দৈনিক প্রবাহবার্তা : গভর্নমেন্ট ক্লাউড বা জি-ক্লাউড সার্ভারের দেশে প্রবেশ করছে বাংলাদেশ। ২০২৪ সালের জুন নাগাদ যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ওরাকলের সহায়তায় জাতীয় ডেটা সেন্টারে এই জি-ক্লাউড চালু করার লক্ষ্য রয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের। আর এই সার্ভার চালু হলে অস্ট্রেলিয়া, ওমান এবং কাতারের পর জি-ক্লাউড সার্ভার থাকা দেশের তালিকায় চতুর্থ অবস্থানে থাকবে বাংলাদেশ। ফলে দেশের তথ্য দেশের সীমানার মধ্যেই থাকবে বলে দাবি আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আইসিটি টাওয়ারে ওরাকল একাডেমির সঙ্গে আইসিটি বিভাগের এক সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর নিয়ে সংবাদ সম্মেলন হয়। দেশের স্থানীয় কর্মী এবং আইসিটি মানবসম্পদ উন্নয়ন বিভাগকে সাহায্য করবে ওরাকল একাডেমি এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষাদান ও শিক্ষাগত বিষয়ে ওরাকল একাডেমি থেকে সহযোগিতা পাবে—এ বিষয়ে আইসিটি বিভাগের সঙ্গে চুক্তি করে ওরাকল।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জুনাইদ আহমেদ বলেন, ‘দেশের তথ্য সুরক্ষায় আমরা আইন তৈরি করছি। এ জন্য ইউরোপীয় কমিশনের আইন জিডিপিআর, জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের মতো দেশের আইনগুলো আমরা দেখছি। সেসব দেশের তথ্য সুরক্ষায় তথ্য নিজেদের দেশেই রাখা হয়। বিশ্বের মাত্র তিনটি দেশের কাছে এমন জি-ক্লাউড আছে—অস্ট্রেলিয়া, ওমান এবং কাতার। ওরাকলের সহযোগিতায় ন্যাশনাল ডেটা সেন্টারে আমরা এমন একটি ক্লাউড সার্ভার করছি। এটি চালু হলে আমরা হবো জি-ক্লাউড সার্ভার থাকা চতুর্থ দেশ। আমাদের জি-ক্লাউডে থাকা ডেটা আমাদের দেশের সীমানার মধ্যেই থাকবে। ফলে তথ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত হবে।’
এদিকে ওরাকল একাডেমির সঙ্গে আইসিটি বিভাগের চুক্তি সম্পর্কে দৈনিক কালবেলার পক্ষ থেকে জানতে চাইলে পলক বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তি শিক্ষা দিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে আমরা সমন্বয়কের ভূমিকায় কাজ করে যাচ্ছি। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী ‘ব্লেনডেড এডুকেশন টাস্ক ফোর্স’ গঠন করে দিয়েছেন, যেখানে আইসিটি মন্ত্রণালয় থেকে আমিও আছি। আইসিটি শিক্ষা ক্যাম্পাস এবং নির্দিষ্ট পাঠ্যক্রমে সীমাবদ্ধ নয়। তাই শুধু ওরাকল নয়, বরং আইসিটিতে দক্ষ জনবল তৈরিতে যারাই কাজ করছে বা ভবিষ্যতে করবে তাদের হয়ে আমরা সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করব।’
অন্যদিকে ওরাকলের বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুবাবা দৌলা বলেন, ‘গত ১৪ বছরে সরকারি বিভাগ এবং সমাজের প্রতিটি অংশে ডিজিটাল সেবা ব্যাপকভাবে গ্রহণ করার কারণে বাংলাদেশে মাথাপিছু আয় চারগুণ বেড়েছে। এই অগ্রযাত্রাকে ধরে রেখে সফল হওয়ার জন্য শিল্প প্রাসঙ্গিক জ্ঞান এবং ডিজিটাল দক্ষতাসম্পন্ন কর্মী বাহিনী গড়ে তুলতে হবে। ওরাকল একাডেমির মাধ্যমে আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং সেখানকার শিক্ষকদের বিনামূল্যে প্রযুক্তিগত সহায়তা দেব, যেন তারা তাদের শিক্ষার্থীদের আইসিটিতে দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন।’
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আইসিটি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নাভিদ শফিউল্লাহ এবং অনলাইনে যুক্ত হয়ে ওরাকলের জাপান ও প্রধান মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রেসিডেন্ট গ্যারেট ইক বক্তব্য দেন।