ইটালির ভেনিস আওয়ামী লীগের আয়োজনে ৫১তম মহান বিজয় উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত

ইটালির ভেনিস আওয়ামী লীগের আয়োজনে ৫১তম মহান বিজয় উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত

মোহাম্মদ মেসবাহ্ উদ্দিন আলাল ইউরোপ বুরো চীপ : ইটালির ভেনিস আওয়ামী লীগের আয়োজনে বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রবিবার ভেনিস মেস্ত্রে’র একটি হলরুমে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন ভেনিস আওয়ামী লীগের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি সরদার সালাউদ্দিন নান্নু। ভেনিস আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক আহম্মেদ ও মোক্তার মোল্লার সঞ্চালনায় উক্ত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইতালি আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি মতিউর রহমান ভুলু ছৈয়াল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আব্দুল্লাহপুর আঞ্চলিক সমিতির প্রধান উপদেষ্টা ও ভেনিস আওয়ামী লীগ নেতা রফিকুল বারি, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভেনিস আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি বিল্লাল হোসেন ঢালি।

ভেনিস আওয়ামী যুবলীগের সার্বিক সহযোগিতায় এ আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, সর্বজনাব আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মান্নান, তাজুল ইসলাম, মোঃ নজরুল ইসলাম, ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য কাজী আব্দুল বাকী রোনাক, ভেনিস যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তফা সৈয়াল কালুসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ। বক্তারা বলেন, ৩০ লাখ শহীদ ও মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে আমরা বিজয় অর্জন করেছি। সেই বীরদের প্রতি আমরা বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই। আজও একটি চক্র মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি করে চলেছে, তাই আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগকে জয়যুক্ত করে দেশের উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ থেকে ভিডিও কলে বক্তব্য রাখেন ইতালি আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক তারুণ্যের অহংকার মোঃ আলমগীর হোসেন। উল্লেখ্য, ইটালি আওয়ামী লীগের সম্মানিত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মাহতাব হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে ইটালি আওয়ামী লীগের একটি বিশাল প্রতিনিধি দল সদ্যসমাপ্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলনে যোগদান করেছেন। পরিশেষে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বিজয় দিবসের কর্মসূচির সমাপ্তি ঘটে।

Please Share This Post in Your Social Media

শিল্প-সংস্কৃতির প্রতি অসম্ভব ভালোবাসা ছিলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের। এ ভালোবাসা থেকেই বঙ্গবন্ধু যখন প্রাদেশিক সরকারের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী ছিলেন তখন ১৯৫৭ সালের ৩ এপ্রিল তার দূরদর্শিতায় চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন প্রতিষ্ঠার বিল আনা হয়। প্রতিষ্ঠিত হয় আজকের বাংলাদেশে চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (এফডিসি)।

সিনেমা অঙ্গনকে ভালোবেসে এদেশের চলচ্চিত্রের উন্নয়নে আমৃত্যু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, তিনি নিজেও সিনেমাতে অভিনয় করেছেন। বঙ্গবন্ধু অভিনীত সিনেমাটির নাম ‘সংগ্রাম’। ছবিটি পরিচালনা করেন প্রয়াত নির্মাতা চাষী নজরুল ইসলাম।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক চলচ্চিত্র ‘সংগ্রাম’। এতে ছোট্ট এক ভূমিকায় হাজির হয়েছিলেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ এই বাঙালি। সে সময়ের চিত্রনায়ক কামরুল আলম খান খসরু ও চাষী নজরুল ইসলামের অনুরোধে ছোট্ট ওই চরিত্রে অভিনয়ে রাজি হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু।

ছবির চিত্রনাট্যের শেষ দিকে ছিল, মুক্তিযুদ্ধের পর সদ্য স্বাধীন দেশের সামরিক বাহিনী বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের নায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে স্যালুট করছে। এই দৃশ্য কীভাবে ধারণ করা যায় সে নিয়ে চিন্তায় পড়েছিলেন পরিচালক চাষী নজরুল ইসলাম। একপ্রকার দুঃসাহস নিয়ে বঙ্গবন্ধুকে ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব দিয়ে বসেন ছবিটির নায়ক খসরু। কিন্তু বঙ্গবন্ধু প্রথমে রাজি হননি। পরে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মান্নানকে দিয়ে সুপারিশ করিয়ে অভিনয়ের জন্য তাকে রাজি করানো হয়।

‘সংগ্রাম’ ছবিটিতে নাযক ছিলেন খসরু আর নায়িকা সূচন্দা। ছবিটি ১৯৭৪ সালে মুক্তি পায়।

বঙ্গবন্ধু যে চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন