দৈনিক প্রবাহবার্তা ডেস্ক : জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের পর আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতা ঘোষণার প্রয়োজন ছিল না বলে মনে করেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। যারা এটা স্বীকার করেন না, তারা ১৯৭১ সালেও করেননি ভবিষ্যতেও করবেন না বলে জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় অ্যাডভোকেট আবুল খায়েরের তিনটি বইয়ের প্রকাশনা উৎসবে এসব কথা বলেন তিনি। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির শহীদ সফিউর রহমান মিলনায়তনে এই উৎসব হয়। তিন বই হলো- ‘ইতিহাসে বঙ্গবন্ধু’, ‘আদি ভারত বর্ষ থেকে বাংলাদেশ’ ও ‘কবিতায় প্রিয় বাংলাদেশ’।
তিনি আরও বলেন, আমরা যারা আইন চর্চার সঙ্গে সম্পর্কিত, আমরা যারা রায় লিখি, তারা অর্ডার পাস করার সময়, কখনো কখনো, সবসময় না, যদি সেটা সার্টেন প্রিয়ড করা না হয়, তাহলে এই রুলটা স্ট্যান্ড ডিসচার্জ হয়ে যাবে।
এসময় রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) বঙ্গবন্ধু যে ভাষণ দিয়েছিলেন তা উল্লেখ করে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘আর যদি একটা গুলি চলে, আর যদি আমাদের লোকদের হত্যা করা হয়, তোমাদের কাছে অনুরোধ রইলো, প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলো।’আমি মনে করি না তারপর ফায়ারিং ওপেন হয়েছে, ‘বাই অপারেশন দ্যাট অর্ডার’ অটোমেটেকলি স্বাধীনতা ডিক্লিয়ার হয়ে গেছে। ফরমাললি আর স্বাধীনতা ডিক্লিয়ার করার প্রয়োজন ছিল না। এটা যারা বুঝতে চায় না, তারা আর জীবনেও বুঝবে না, তারা ৭১ সালেও বুঝেনি, ভবিষ্যতেও বুঝবে না।
তুরস্কের ‘ডেমোক্রেসি অব ফ্রিডম আইল্যান্ড’র উদাহরণ টেনে প্রধান বিচারপতি বলেন, আপনারা যারা তার্কিতে গেছেন, তারা জানেন তুরস্কে একটা জায়গা আছে, ডেমোক্রেসি অব ফ্রিডম আইল্যান্ড। আমার সৌভাগ্য হয়েছিল ওই প্যানোরোমাটি দেখার এবং ডেমোক্রেসি অব ফ্রিডম আইল্যান্ড দেখার। এক সময়ের তুরস্কের নেতা মেন্ডিজের বিচার হয়েছে, সেখানে সেটা মনুমেন্টের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কথা সাহিত্যিক ও বাংলা একাডেমির চেয়ারম্যান সেলিনা হোসেন। আর সঞ্চালনা করেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুন নুর দুলাল।
আরও বক্তব্য রাখেন আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ও প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান নিজামুল হক নাসিম, রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ (এএম) আমিন উদ্দিন, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির (বার) সভাপতি জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির, বারের সাবেক সম্পাদক ড. বশির আহমেদ, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নবনির্বাচিত সদস্য অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমেদ রাজা, ড. মিল্টন কুমার দে এবং ড. আলমগীর আলম প্রমুখ।