ফ্রান্স প্রতিনিধি : বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ জামিরুল ইসলাম মিয়ার সভাপতিত্বে দুই পর্বের উক্ত অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করে ফ্রেঞ্চ-বাংলা স্কুলের শিক্ষার্থীরা।প্রথম পর্বের আলোচনা সভা উপস্থাপনা করে বাংলা স্কুলের শিক্ষার্থী পার্থিব রাজ ও শ্রেষ্ঠা নন্দী।অনুষ্ঠানের শুরুতে একাত্তরের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করা হয় । বাংলায় স্কুলের শিশুদের দলীয় জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু করা হয়। এবং অনুষ্ঠানে আসা সকল অতিথিদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়া হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ দূতাবাসের মান্যবর রাষ্ট্রদূত, খন্দকার এম তালহা, এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মিজানুর রহমান, দূতালয়ের প্রধান ওয়ালিদ বিন কাশেম ও লোকাল মেরির প্রতিনিধি ডিডিয়ে ব্রুক,ও অন্যান্য প্রতিনিধি, Stéphane troussel président du conseil départemental de la Seine St Denis এছাড়াও মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ জামিরুল ইসলাম মিয়া, মোহাম্মদ আলী, নাসির উদ্দীন, মুজিবুর রহমান,ফরহাদ হোসেন। বীরমুক্তিযোদ্ধাদেরকে উত্তরীয় পরিয়ে দেন মান্যবর রাষ্ট্রদূত খন্দকার এম তালহা। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করে ফ্রেঞ্চ-বাংলা স্কুলের শিক্ষার্থী প্রিয়ন্তী ও আরশী।উক্ত অনুষ্ঠানে কবিতা,ছড়া, সংগীত পরিবেশন করে স্কুলের শিক্ষার্থীরা এছাড়ো বিজয়ী সংগীত পরিবেশন করেন স্কুলের শিক্ষিকা ও ফ্রান্সের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী সুমা দাস এবং স্কুলের শিক্ষার্থীদের অভিভাবকবৃন্দ।অনুষ্ঠানের সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন ছিলেন ফ্রেঞ্চ-বাংলা স্কুলের পরিচালক ফাতেমা খাতুন, শিক্ষক সুমা দাস,মতিউর রহমান, আমেনা খাতুন ও তসলিম ।এছাড়াও মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন, বলরাম রাজ,দেবদুলাল চৌধুরী, অজয় দাস, প্রশান্ত পাল,মিঠু নন্দী,মতিউর রহমান,আনোয়ার হোসেন, ইয়াছিন হক,জয়নুল আবেদীন,সিমু হক,অভিজিৎ ঘোষ,নাজমুল সহ আরো অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। মান্যবর রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে বলেন প্রবাসে বেড়ে ওঠা নতুন প্রজন্মের ছেলে মেয়েরা যেভাবে বাংলা স্কুলের মধ্যে দিয়ে বাংলার সংস্কৃতিকে লালন করছে তা সত্যিই প্রশংসায় দাবিদার। এবং সেই সাথে বাংলা স্কুল এর যে কোন সহযোগিতায় দূতাবাস পাশে থাকবে সে আশ্বাস্য করেন।পরে অনুষ্ঠান শেষে সকলের জন্য আপ্যায়নের ব্যবস্থা করা হয়।