প্রবাহবার্তা প্রতিবেদন :চলতি বছরের মে’তে নারী নির্যাতন উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে। ওই মাসে ১৩৬ জন নারী এবং ১০৪ জন কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। বুধবার বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। সংস্থার লিগ্যাল এইড উপ-পরিষদে সংরক্ষিত ১৩টি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।
বিবৃতিতে জানানো হয়, মে’তে মোট নির্যাতনের শিকার ২৪০ জনের মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৯৫ জন। তাদের মধ্যে ৪৫ জন কন্যাশিশু রয়েছে। তাদের মধ্যে পাঁচজন কন্যাশিশু সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে। তিনজন কন্যাশিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। এ সময় ধর্ষণের কারণে আত্মহত্যা করেছে দুই কন্যাশিশু।
এছাড়া ওই মাসে সাত কন্যাশিশুসহ ১২ জনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। একজন শ্নীলতাহানির শিকার হয়েছেন। দুই কন্যাশিশুসহ সাতজন যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। অগ্নিদগ্ধের শিকার হয়েছেন একজন।
সাত কন্যাশিশু অপহরণের শিকার ও তিন কন্যাশিশুকে অপহরণের চেষ্টা করা হয়েছে। বিভিন্ন কারণে ১১ কন্যাশিশুসহ ৪১ জনকে হত্যা করা হয়েছে। যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন নয়জন। তাদের মধ্যে তিনজনকে যৌতুকের কারণে হত্যা করা হয়েছে। এ সময় শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন দু’জন কন্যাশিশুসহ মোট ছয়জন। ৯ কন্যাশিশুসহ ৩৬ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।
মহিলা পরিষদ মনে করে, পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে প্রতিবেদন প্রকাশ পায় বলে প্রকৃত ঘটনা আরও অনেক বেশি। কারণ সব ঘটনা পত্রিকায় আসে না।