প্রবাহবার্তা আহমেদ সাব্বির রোমিও : আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা! রাত পোহালেই বুধবার সকল জল্পনাকল্পনা শেষে ও ব্যাপক প্রচারর প্রচারণার মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠিত হবে জয়পুরহাট জেলার এই দুই পৌরসভা নির্বাচন। এ কয়েকদিন নির্বাচনকে সামনে রেখে ব্যাপক প্রচার প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করেছেন প্রার্থীরা। ভোর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করেছেন তারা, দিয়েছেন নানা প্রতিশ্রুতির ফুলঝুড়ি। মিটিং মিছিল ও পথসভাতে তুলে ধরছেন নিজেদের অবস্থান। আর এলাকার উন্নয়নে যোগ্য প্রার্থীকে ভোট দিতে শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দাবি সাধারণ ভোটারদের। এদিকে অবাধ সুষ্ঠ নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পন্নের কথা জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। জেলা নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, পাঁচবিবি পৌরসভায় ৭২ জন প্রার্থী এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরমধ্যে রয়েছে মেয়র পদে ৬ জন, সাধারণ কাউন্সিলার পদে ৪৯ জন ও সংরক্ষিত (মহিলা) কাউন্সিলার পদে ১৭ জন প্রার্থী। ক্ষেতলাল পৌরসভায় ২৫জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এখানে মেয়র পদে নৌকা প্রতীকের সিরাজুল ইসলাম সরদার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ক্ষেতলাল উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক। অপরদিকে ৬ ও ৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলার পদে ছাইদুর রহমান ও হাবিবুর রহমান চৌধুরী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন বলে গণমাধ্যমকে জানান, রিটার্র্নিং কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান। বর্তমানে ক্ষেতলাল পৌরসভায় ৭টি ওয়ার্ডের জন্য সাধারণ কাউন্সিলার পদে ১৬ জন এবং সংরক্ষিত (মহিলা) কাউন্সিলার পদে ৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। দু’টি পৌরসভাতেই ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে ( ইভিএম) ভোট গ্রহণ করা হবে এবং ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ সমাপ্ত হয়েছে বলেও জানান, পাঁচবিবি পৌরসভা নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা রিটার্নিং কর্মকর্তা হুমায়ন কবীর। পাঁচবিবি পৌরসভায় মোট ভোটার হচ্ছেন ২১ হাজার ৯১ জন। এরমধ্যে মহিলা হচ্ছেন ১০ হাজার ৮৩১ জন ও পুরুষ ভোটার হচ্ছেন ১০ হাজার ২৬০ জন। ক্ষেতলাল পৌরসভার ভোটার সংখ্যা হচ্ছে ১৬ হাজার ৫৬৮ জন। এখানে মহিলা ভোটার হচ্ছেন ৮ হাজার ৪৮১ জন, তৃতীয় লিঙ্গ ভোটার রয়েছেন ১ জন, ও পুরুষ ভোটার ৮ হাজার ৮৬ জন। ভোট কেন্দ্র নির্বাচন ও ইভিএম মেশিন সরবরাহসহ যাবতীয় প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে বলে জানান, জেলা নির্বাচন অফিসার মুহাম্মদ আমিনুর রহমান মিঞা।