কীভাবে ধারণ করা যায় সে নিয়ে চিন্তায় পড়েছিলেন পরিচালক চাষী নজরুল ইসলাম। একপ্রকার দুঃসাহস নিয়ে বঙ্গবন্ধুকে ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব দিয়ে বসেন ছবিটির নায়ক খসরু। কিন্তু বঙ্গবন্ধু প্রথমে রাজি হননি। পরে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মান্নানকে দিয়ে সুপারিশ করিয়ে অভিনয়ের জন্য তাকে রাজি করানো হয়।

‘সংগ্রাম’ ছবিটিতে নাযক ছিলেন খসরু আর নায়িকা সূচন্দা। ছবিটি ১৯৭৪ সালে মুক্তি পায়।

বঙ্গবন্ধু যে চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন