প্রবাহবার্তা প্রতিবেদন :রবিবার থেকে রাজধানী ঢাকার চার স্থানসহ সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ ও বঙ্গবন্ধুর জন্মস্থান গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় পরীক্ষামূলকভাবে চালু হচ্ছে ফাইভ জি সেবা। এর মাধ্যমে পঞ্চম প্রজন্মের ফাইভ জি নেটওয়ার্কের যুগে প্রবেশ করছে বাংলাদেশ।
শনিবার ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তফা জব্বার সচিবালয়ের পিআইডিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ভার্চুয়ালি যুক্ত থেকে এ ঐতিহাসিক যাত্রার শুভ উদ্বোধন করবেন।
তিনি জানান, রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইল ফোন অপারেটর টেলিটকের মাধ্যমে পরীক্ষামূলকভাবে এই সেবা চালু হচ্ছে। পরে টেলিটক রাজধানীর ২০০ স্থানকে এ নেটওয়ার্কের আওতায় আনবে।
আগামী বছর মার্চে বেতার তরঙ্গ বরাদ্দ নিলামের পর বেসরকারি তিনটি মোবাইল ফোন অপারেটর ফাইভ জি প্রযুক্তিতে যাবে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তফা জব্বার।
রাজধানীর চারটি জায়গা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর, বাংলাদেশ সচিবালয় ও সংসদ ভবন এলাকা।
রবিবার ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবসের দিন ছয়টি জায়গায় পরীক্ষামূলকভাবে ফাইভ জি চালু হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ২০২২ সালের পর টেলিটক ও বিটিসিএল এর মাধ্যমে দেশের গুরুত্বপূর্ণ শিল্পাঞ্চল বিশেষ করে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে এ সেবা চালুর প্রস্তুতির কাজও চলছে।
ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে ২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত দূরদৃষ্টি কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ফাইভ জি যুগে প্রবেশ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০২০ সালে বিশ্বের ছয় থেকে সাতটি দেশ ফাইভ জি প্রযুক্তি চালু করতে সক্ষম হয়।
তিনি বলেন,“উদ্বোধনের মাহেন্দ্রক্ষণটি ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের ইতিহাসে এটি অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে। মালয়েশিয়া আগামী মার্চে পরীক্ষামূলকভাবে ফাইভ জি চালু করতে যাচ্ছে। আমাদের জন্য অহংকারের বিষয় হচ্ছে বিশ্বের অনেক উন্নত দেশ এখনও ফাইভ জি যুগে যেতে পারেনি, আমরা যাচ্ছি।”
সংবাদ সম্মেলন বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার ও টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।