আওয়ামী লীগের ক্ষমা পেলেন বাসাইলের কাজী অলিদ ইসলাম

আওয়ামী লীগের ক্ষমা পেলেন বাসাইলের কাজী অলিদ ইসলাম

দৈনিক প্রবাহবার্তা অর্ণব আল আমিন, বাসাইল,টাঙ্গাইলঃভবিষ্যতে সংগঠনের স্বার্থ পরিপন্থী ও শৃঙ্খলা ভঙ্গ না করার শর্তে বাসাইল উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী অলিদ ইসলামকে ক্ষমা ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সই করা এক চিঠিতে এই ক্ষমা করার কথা জানানো হয়েছে। চেয়ারম্যান কাজী অলিদ ইসলাম জানিয়েছেন, তিনি বুধবার(২৫ জানুয়ারী) রাতে চিঠি হাতে পেয়েছেন।

ক্ষমা ঘোষণা করে দেওয়া ওবায়দুল কাদেরের সই করা চিঠিতে বলা হয়,“ জাতীয় নিবার্চন ও স্থানীয় পার্যায়ের বিভিন্ন নিবার্চনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দীতার অভিযোগে ইতিপূর্বে আপনাকে সংগঠন থেকে অব্যহতি প্রদান করা হয়। আপনার বিরুদ্ধে আনীত সংগঠন বিরোধী কর্মকান্ডের অভিযোগ স্বীকার করে আপনি আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন এবং ভবিষ্যতে সংগঠনের গঠনতন্ত্র, নীতি ও আদর্শ পরিপন্থী কোন কার্যকলাপে সম্পৃত্ত হবেন না মর্মে অঙ্গিকার ব্যাক্ত করেছেন। এমতাবস্থায় গত ১৭ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখ গণভবনে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের জাতীয় কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সংগঠনের গঠনতন্ত্রের ১৭(৬) এবং ৪৭(২) ধারা মোতাবেক বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের নিকট সাধারণ ক্ষমা প্রার্থনা করে আপনার প্রেরিত লিখিত আবেদন পর্যালোচনা এবং ভবিষ্যতে সংগঠনের স্বার্থপরীপন্থী কর্মকান্ড ও শৃঙ্খলা ভঙ্গ না করার শর্তে আপনার প্রতি ক্ষমা প্রদর্শন করা হলো। তবে ভবিষ্যতে এ ধরনের সংগঠনবিরোধী কর্মকান্ডে লিপ্ত হলে তা ক্ষমার অযোগ্য বিবেচিত হবে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে”।

জানতে চাইলে কাজী অলিদ ইসলাম বলেন, ‘দল আমাকে ক্ষমা করায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমি চির কৃতজ্ঞ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আগামীদিনে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে দেশ ও জনগণের জন্য নিবেদিত হয়ে কাজ করে যেতে চাই। এর জন্য সবার কাছে দোয়া চাই।’

এব্যাপারে উপজেলা আওয়ামীলীগের বর্তমান সভাপতি হাজী মতিয়ার রহমান গাউস তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, দলের সিদ্ধান্ত সবকিছুর উর্ধ্বে। দল তাকে ক্ষমা করেছে। তিনি দলীয় কোন পদে আসতে পারবে না, কোন মনোনয়নও চাইতে পারবেনা। একজন সাধারণ সদস্যের মতন তিনিও আওয়ামীলীগের কর্মকান্ডে অংশ গ্রহন করতে পারবেন।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ১৫ অক্টোবর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জাআজম এমপি’র দেয়া চিঠির প্রেক্ষিতে ১৬ অক্টোবর কাজী অলিদ ইসলামকে জেলা আওয়ামীলীগ দলীয় পদ থেকে অব্যহতির চিঠি পাঠান। তবে সদস্যপদ বহাল থাকবে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

শিল্প-সংস্কৃতির প্রতি অসম্ভব ভালোবাসা ছিলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের। এ ভালোবাসা থেকেই বঙ্গবন্ধু যখন প্রাদেশিক সরকারের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী ছিলেন তখন ১৯৫৭ সালের ৩ এপ্রিল তার দূরদর্শিতায় চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন প্রতিষ্ঠার বিল আনা হয়। প্রতিষ্ঠিত হয় আজকের বাংলাদেশে চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (এফডিসি)।

সিনেমা অঙ্গনকে ভালোবেসে এদেশের চলচ্চিত্রের উন্নয়নে আমৃত্যু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, তিনি নিজেও সিনেমাতে অভিনয় করেছেন। বঙ্গবন্ধু অভিনীত সিনেমাটির নাম ‘সংগ্রাম’। ছবিটি পরিচালনা করেন প্রয়াত নির্মাতা চাষী নজরুল ইসলাম।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক চলচ্চিত্র ‘সংগ্রাম’। এতে ছোট্ট এক ভূমিকায় হাজির হয়েছিলেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ এই বাঙালি। সে সময়ের চিত্রনায়ক কামরুল আলম খান খসরু ও চাষী নজরুল ইসলামের অনুরোধে ছোট্ট ওই চরিত্রে অভিনয়ে রাজি হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু।

ছবির চিত্রনাট্যের শেষ দিকে ছিল, মুক্তিযুদ্ধের পর সদ্য স্বাধীন দেশের সামরিক বাহিনী বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের নায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে স্যালুট করছে। এই দৃশ্য কীভাবে ধারণ করা যায় সে নিয়ে চিন্তায় পড়েছিলেন পরিচালক চাষী নজরুল ইসলাম। একপ্রকার দুঃসাহস নিয়ে বঙ্গবন্ধুকে ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব দিয়ে বসেন ছবিটির নায়ক খসরু। কিন্তু বঙ্গবন্ধু প্রথমে রাজি হননি। পরে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মান্নানকে দিয়ে সুপারিশ করিয়ে অভিনয়ের জন্য তাকে রাজি করানো হয়।

‘সংগ্রাম’ ছবিটিতে নাযক ছিলেন খসরু আর নায়িকা সূচন্দা। ছবিটি ১৯৭৪ সালে মুক্তি পায়।

বঙ্গবন্ধু যে চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন