গাজীপুরে জেলা প্রশাসনের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে দুই দিনব্যাপী“চাকরি মেলা”আয়োজন

গাজীপুরে জেলা প্রশাসনের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে দুই দিনব্যাপী“চাকরি মেলা”আয়োজন

দৈনিক প্রবাহবার্তা : শিল্প প্রতিষ্ঠানে প্রথমবারের মত হাজারো বেকারের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে , ভাওয়াল রাজবাড়ী মাঠ প্রাঙ্গণে আগামী ০৭ ও ০৮ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখ দুই দিনব্যাপী “চাকরি মেলা” আয়োজন করেছেন গাজীপুর জেলা প্রশাসন। এই মেলা উপলক্ষে প্রেস ব্রিফিং এ জানানো হয় যে, শিল্প অধ্যুষিত হিসেবে গাজীপুর জেলায় সম্প্রতি ব্যাপক কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে। উল্লেখ্য গত এক দশকে বাংলাদেশের সকল জেলার মধ্যে গাজীপুর জেলায় সর্বাধিক কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে। আরো উল্লেখ্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অগ্রাধিকার প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে গাজীপুরের আঞ্চলিক সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক উন্নত হয়েছে। ফলে গাজীপুর জেলায় ব্যবসায়িক পরিবেশ ও নিরাপত্তা অধিকতর উন্নত হয়েছে। তৎপ্রেক্ষিতে উদ্যোক্তাগণ গাজীপুর জেলাতে বিনিয়োগ করছে। ব্যবসা-বান্ধব পরিবেশ থাকায় গাজীপুরে বিশ্বখ্যাত শিল্প প্রতিষ্ঠানসহ ছোট বড় হাজার হাজার কল-কারখানা গড়ে উঠেছে। এসব শিল্প প্রতিষ্ঠানে প্রথমবারের মত হাজারো বেকারের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে জেলা প্রশাসন, গাজীপুর ভাওয়াল রাজবাড়ী মাঠ প্রাঙ্গণে ০৭ ও ০৮ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখ দুই দিনব্যাপী “চাকরি মেলা” আয়োজন করেছে যাতে শিল্প-কলকারখানা অধ্যুষিত জেলা হিসেবে চাকরিপ্রার্থী ও চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সংযোগ সৃষ্টি করা যায়। উক্ত মেলায় বেক্সিমকো টেক্সটাইল লি., স্কয়ার টেক্সটাইল মিলস লি., স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লি., নেসলে বাংলাদেশ লি., ওয়ালটন গ্রুপ, প্রাণ আরএফএল গ্রুপ, বাটা গ্রুপ, ইপিলিয়ন গ্রুপসহ ছোট-বড় প্রায় ৪০টির মতো প্রখ্যাত শিল্প প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করছে। এতে প্রায় ২০০-৩০০ জনের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা যাবে মর্মে আশা করা যায়। এছাড়াও সরকারি বিভিন্ন প্রশিক্ষণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান যেমন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, জাতীয় মহিলা সংস্থা, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়সহ জেলা প্রশাসনের দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ক তথ্য সম্বলিত স্টল থাকবে। উক্ত মেলায় বিভিন্ন স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাগণ তাদের কাজ করার দক্ষতা, অভিজ্ঞতা বিনিময় করবেন। ক্যারিয়ার বাছাই, জীবন বৃত্তান্ত  প্রস্তুতকরণ, উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করা ও দক্ষতা কিভাবে বৃদ্ধি করা যায় সে বিষয় নিয়ে মূল্যবান পরামর্শ প্রদান করবেন। চাকরি ও ব্যবসার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য প্রযুক্তি ও ভাষাগত দক্ষতা কিভাবে বৃদ্ধি করা যায় ও এর প্রয়োজনীয়তা নিয়েও আলোচনা করবেন। মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে জনাব আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক এমপি, মাননীয় মন্ত্রী, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে জনাব মো: জাহিদ আহসান রাসেল এমপি, মাননীয় প্রতিমন্ত্রী, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। মেলায় বিশেষ অতিথি হিসেবে অধ্যাপক ড. মো: গিয়াসউদ্দীন মিয়া, উপাচার্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর,  অধ্যাপক ড. মো: হাবিবুর রহমান, উপাচার্য, ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর,  অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, উপাচার্য, ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি, গাজীপুর, প্রফেসর ড. এ. বি. এম. ইসমাইল হোসেন খান অধ্যক্ষ গাজীপুর সরকারি মহিলা কলেজ, গাজীপুর, প্রফেসর মাসুদা সিকদার, অধ্যক্ষ, ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজ, গাজীপুর,  প্রফেসর মো: রফিকুল ইসলাম, অধ্যক্ষ, টংগী সরকারি কলেজ, গাজীপুর উপস্থিত থাকবেন। উদ্বোধনী ও সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন গাজীপুর জেলার সুযোগ্য জেলা প্রশাসক জনাব আনিসুর রহমান। এই উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার গাজীপুর জেলা প্রশাসকের ভাওয়াল সম্মেলন কক্ষে এক প্রেস ব্রিফিং আয়োজন জেলা প্রশাসক। এই সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক জনাব আনিসুল রহমান,মোঃ ওয়াহিদ হোসেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা), মোঃ বিল্লাল হোসেন সিনিয়র সহকারী কমিশনার, মোঃ রুহুল আমিন শরিফ সহকারী কমিশনার এবং গাজীপুরের বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মী।

Please Share This Post in Your Social Media

শিল্প-সংস্কৃতির প্রতি অসম্ভব ভালোবাসা ছিলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের। এ ভালোবাসা থেকেই বঙ্গবন্ধু যখন প্রাদেশিক সরকারের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী ছিলেন তখন ১৯৫৭ সালের ৩ এপ্রিল তার দূরদর্শিতায় চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন প্রতিষ্ঠার বিল আনা হয়। প্রতিষ্ঠিত হয় আজকের বাংলাদেশে চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (এফডিসি)।

সিনেমা অঙ্গনকে ভালোবেসে এদেশের চলচ্চিত্রের উন্নয়নে আমৃত্যু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, তিনি নিজেও সিনেমাতে অভিনয় করেছেন। বঙ্গবন্ধু অভিনীত সিনেমাটির নাম ‘সংগ্রাম’। ছবিটি পরিচালনা করেন প্রয়াত নির্মাতা চাষী নজরুল ইসলাম।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক চলচ্চিত্র ‘সংগ্রাম’। এতে ছোট্ট এক ভূমিকায় হাজির হয়েছিলেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ এই বাঙালি। সে সময়ের চিত্রনায়ক কামরুল আলম খান খসরু ও চাষী নজরুল ইসলামের অনুরোধে ছোট্ট ওই চরিত্রে অভিনয়ে রাজি হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু।

ছবির চিত্রনাট্যের শেষ দিকে ছিল, মুক্তিযুদ্ধের পর সদ্য স্বাধীন দেশের সামরিক বাহিনী বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের নায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে স্যালুট করছে। এই দৃশ্য কীভাবে ধারণ করা যায় সে নিয়ে চিন্তায় পড়েছিলেন পরিচালক চাষী নজরুল ইসলাম। একপ্রকার দুঃসাহস নিয়ে বঙ্গবন্ধুকে ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব দিয়ে বসেন ছবিটির নায়ক খসরু। কিন্তু বঙ্গবন্ধু প্রথমে রাজি হননি। পরে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মান্নানকে দিয়ে সুপারিশ করিয়ে অভিনয়ের জন্য তাকে রাজি করানো হয়।

‘সংগ্রাম’ ছবিটিতে নাযক ছিলেন খসরু আর নায়িকা সূচন্দা। ছবিটি ১৯৭৪ সালে মুক্তি পায়।

বঙ্গবন্ধু যে চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন

শিল্প-সংস্কৃতির প্রতি অসম্ভব ভালোবাসা ছিলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের। এ ভালোবাসা থেকেই বঙ্গবন্ধু যখন প্রাদেশিক সরকারের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী ছিলেন তখন ১৯৫৭ সালের ৩ এপ্রিল তার দূরদর্শিতায় চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন প্রতিষ্ঠার বিল আনা হয়। প্রতিষ্ঠিত হয় আজকের বাংলাদেশে চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (এফডিসি)।

সিনেমা অঙ্গনকে ভালোবেসে এদেশের চলচ্চিত্রের উন্নয়নে আমৃত্যু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, তিনি নিজেও সিনেমাতে অভিনয় করেছেন। বঙ্গবন্ধু অভিনীত সিনেমাটির নাম ‘সংগ্রাম’। ছবিটি পরিচালনা করেন প্রয়াত নির্মাতা চাষী নজরুল ইসলাম।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক চলচ্চিত্র ‘সংগ্রাম’। এতে ছোট্ট এক ভূমিকায় হাজির হয়েছিলেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ এই বাঙালি। সে সময়ের চিত্রনায়ক কামরুল আলম খান খসরু ও চাষী নজরুল ইসলামের অনুরোধে ছোট্ট ওই চরিত্রে অভিনয়ে রাজি হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু।

ছবির চিত্রনাট্যের শেষ দিকে ছিল, মুক্তিযুদ্ধের পর সদ্য স্বাধীন দেশের সামরিক বাহিনী বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের নায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে স্যালুট করছে। এই দৃশ্য কীভাবে ধারণ করা যায় সে নিয়ে চিন্তায় পড়েছিলেন পরিচালক চাষী নজরুল ইসলাম। একপ্রকার দুঃসাহস নিয়ে বঙ্গবন্ধুকে ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব দিয়ে বসেন ছবিটির নায়ক খসরু। কিন্তু বঙ্গবন্ধু প্রথমে রাজি হননি। পরে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মান্নানকে দিয়ে সুপারিশ করিয়ে অভিনয়ের জন্য তাকে রাজি করানো হয়।

‘সংগ্রাম’ ছবিটিতে নাযক ছিলেন খসরু আর নায়িকা সূচন্দা। ছবিটি ১৯৭৪ সালে মুক্তি পায়।

বঙ্গবন্ধু যে চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন