একদিকে বর্ষাকাল অন্যদিকে করোনার আতঙ্ক। এই সময় সব কিছু থেকে সুরক্ষা থাকা চাই। এই সময় রোগ প্রতিরোধ বাড়াতে নিয়মিত শাকসবজি খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। কিন্তু এমন একটি বিশেষ সবজি আছে, যা সহজেই আপনি প্রতিদিন খেতে পারেন। তাও আবার রান্না না করলেও চলে, দিব্যি কাঁচা চিবিয়ে খেতে পারেন এটি।
খাবারের তালিকায় রসুন রাখলে আপনি বেঁচে যেতে পারেন নানারকম অসুখের হাত থেকে। গবেষণায় দেখা গেছে, একটি মাঝারি সাইজের রসুনে এক লাখ ইউনিট পেনিসিলিনের সমান অ্যান্টিবায়োটিকের কার্যক্ষমতা রয়েছে। শুধু তাই নয়, ব্যাকটেরিয়া ও প্রোটোজোয়ার মাধ্যমে সৃষ্টি অ্যামিবিক ডিসেনট্রি নির্মূলের ক্ষেত্রে রসুন বেশ কার্যকরী।
চলুন জেনে নিই, রসুনের কিছু উপকারিতা-
যারা উচ্চরক্তচাপে ভুগছেন তারা রসুন খেতে পারেন। উপকার পাবেন। রক্তে কোলেস্টেরল স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হলে কাঁচা রসুন চিবিয়ে খান। সর্দি কাশিতেও রসুন উপকারী।
শরীরের ব্যথা কমায় রসুন। রসুন হচ্ছে ন্যাচারাল পেইন কিলার। শিশু কিংবা বড়দের দাঁতে ব্যথা হলে একে কোষ রসুন চিবালে দাঁতে ব্যথা উপশম হবে।
রসুন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক রসুন।
নিয়মিত রসুন খেলে ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসজনিত রোগের ঝুঁকি কমে যায়।
যেভাবে রসুন খাবেন-
পূর্ণবয়স্কদের ক্ষেত্রে ২ থেকে ৩টি রসুনের কোয়া খেতে বলছেন পুষ্টিবিদরা। প্রতিদিন সকালে এক কোয়া রসুন কাঁচা চিবিয়ে খেলে তা সবচেয়ে বেশি উপকারে আসে। রান্না করার সময় রসুন কুচি কুচি কেটে বা থেঁতো করে দিলে তা সক্রিয় উপাদান অ্যালিসিনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। তবে সে ক্ষেত্রে রসুন ধুয়ে কেটে মিনিট দশেক রেখে তবেই রান্নায় ব্যবহার করতে পারলে ভালো। যদিও বেশি রান্না করলে রসুনে থাকা অ্যালিসিন নষ্ট হয়ে যায়। বেটে দেওয়া রসুনে খাবারের স্বাদ বাড়লেও কাঁচা রসুন খাওয়াই বেশি উপকারী বলে জানান পুষ্টিবিদ।
রসুনের মধ্যে নানা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকায়, প্রতিদিন অল্প রসুন খাওয়াই যায়। কোলেস্টেরল ছাড়াও এটি নিয়ন্ত্রণে রাখে রক্তে সুগারের মাত্রা। খালি পেটে, অর্থাৎ অনেকটা সময় পেট খালি থাকার পর এটি খেলে এর রস সহজে শরীরকে ডি-টক্সিফাই করতে পারে বেশি পরিমাণে।