খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা পলাশপুর জোন কমান্ডার কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ান গোমতি একাদশ

খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা পলাশপুর জোন কমান্ডার কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ান গোমতি একাদশ

এ এম ফাহাদ (খাগড়াছড়ি) : খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলার খেদাছড়া ব্যাটালিয়ন ৪০ বিজিবি পলাশপুর জোন কমান্ডার কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩ এর ফাইনালে গোমতি একাদশ বনাম বড়নাল স্পোটিংক্লাবকে ট্রাইব্রেকারে ৪-৫ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে গোমতি একাদশ। মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি ২০২৩ইং) বিকেলে গোমতি বিকে উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ফাইনাল ম্যাচে খেলার প্রথমার্ধে ও দ্বিতীয়ার্ধে কোন দল গোল করতে পারেনী। পরে ট্রাইব্রেকারে গোমতি একাদশ -বড়নাল স্পোটিংক্লাবকে ৪-৫ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে গোমতি একাদশ। পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো:রফিকুল ইসলাম, মাটিরাঙ্গা পৌরসভার মেয়র মো:শামছুল হক, মাটিরাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ জাকারিয়া,সুবেদার এ্যাডজুটেন্ট মোঃ আলতাফ হোসেন, বেলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো:রহমত উল্ল্যাহ, গোমতি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো:তোফাজ্জল হোসেন, বড়নাল ইউনিয়নের পরিষদের চেয়ারম্যান মো:ইলিয়াছ, আমতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো:আব্দুল গনি, গোমতি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা কাঠব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিঃএর সভাপতি মো:মনির হোসেন, গোমতি বি কে উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো:নুরুল হুদা, সহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। জোন কমান্ডার কাপ ফুটবল টুর্ণামেন্ট ফাইনাল খেলায় রেফারির দায়িত্বপালন করেন পলাশপুর জোনের বিজিবি সদস্য মো:আব্দুল্লাহ। পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন, জোন কমান্ডার লে.কর্ণেল সোহেল আহমেদ পিএসসি ইঞ্জিনিয়ার্স। তিনি বলেন,সীমান্ত সুরক্ষার পাশাপাশি শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়ন এই উদ্দীপনাকে সামনে রেখে ৪০ বিজিবি খেদাছড়া ব্যাটালিয়ন পলাশপুর জোন পাহাড়ে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্টিদের জন্য আন্তরিকতার সহিত কাজ করে যাচ্ছে। খেলাধুলা মানুষের মনকে প্রফুল্ল করে যুব সমাজকে মাদকাসক্ত থেকে দূরে রাখে স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে উৎসাহ উদ্দীপনার মাধ্যমে বিভিন্ন খেলাধুলা ও সামাজিক কর্মকাণ্ডের এরই ধারাবাহিকতায় জোন কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

Please Share This Post in Your Social Media

শিল্প-সংস্কৃতির প্রতি অসম্ভব ভালোবাসা ছিলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের। এ ভালোবাসা থেকেই বঙ্গবন্ধু যখন প্রাদেশিক সরকারের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী ছিলেন তখন ১৯৫৭ সালের ৩ এপ্রিল তার দূরদর্শিতায় চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন প্রতিষ্ঠার বিল আনা হয়। প্রতিষ্ঠিত হয় আজকের বাংলাদেশে চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (এফডিসি)।

সিনেমা অঙ্গনকে ভালোবেসে এদেশের চলচ্চিত্রের উন্নয়নে আমৃত্যু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, তিনি নিজেও সিনেমাতে অভিনয় করেছেন। বঙ্গবন্ধু অভিনীত সিনেমাটির নাম ‘সংগ্রাম’। ছবিটি পরিচালনা করেন প্রয়াত নির্মাতা চাষী নজরুল ইসলাম।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক চলচ্চিত্র ‘সংগ্রাম’। এতে ছোট্ট এক ভূমিকায় হাজির হয়েছিলেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ এই বাঙালি। সে সময়ের চিত্রনায়ক কামরুল আলম খান খসরু ও চাষী নজরুল ইসলামের অনুরোধে ছোট্ট ওই চরিত্রে অভিনয়ে রাজি হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু।

ছবির চিত্রনাট্যের শেষ দিকে ছিল, মুক্তিযুদ্ধের পর সদ্য স্বাধীন দেশের সামরিক বাহিনী বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের নায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে স্যালুট করছে। এই দৃশ্য কীভাবে ধারণ করা যায় সে নিয়ে চিন্তায় পড়েছিলেন পরিচালক চাষী নজরুল ইসলাম। একপ্রকার দুঃসাহস নিয়ে বঙ্গবন্ধুকে ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব দিয়ে বসেন ছবিটির নায়ক খসরু। কিন্তু বঙ্গবন্ধু প্রথমে রাজি হননি। পরে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মান্নানকে দিয়ে সুপারিশ করিয়ে অভিনয়ের জন্য তাকে রাজি করানো হয়।

‘সংগ্রাম’ ছবিটিতে নাযক ছিলেন খসরু আর নায়িকা সূচন্দা। ছবিটি ১৯৭৪ সালে মুক্তি পায়।

বঙ্গবন্ধু যে চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন