দোলযাত্রা রোববার। করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং ধর্মীয় রীতিনীতি অনুযায়ী দোলযাত্রা উদযাপিত হবে। পূজা উদযাপন পরিষদ এবং হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ নির্বিঘ্নে উৎসব উদযাপনে হেফাজতে ইসলামের রোববারের সকাল-সন্ধ্যা হরতাল প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে।
হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় এই উৎসব শ্রীকৃষ্ণের দোলযাত্রা নামে অধিক পরিচিত। এই উৎসবে ভক্তরা সৃষ্টিকর্তার কাছে ন্যায়ের বিজয় ও অন্যায়ের বিনাশ প্রার্থনা করেন। দ্বাপর যুগ থেকে শ্রীকৃষ্ণের এ দোলযাত্রা বা দোল উৎসব চলে আসছে। পুষ্পরেণুর মাধ্যমে রাধা-কৃষ্ণ দোল উৎসব করতেন। সময়ের বিবর্তনে পুষ্পরেণু ‘আবির’ নামের লাল রঙের এক ধরনের পাউডারে রূপান্তরিত হয়েছে।
বাংলাদেশের সব মত ও পথের হিন্দুরা দোল উৎসব পালন করে। উৎসবটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, মাদ্রাজ, ওডিশা প্রভৃতি স্থানে দোল উৎসব এবং উত্তর, পশ্চিম ও মধ্য ভারতে ‘হোলি’ নামে পরিচিত। এ উৎসবকে বসন্ত উৎসবও বলা হয়।
এ উপলক্ষে হিন্দু সম্প্রদায় আজ বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান আয়োজন করবে। মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটি সকাল সাড়ে ৮টায় ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির মেলাঙ্গনে পূজা, হোমযজ্ঞ, আবির খেলা ও কীর্তন করবে। তবে করোনার কারণে জনসমাগম এড়াতে এবার প্রসাদ বিতরণের কর্মসূচি থাকছে না। রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের মন্দির, মঠ ও পূজামণ্ডপে একই কর্মসূচি আয়োজন করা হবে।
পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মিলন কান্তি দত্ত, সাধারণ সম্পাদক নির্মল কুমার চ্যাটার্জি, মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি শৈলেন্দ্র নাথ মজুমদার ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কিশোর রঞ্জন মণ্ডল এক বিবৃতিতে দোল পূর্ণিমা উপলক্ষে হিন্দু সম্প্রদায়সহ দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তারা একই সঙ্গে রোববার সকাল-সন্ধ্যা হরতাল প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন।
হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত পৃথক বিবৃতিতে দোলযাত্রার কারণে রোববারের হরতাল প্রত্যাহারের জন্য হেফাজতে ইসলামের নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।