দৈনিক প্রবাহবার্তা প্রতিবেদন : প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ভাতা, শিক্ষা উপবৃত্তি বৃদ্ধিসহ তাঁদের ১১ দফা দাবির প্রতি সংহতি জানিয়েছেন দেশের ৩০ বিশিষ্ট ব্যক্তি। একই সঙ্গে তাঁরা প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের আন্দোলনে পুলিশি নির্যাতনের প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার সচেতন নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সংহতি জানানো বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, মানবাধিকারকর্মী খুশী কবির, সুশাসনের জন্য নাগরিকের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন, স্থপতি ইকবাল হাবিব, অধ্যাপক তানজিম উদ্দিন খান, অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, লেখক ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব ও আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।
ভাতা ও শিক্ষা উপবৃত্তি বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি অধিদপ্তর বাস্তবায়ন, ইশারা ভাষার প্রচলনসহ ১১ দফা দাবি নিয়ে গত ৪ জুন থেকে সংক্ষুব্ধ প্রতিবন্ধী নাগরিক সমাজের ব্যানারে আন্দোলন চলছে। ওই দিন প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা মিছিল নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দিকে যেতে চাইলে রাজধানীর শাহবাগে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় পুলিশের বিরুদ্ধে বিভিন্নভাবে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে।
বিবৃতিতে বিশিষ্ট ব্যক্তিরা বলেন, ৪ জুন পুলিশ হুইলচেয়ার ব্যবহারকারী এক প্রবীণ ব্যক্তিকে লাথি মেরে তাঁর হুইলচেয়ার ভেঙে দেয়। হুইলচেয়ার ব্যবহারকারী নারীকে চুল ধরে টেনেহিঁচড়ে ফেলে দেওয়া হয়। নির্যাতনের কারণে কয়েকজন প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা দাবিদাওয়া জানাচ্ছেন। সরকার আশ্বাস দিলেও তা বাস্তবায়নে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। তাই প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা রাস্তায় নেমে আন্দোলন করতে বাধ্য হচ্ছেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের আন্দোলনে রাজপথে নামা সাধারণ মানুষের ওপরও পুলিশ নির্যাতন চালিয়েছে। এই আচরণের তীব্র নিন্দা জানানোর পাশাপাশি অবিলম্বে নির্যাতনকারী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। একই সঙ্গে পুলিশের নির্যাতনের ঘটনার পর সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু ডয়চে ভেলেকে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং প্রতিবন্ধীদের জন্য অপমানজনক বলেও উল্লেখ করেন তাঁরা।