কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থা মুখ থুবড়ে পড়ছে

কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থা মুখ থুবড়ে পড়ছে

প্রবাহবার্তা, বিশেষ প্রতিনিধি : কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থা অগ্রাধিকার ভিত্তি মুখ থুবড়ে পড়ছে । কারিগরি শিক্ষার উন্নয়নের চালিকা শক্তি পথ প্রদর্শক বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারীরা চরম হতাশায় ভুগছে। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারীরা বছরের পর বছর বিনা বেতনে চাকরি করে আশায় থাকে একদিন তাদের প্রিয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিও ভুক্ত হবে অতপর নিজেরা এমপিও ভুক্ত হতে পারবে। মাউশির ক্ষেত্রে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারীদের স্বপ্ন পুরন হলেও কারিগরি মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের এমপিও যেন সোনার হরিণ। এক্‌ই মন্ত্রীর একই মন্ত্রণালয়ের মাউশি ও কারিগরি মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের নীতিমালার মধ্যে ব্যবধান অনেক । নীতিমালা শিথিল হওয়া উচিৎ কারিগরি শিক্ষা ব্যাবস্থার কিন্তু হয়েছে উল্টা । মাউশির নীতিমালা শিথিল আর কারিগরির নীতিমালা শর্তের বেড়াজালে বন্দি । কারিগরি শিক্ষক কর্মচারীদের কঠিন নীতিমালার শর্তের বেড়াজাল ভেদ করে এমপিও প্রাপ্তি প্রায় অসম্ভব । অথচ কারিগরি শিক্ষাকে অগ্রাধিকারের অগ্রাধিকার দেওয়া সময়ের দাবী ।

জাতির পিতার বঙ্গবন্ধুর যোগ্য উত্তর সুরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । তিনিও বাবার মতোই প্রখর দুরদৃষ্টি সম্পন্ন ।ম্যাজিকের মতো অবিশ্বাস্য দেশের উন্নয়ন বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোলমডেল।সরকারের ভিশন এখন  রূপকল্প ২০৪১ । ২০৪১ সালের বাংলাদেশ হবে মধ্যম আয়ের পর্যায় পেরিয়ে এক শান্তিপূর্ণ, সমৃদ্ধ,সুখী এবং উন্নত দেশ । সুশাসন, জনগণের সক্ষমতা ও ক্ষমতায়ন হবে এই অগ্রযাত্রার মূলমন্ত্র। শিক্ষা মানুষের মৌলিক অধিকার এবং আর্থ সামাজিক উন্নয়নের চাবিকাঠি। যুগোপযোগী শিক্ষা ব্যবস্থা ছাড়া সুশিক্ষিত ও দক্ষ মানব সম্পদ গড়ে তোলা সম্ভব নয়। তাই বর্তমান সরকার ভিশন  ২০৪১ কে সামনে রেখে শিক্ষা ক্ষেত্রে শৃংখলা আনয়নের লক্ষ্যে সুশিক্ষিত ও দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলার জন্য ‘শিক্ষাকে দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রধান হাতিয়ার বিবেচনায় নিয়ে  দেশের সার্বিক উন্নয়নে শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর কাজ করে যাচ্ছে । স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলাসহ জাতীয় সক্ষমতা অর্জনে কারিগরি শিক্ষার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মানব পুঁজি সৃষ্টির লক্ষ্যে ডক্টর কুদরত ই খোদাকে প্রধান করে শিক্ষা কমিশন গঠন করেন। এ কমিশনের বৈশিষ্ট্য ছিল দক্ষতা নির্ভর শিক্ষা। বিশ্বে যেসব দেশ দ্রম্নত উন্নতি অর্জন করেছে তারা সবাই বাস্তবমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা প্রণয়ন করেছে। বঙ্গবন্ধু যে স্বপ্ন দেখেছেন সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হলে কারিগরি শিক্ষাকে উন্নত করার কোন বিকল্প নাই। আর কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত দক্ষ মানব সম্পদ গড়তে হলে বেসরকারি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোকে মূল্যায়ন করতে হবে দিতে হবে বিশেষ নজর।কিন্তু করিগরি শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন কথা মালার মধ্যেই সীমাবদ্ধ বাস্তবে কারিগরি শিক্ষা অবহেলিত ছিল,আছে,থাকছে।কারিগরি-ও-মাদ্রাসা-শিক্ষা-বিভাগের নতুন-এমপিও ভূক্তি-করার জন্য -শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বর্তমানে যে খসড়া তালিকা করা হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে বাজেটের  প্রায় সাত কোটি টাকা উদ্বৃত্ত থেকে যাচ্ছে । অপর দিকে মাউশি এমপিও ভুক্তিতে করোনার কারণে প্রতিষ্ঠান নবায়ন এবং জমির খাজনা এবিষয় গুলোকে শিথিল করে দেওয়া হয়েছে  অর্থাৎ করোনার কারণে খাজনা যারা দিতে পারেনি এবং নবায়ন করতে পারেনি কিন্তু স্বীকৃতি আছে এইরকম বিষয় গুলোকে শিথিল করে প্রায় একাত্তর টি প্রতিষ্ঠান খসড়া তালিকায় যুক্ত হয়েছে। অন্যান্য শর্তগুলো পূরণ ছিল যেমন… পরীক্ষার্থী ফলাফল ছাত্রছাত্রী। অন্যদিকে কারিগরি শিক্ষা বিভাগে এই ধরনের কোনো শিথিল করা হয়নি। কারিগরি শিক্ষা যে অবহেলিত এটা সুস্পষ্ট । সরকার কারিগরি শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন। কিন্তু কমবেশি প্রায় দুইশত উপজেলায় কোন কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্তির তালিকায় সংযুক্ত করা হয়নি । শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি মাদ্রাসা যেহেতু অলাদা বিভাগ । আলাদা বাজেট । সেহেতু দেশের উন্নয়নের স্বার্থে কারিগরি মাদ্রাসা মিলিয়ে প্রতিটি উপজেলায় নুন্যতম একটি প্রতিষ্ঠানকে শর্ত শিথিল করে একটা নির্দিষ্ট নিয়মের মধ্যে দিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোকে এমপিও ভুক্তির জন্য আবেদন জানিয়েছেন শিক্ষক,কর্মচারীরা ।এমপিও ভুক্তির দিকে তাকিয়ে বেসরকারি শিক্ষপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক,কর্মচারীরা বিনা বেতনে বছরের পর বছর চাকরি করে আসছেন। কোন কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দশ,পনেরো বছর ধরে অপেক্ষা করছে এমপিও প্রাপ্তির আশায়।দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর প্রত্যাশিত ফল না পাওয়ায় আদালতের আশ্রয় নিয়ে মামলা-মোকদ্দমা করেন ।শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করন এর মাধ্যমে সরাসরি শিক্ষক কর্মচারীরা আর্থিক সুবিধা পেয়ে থাকেন। আর্থসামাজিক উন্নয়নের বিবেচনায় প্রধানমন্ত্রীর সামাজিক সুরক্ষা স্লোগানকে সার্থক করার জন্য… দেশের মানুষের আয় বৃদ্ধি করার জন্য… বেকার সমস্যা সমাধানের জন্য.. জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের জন্য… এই এমপিওভুক্ত করণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সামাজিক সুরক্ষা দিতে অনেকগুলো প্রকল্প বিভিন্ন মন্ত্রণালয় হাতে নিয়ে থাকেন। বিশিষ্ট শিক্ষাবিদরা মনে করেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এই এমপিও কার্যক্রম সবচাইতে কার্যকর ও  উত্তম একটি প্রকল্প হতে পারে।

Please Share This Post in Your Social Media

শিল্প-সংস্কৃতির প্রতি অসম্ভব ভালোবাসা ছিলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের। এ ভালোবাসা থেকেই বঙ্গবন্ধু যখন প্রাদেশিক সরকারের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী ছিলেন তখন ১৯৫৭ সালের ৩ এপ্রিল তার দূরদর্শিতায় চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন প্রতিষ্ঠার বিল আনা হয়। প্রতিষ্ঠিত হয় আজকের বাংলাদেশে চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (এফডিসি)।

সিনেমা অঙ্গনকে ভালোবেসে এদেশের চলচ্চিত্রের উন্নয়নে আমৃত্যু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, তিনি নিজেও সিনেমাতে অভিনয় করেছেন। বঙ্গবন্ধু অভিনীত সিনেমাটির নাম ‘সংগ্রাম’। ছবিটি পরিচালনা করেন প্রয়াত নির্মাতা চাষী নজরুল ইসলাম।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক চলচ্চিত্র ‘সংগ্রাম’। এতে ছোট্ট এক ভূমিকায় হাজির হয়েছিলেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ এই বাঙালি। সে সময়ের চিত্রনায়ক কামরুল আলম খান খসরু ও চাষী নজরুল ইসলামের অনুরোধে ছোট্ট ওই চরিত্রে অভিনয়ে রাজি হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু।

ছবির চিত্রনাট্যের শেষ দিকে ছিল, মুক্তিযুদ্ধের পর সদ্য স্বাধীন দেশের সামরিক বাহিনী বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের নায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে স্যালুট করছে। এই দৃশ্য কীভাবে ধারণ করা যায় সে নিয়ে চিন্তায় পড়েছিলেন পরিচালক চাষী নজরুল ইসলাম। একপ্রকার দুঃসাহস নিয়ে বঙ্গবন্ধুকে ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব দিয়ে বসেন ছবিটির নায়ক খসরু। কিন্তু বঙ্গবন্ধু প্রথমে রাজি হননি। পরে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মান্নানকে দিয়ে সুপারিশ করিয়ে অভিনয়ের জন্য তাকে রাজি করানো হয়।

‘সংগ্রাম’ ছবিটিতে নাযক ছিলেন খসরু আর নায়িকা সূচন্দা। ছবিটি ১৯৭৪ সালে মুক্তি পায়।

বঙ্গবন্ধু যে চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন