হেফাজতের ডাকা হরতালে সহিংসতা সৃষ্টির প্ররোচণা দেওয়ার অভিযোগে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ বিএনপির সভাপতি নিপুণ রায়কে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেছেন পুলিশ।
আজ সোমবার তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় রাজধানীর হাজারিবাগ থানায় করা মামলায় তাকে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করে পুলিশ। ঢাকা মহানগর হাকিম মোর্শেদ আল মামুন ভূইয়ার আদালতে এ রিমান্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
জানা গেছে, নিপুণ রায় চৌধুরী রবিবার (২৮ মার্চ) হেফাজতের হরতালে তার দলীয় ক্যাডারদের গাড়ি পোড়ানোর নির্দেশনা দেন। নাশকতার নির্দেশদাতা হিসেবে রবিবার বিকেলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে নিপুণ রায়ের নির্দেশনা পালনকারী কেরানীগঞ্জের স্থানীয় বিএনপি নেতা আরমান, খোরশেদ ও শাহীনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
নিপুণ রায় ও আরমানের ওই অডিওক্লিপের কথোপকথনে প্রথমে নিপুণ রায় ফোন করেন। তাতে শোনা গেছে-
নিপুণ রায় : আরমান ভাই, এলাকাতেই তো আছেন তাই না? কালকে তো হরতাল, একটা কিছু করা যাবে না?
আরমান : কী করতে হবে বলেন।
নিপুণ রায় : ধরায় দেন।
আরমান : ওকে ঠিক আছে।
নিপুণ রায় : বাস হোক যেটায় হোক, একদম পুরা, ফুল ধরবে, ফুল ধরবে। একটু দূর থেকে ভিডিও ছবি আমারে পাঠাবেন, অবশ্যই অবশ্যই। ঠিক আছে? আমি কিন্তু জায়গামতো পাঠাবো। হ্যাঁ, ওইটা মাথায় রাখবেন। ঠিক আছে, আজকেই আজকেই।
আরমান : ওকে।
নিপুণ রায় : বের হন।
আরমান : ইনশাল্লাহ।
নিপুণ রায় : এটা আমি দেখতে চাই। একদম দাউদাউ।’
এরপর আরমানের ফোন রিসিভ করেন নিপুণ রায়। সেখানে বলা হয়েছে-
আরমান : ভিডিও করতে পারিনি। ছবি পাঠিয়েছি। লীগের লোকজন ঘেরা। পুলিশ ঘিরে রেখেছে।
নিপুণ রায় : ওকে, সরে দাঁড়ান।
আরমান : সরে গেছি গা।
নিপুণ রায় : হোয়াটসঅ্যাপে পাঠান।
আরমান : হুম, হোয়াটসঅ্যাপেই পাঠাইছি।