1. admin@gmail.com : dainikpro : dainikpro Tv
  2. inesita@shavers.skin : adrienneofarrell :
  3. ahmadirfani@proton.me : ahmadirfani :
  4. manusiasetengahsalmon@skiff.com : angsamerah :
  5. anneliese@gotcertify.com : anneliese :
  6. sobatkismin12@gmail.com : aromairis :
  7. badefet822@huizk.com : ayamkotek :
  8. yuriy12@investstroy.xyz : balikonwa1975 :
  9. laurelmayra@savedaday.com : betsey42c5862 :
  10. bombuibui74@gmail.com : bombuibui74 :
  11. isidra@1000welectricscooter.com : brennaflood35 :
  12. smilesbunnie@gotcertify.com : bunnie :
  13. anniefournier1927@fmaillerbox.com : candidagomez :
  14. caplang@54.mk : caplang :
  15. simonwilmer@quelbroker.com : carsonpeel :
  16. alisonashely@soulvow.com : chastityjowett :
  17. kiaraute@smilietoys.com : conrad79t2348 :
  18. santosstarla@dasemana.com : corneliuscho095 :
  19. cw2kmlmp@deepyinc.com : cw2kmlmp :
  20. abigailwright609@yahoo.com : elviacormier5 :
  21. jendelarusak@skiff.com : emosimeluap :
  22. erlinghan@gmailpro.tk : erlinghan :
  23. gilbertyup9@gmail.com : gilbertyupvbefw :
  24. rajathor88@proton.me : gogorio :
  25. greedy_sinner@yahoo.com : greedy_sinner :
  26. marshallolga@joeymx.com : greg04169367 :
  27. halmdar@sengined.com : halmdar :
  28. jo3ukir@mail.com : hesnir :
  29. hopefox34@yahoo.com : hopefox34 :
  30. idontwannaloseyounow@proton.me : idontwannaloseyounow :
  31. clifford@dnatest.services : isabelleomalley :
  32. jartak@sengined.com : jartak :
  33. zjpvaq6gnw@secretmail.net : Joyboy11 :
  34. keroro281294@gmail.com : keroro :
  35. keroro2@tmails.net : keroro2 :
  36. royedi9298@inkiny.com : lina :
  37. odelltimmerman3306@hotmail.com : LindaBloni :
  38. leolahulda@dasemana.com : lottielemberg58 :
  39. mindasilke@savedaday.com : lovieseddon6354 :
  40. luvly@tmail.ws : luv :
  41. stabbedmajor0000@skiff.com : marcmajor :
  42. shalandacinkuoqr@yahoo.com : marianbecher3 :
  43. victorinakushnerbywc@yahoo.com : markwoo0183630 :
  44. matteo@gbnbancorp.com : matteo :
  45. katerinakyx@jersto.com : medusa :
  46. ericacharli@savedaday.com : mirandarotz :
  47. mmjlb296@gmail.com : mmjlb296 :
  48. yovojiy601@ikumaru.com : mugi :
  49. caseymcbeath@mailcatch.com : nedlalonde75 :
  50. nevyvaru@sengined.com : nevyvaru :
  51. bobalexandria@econgate.com : noreenmebane567 :
  52. novyfrenky@otpku.com : novyfrenky :
  53. obaqua@sengined.com : obaqua :
  54. kathaleenmarsha@quelbroker.com : odettemarrufo :
  55. pancroni@sengined.com : pancroni :
  56. people@truxamail.com : people :
  57. queenofpain28@tmpeml.com : queenofpain28 :
  58. johnnylashay@econgate.com : ramirobetz2582 :
  59. aaronwaldo@xlping.com : randip740039743 :
  60. perta1kqw@rambler.ru : RaymondJopay :
  61. houstoncunniff@laokzmaqz.tech : robynmontgomery :
  62. natesweeney1565@spambog.ru : rodolfomountgarr :
  63. jensniki@makekaos.com : rosetta3635 :
  64. justinebartels2485@freelance-france.eu : roxiebrill8704 :
  65. roysuryo10@email-temp.com : roysuryo10 :
  66. sadxbsjkxnhd@dronesmart.net : sadxbsjkxnhd :
  67. salmhar@sengined.com : salmhar :
  68. ivan.ivanovnewwww@gmail.com : sautparunas :
  69. amanaja@sayang.art : seoamanaja :
  70. seogacor@teml.net : seogacor :
  71. giovannakirouacyioe@yahoo.com : sharyllavallee9 :
  72. siburung1@proton.me : siburung1 :
  73. siskaanjani988@gmail.com : siskaanjani :
  74. sonata35@asifboot.com : sonata35 :
  75. josephcassada1907@fmaillerbox.com : teresitanoble :
  76. bryonsummerville@level3.usa.cc : teriatchley2 :
  77. tiberius@magicaiguru.com : tiberius :
  78. robertwilliams1921@fmaillerbox.com : tracie27g47 :
  79. unclerichard@emailgap.com : unclerichard :
  80. erickaaustin@smilietoys.com : vincentrjp :
  81. voyaf33393@storesr.com : voyaf33393@sto :
  82. wafflecomb@protonmail.com : wafflecomb :
  83. 1s84h0ykms@secretmail.net : Whale7778 :
  84. zara@hotmail.red : zara :
May 17, 2024, 8:03 am
Title :
পার্বত্য তিন জেলায় যেকোন মূল্যে শান্তি বজায় রাখবো: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল শরীয়তপুরের ঐতিহ্যবাহী চর ভায়রা উচ্চ বিদ্যালয়ে’র মোসলেম উদ্দিন মিয়া নতুন সভাপতি পাবনার কৃতি সন্তান মো: ওবায়দুল হক ইংল্যান্ডের লিংকনস ইন থেকে ব্যারিস্টারি ডিগ্রী অর্জন করেছেন সরকার জুনের মধ্যে ১০ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দেবে : প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক রুমানা আলী ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুকের আমন্ত্রণে থিম্পু গেলেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী আজ ৫৪তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস সরকার কোস্ট গার্ডকে ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলছে :প্রধানমন্ত্রী পণ্যমূল্য সহনীয় রাখতে সরকারের পাশাপাশি জনগণেরও নজরদারি চাই : সংসদে প্রধানমন্ত্রী বাজুস ফেয়ার-২০২৪-য়ে অংশগ্রহণকারি গ্রাহকদের র‍্যাফেল ড্র-এর বিজয়ীদের পুরস্কার প্রদান করল রিয়া জুয়েলার্স ঢাকা কমিউনিটি হাসপাতাল ট্রাস্টের উদ্দীপনায় হিন্দু ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দ্যেগে সরস্বতী পুজা অনুষ্ঠিত

৬ দফা ও বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দূরদর্শীতা-প্রসঙ্গে সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেনে

  • Update Time : Sunday, July 24, 2022
  • 616 Time View

প্রবাহবার্তা : সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেনের একটা ভিডিও দেখছিলাম। ৬ দফা নিয়ে চমৎকার উপস্থাপন, আসাধারন বাচনভঙ্গী চমৎকার যুক্তি উপস্থাপন শুধু ব্যাক্তি পক্ষ পাত দুষ্ট । আমি গঠনমূলক আলোচনায় বিশ্বাসী তাই উনাকে ধন্যবাদ উনি ৬ দফা নিয়ে এমন একটি ভিডিও না বানালে হয়তো বাঙালী মুক্তির সনদ ৬ দফা নিয়ে লেখা হত না। সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন তার ভিভিও তে বলছেন আইয়ুব খান নাকি বঙ্গবন্ধুকে ৬ দফা লিখতে বলেছেন তো ভাই সেই আইয়ুব খান ই তো তাকে আটক করলেন। মুলত সত্যি ইতিহাস যাচাই করে দেখেন বঙ্গবন্ধুর এই ছয় দফায় পাকিস্তানি শাসকের ভিত এতটাই কেঁপে গিয়েছিল যে ‘আপত্তিকর বক্তব্য’ দেয়ার অজুহাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ১৯৬৬ সালের ৮ মে থেকে ১৯৬৯’র ২২ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ একটানা ৩৩ মাস কারাবন্দি ছিলেন প্রিয় নেতা। বঙ্গবন্ধুর ১৪ বছরের কারাজীবনে এটাই ছিল দীর্ঘ কারাবাস। অনেকে ফাঁদ পাতবে আর প্রকৃত নেতা হলেন সেই যিনি এই সব ফাঁদ থেকে দুরদর্শি নেতৃত্ব দিয়ে জাতিকে তুলে আনবেন। সম্মানিত সাংবাদিক ভাই আপনি ৬ দফাতে স্বাধীনতা কিছু খুজে পাননি। একটু ৬ দফা দেখি।

প্রথম দফা : সরকারের বৈশিষ্ট হবে Federal বা যৌথরাষ্ট্রীয় ও সংসদীয় পদ্ধতির; তাতে যৌথরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্যগুলো থেকে কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপক সভার নির্বাচন হবে প্রত্যক্ষ এবং সার্বজনীন প্রাপ্তবয়স্ক ভোটাধিকারের ভিত্তিতে। কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপক সভার প্রতিনিধি নির্বাচন জনসংখ্যারভিত্তিতে হবে।
দ্বিতীয় দফা : কেন্দ্রীয় সরকারের দায়িত্ব থাকবে কেবল প্রতিরক্ষা ও বৈদেশিক বিষয় এবং তৃতীয় দফায় ব্যবস্থিত শর্তসাপেক্ষ বিষয়।
তৃতীয় দফা : পুর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের জন্য দুটি পৃথক মুদ্রা-ব্যবস্থা চালু করতে হবে, যা পারস্পরিকভাবে কিংবা অবাধে উভয় অঞ্চলে বিনিময় করা চলবে। অথবা এর বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে একটি মুদ্রা-ব্যবস্থা চালু থাকতে পারে এই শর্তে যে, একটি কেন্দ্রীয় সংরক্ষণ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে হবে, যার অধীনে দুই অঞ্চলে দুটি রিজার্ভ ব্যাংক থাকবে। তাতে এমন বিধান থাকতে হবে যেন এক অঞ্চল থেকে অন্য অঞ্চলে সম্পদ হস্তান্তর কিংবা মূলধন পাচার হতে না পারে।
চতুর্থ দফা : রাজস্ব ধার্য ও আদায়ের ক্ষমতা থাকবে অঙ্গরাজ্যগুলোর হাতে। প্রতিরক্ষা ও বৈদেশিক বিষয়ের ব্যয় নির্বাহের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে প্রয়োজনীয় রাজস্বের যোগান দেয়া হবে। সংবিধানে নির্দেশিত বিধানের বলে রাজস্বের এই নির্ধারিত অংশ স্বাভাবিকভাবেই কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে জমা হয়ে যাবে। এহেন সাংবিধানিক বিধানে এমন নিশ্চয়তা থাকবে যে, কেন্দ্রীয় সরকারের রাজস্বের প্রয়োজন মেটানোর ব্যাপারটি এমন একটি লক্ষ্যের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ হতে হবে যেন রাজস্বনীতির উপর নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা নিশ্চিতভাবে অঙ্গরাজ্যগুলোর হাতে থাকে।
পঞ্চম দফা : যৌথরাষ্ট্রের প্রতিটি অঙ্গরাজ্য যে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করবে, সেই অঙ্গরাজ্যের সরকার যাতে স্বীয় নিয়ণ্ত্রনাধীনে তার পৃথক হিসাব রাখতে পারে, সংবিধানে সেরূপ বিধান থাকতে হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের যে পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার প্রয়োজন হবে, সংবিধান নির্দেশিত বিধি অনুযায়ী নির্ধারিত অনুপাতের ভিত্তিতে অঙ্গরাজ্যগুলো থেকে তা আদায় করা হবে। সংবিধান নির্দেশিত বিধানানুযায়ী দেশের বৈদেশিক নীতির কাঠামোর মধ্যে, যার দায়িত্ব থাকবে কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে, বৈদেশিক বাণিজ্য ও বৈদেশিক সাহায্য সম্পর্কে চুক্তি সম্পাদনের ক্ষমতা আঞ্চলিক বা প্রাদেশিক সরকারগুলোর হাতে থাকবে।
ষষ্ঠ দফা : ফলপ্রসূভাবে জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষার কাজে সাহায্যের জন্য অঙ্গরাজ্যগুলোকে মিলিশিয়া বা আধা-সামরিক বাহিনী গঠনের ক্ষমতা দিতে হবে।
দফা গুলো পড়লেই একটি জাতি সত্বার ভ্রুন এর ইতিহাস সামনে আসে। মিলিশিয়া বাহিনী গঠন, আলাদা মুদ্রা কিংবা ফেডারেল পদ্ধতি কি নির্দেশ করে একটু ভেবে বলবেন প্রিয় পাঠক সমাজ।আর এটার ব্যাখ্যা বঙ্গবন্ধু নিজেই দিয়েছেন।
ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির( ন্যাপ, মোজাফফর) পূর্ব পাকিস্তান প্রধান অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমদ বঙ্গবন্ধুকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘আপনি এই যে ৬ দফা দিলেন তার মূল কথাটি কী?’ আঞ্চলিক ভাষায় উত্তর দিয়েছিলেন শেখ মুজিব- ‘আরে মিয়া বুঝলা না, দফা তো একটাই। একটু ঘুরাইয়া কইলাম।’ আর এই এক দফাটা ছিল বাঙালীর চুড়ান্ত মুক্তি স্বাধীনতা।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের রোডম্যাপ মূলত রচিত হয়েছিল জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছয় দফা থেকেই। এটি ছিল রাজনীতিতে বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শী একটি ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত। যেটাকে বাঙালির মুক্তির সনদ বা ম্যাগনাকার্টা বলে অভিহিত করা হয়। বাঙালি জাতীয়তাবাদের উত্থানের ইতিহাসে ছয় দফার ভূমিকা তাই বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
৬ দফা দিয়েই বাঙালির একক নেতা হন বঙ্গবন্ধু।
এই বিষয়ে বাংলাদেশের সর্বজনীন এক নেতা ড.কামাল হোসেন (বিএনপি সহ দেশের সবাই তো তাকে নেতা মেনে নির্বাচন ও করেছেন) বলেছিলেন ১৯৭৪ সালের এক সাক্ষাৎকারে
১৯৬৬ সালে পাঞ্জাবি রাজনীতিবিদ রা রাজনৈতিক অধিকার আদায় ও জাতীয় সরকার গঠনের জন্য সচেষ্ট হয়ে উঠেন। সে সময় পাঞ্জাবী নেতা বাঙালীদের ও তাদের দাবির সাথে যুক্ত করার চেষ্টা করেন। তারা এই কাজের জন্য তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের সবচেয়ে বেশি প্রচারিত দৈনিক দৈনিক ইত্তেফাক সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার সাথে একটা মিটিং ও করেন। এর কিছু দিন পরে আইয়ুব খান ঢাকা আসেন। তৎকালিন বিরোধী দলের প্রায় সকল নেতাকে ডাকা হয় কেবল মাত্র আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মুজিব ছাড়া। এই দাওয়াতে ছিলেন , নুরুল আমিন,ইউসুফ আলি চৌধুরী, হামিদুল হক চৌধুরী, আতাউর রহমান প্রমুখ। বৈঠকের আগে দাবি নিয়ে শেখ মুজিব আলোচনায় বসেন ডাক পাওয়া নেতাদের সাথে। তিনি স্বায়ত্তশাসন প্রসঙ্গে বাঙালী নেতাদের চাপ দেওয়া প্রসঙ্গে কথা বলতে বলেন। সেই সময় প্রথম বারের মত দফা গুলো লেখা হয়। বঙ্গতাজ তাজউদ্দীন আহমদ এই দফা গুলো কাগজে লেখেন।
নুরুল আমিন সহ অনন্য সনাতন পন্থী আওয়ামী লীগের নেতারা এটার বিরোধিতা করেন। এই দিন দলীয় মনোনীত বক্তা ছিলেন হামিদুল হক চৌধুরী। বঙ্গবন্ধু তার নেতৃত্ব মেনে নিতে অস্বীকার করেন।
তেমন কোন গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা ছাড়াই শেষ হয় আইয়ুব ও বিরোধী দলের মিটিং।

পাঞ্জাবি বিরোধী দলীয় নেতারা ৩ ফেব্রুয়ারী বিরোধী দলীয় জাতীয় সম্মেলন আহবান করেন।
এখানে সভাপতি ছিলেন চৌধুরী মোহাম্মদ আলি।এখানে শেখ মুজিব ৬ দফার দাবি তুললে তিনি তা বাতিল করেন। পাকিস্তানি শাসন, শোষণ ও বঞ্চনা থেকে মুক্তির লক্ষ্যে আইয়ুব খান সরকারের বিরুদ্ধে নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সভাপতি নবাবজাদা নসরুল্লাহ খানের নেতৃত্বে লাহোরে তৎকালীন পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের সব বিরোধী রাজনৈতিক দল নিয়ে এক জাতীয় সম্মেলন আহ্বান করা হয় ১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ দিন অনুষ্ঠিত সম্মেলনের সাবজেক্ট কমিটিতে ছয় দফা উত্থাপন করেন। পরের দিন সম্মেলনের আলোচ্যসূচিতে যাতে এটি স্থান পায়, সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেন। কিন্তু এই সম্মেলনে বঙ্গবন্ধুর এই দাবির প্রতি আয়োজক পক্ষ গুরুত্ব প্রদান করেননি। তারা এ দাবি প্রত্যাখ্যান করেন।
প্রতিবাদে বঙ্গবন্ধু সম্মেলনে যোগ না দিয়ে লাহোরে অবস্থানকালেই ছয় দফা উত্থাপন করেন। এ নিয়ে পশ্চিম পাকিস্তানের বিভিন্ন খবরের কাগজে বঙ্গবন্ধুকে বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা বলে চিহ্নিত করা হয়। পরে ঢাকায় ফিরে বঙ্গবন্ধু ১৩ মার্চ ছয় দফা এবং এ ব্যাপারে দলের অন্যান্য বিস্তারিত কর্মসূচি আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদে পাস করিয়ে নেন। শেখ মুজিব কে তার দাবি তুলতে না দেওয়ার কারণে তিনি ওয়াক আউট করেন এবং প্রেসে গিয়ে তা প্রচার করেন। সম্মেলন ভেস্তে যায়। পাঞ্জাবি ও সনাতন পন্থী আওয়ামী লীগের নেতাদের সাথে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দুরত্ব সৃষ্টি হয়। দলীয় সভাপতি মাওলানা আব্দুর রসিদ তর্কবাগীশ তো দলীয় সভাপতির পদ ত্যাগ করেন।
তখন জুলফিকার আলি ভুট্ট ও তার আইন মন্ত্রী এস এম জাফর দাবি করেন সরকারের নিকটবর্তী মাধ্যমের ইঙ্গিতে এটা করেছেন মুজিব যাতে বিরোধী জোট গঠন না হতে পারে। কিন্তু তাদের দাবি ভুল প্রমাণিত হয়েছিল কারণ ৬ দফার জন্য সরকার প্রচুর দমন নীতি অনুসরণ করে। ৬ দফা করতে গিয়ে বঙ্গবন্ধুকে প্রচুর সংগ্রাম করতে হয়েছে। দল ও দলের বাইরে অনেকেই বিরোধিতা করতে শুরু করেন কিন্তু তৎকালীন ছাত্রলীগ অবশ্য বঙ্গবন্ধুর পাসে ছিল।
১৯৬৬ সালের ছয় দফার ভিত্তিতে ৬৯’র গণঅভ্যুত্থান ব্যাপকতা পায়। আর ৭০ সাল পর্যন্ত ছয় দফার ভিত্তিতেই স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে আন্দোলন পরিচালিত হয়। মূলত ছয় দফা আন্দোলনকে কেন্দ্র করেই ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতেন, ছয় দফার বাস্তবায়ন ছাড়া বাঙালির জাতির মুক্তি সম্ভব নয়। তাই এই অকুতোভয় বীর দ্বিধাহীন চিত্তে বলতে পেরেছিলেন, ‘সরাসরি রাজপথে যদি আমাকে একা চলতে হয়, চলব। কেননা ইতিহাস প্রমাণ করবে বাঙালির মুক্তির জন্য এটাই সঠিক পথ।’
“লক্ষ্য করুন ইলিয়াস হোসেন,”
ছয় দফার মূল বক্তব্য ছিল প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র বিষয় ছাড়া সব ক্ষমতা প্রাদেশিক সরকারের হাতে থাকবে। পূর্ব বাংলা ও পশ্চিম পাকিস্তানে দুটি পৃথক ও সহজ বিনিময়যোগ্য মুদ্রা থাকবে। সরকারের কর, শুল্ক ধার্য ও আদায় করার দায়িত্ব প্রাদেশিক সরকারের হাতে থাকাসহ দুই অঞ্চলের অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রার আলাদা হিসাব থাকবে। পূর্ব বাংলার প্রতিরক্ষা ঝুঁকি কমানোর জন্য এখানে আধা সামরিক বাহিনী গঠন ও নৌবাহিনীর সদর দফতর স্থাপন।
বঙ্গবন্ধু ঘোষিত ছয় দফা দাবির মুখে পাকিস্তানের তৎকালীন সামরিক শাসক আইয়ুব খান বিচলিত হয়ে পড়েন। তিনি হুমকি দিয়ে বলেন, ছয় দফা নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে অস্ত্রের ভাষায় জবাব দেয়া হবে। ছয় দফা কর্মসূচি জনগণের মধ্যে পৌঁছে দেয়ার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা সমগ্র পূর্ব বাংলা সফর করেন। ছয় দফাকে বাঙালির বাঁচার দাবি হিসেবে অভিহিত করেন। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তাজউদ্দীন আহমদ, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, মিজানুর রহমান চৌধুরী, জহুর আহমদ চৌধুরী ও নুরুল ইসলাম চৌধুরী গণসংযোগে অংশ নেন। যশোর, ময়মনসিংহ, সিলেটসহ কয়েকটি স্থানে ছয় দফার পক্ষে প্রচারকালে বঙ্গবন্ধু গ্রেফতার হন। এই দাবির সপক্ষে বাঙালি জাতির সর্বাত্মক রায় ঘোষিত হয় ১৯৭০ সালের ঐতিহাসিক সাধারণ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে বাঙালিরা বিজয়ী করে।অবিসংবাদিত নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দলকে জনগণ বিজয়ী করে।
১৯৬৬ সালে এ ছয় দফা প্রণয়নের পর বঙ্গবন্ধু এটি গ্রহণ করার জন্য আতাউর রহমান খানসহ তৎকালীন পূর্ব ও পাকিস্তানের বিরোধী দলের সব নেতার কাছেই গিয়েছিলেন। কিন্তু ছয় দফা নিয়ে অগ্রসর হলে ‘ফাঁসিতে ঝোলানো হবে’- এমন ভয় থেকে কোনো নেতাই এগিয়ে আসেননি। তখন বঙ্গবন্ধু নিজেই সিদ্ধান্ত নেন ছয় দফা নিয়ে তিনি জনগণের কাছে যাবেন। এরপরই এ নিয়ে জনজাগরণ সৃষ্টি হয়।
ছয় দফা দেয়ার পরই পাকিস্তানের শাসকশ্রেণি বুঝতে পেরেছিল, এ দেশের মানুষ পর্যায়ক্রমে তাদের আত্মঅধিকার ও স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করবেই। তারা বলেছিল, বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের প্রধান শত্রু আর বাঙালির প্রধান মিত্র। এই একজন নেতা বঙ্গবন্ধু আপোসহীন। বাঙালির স্বার্থের প্রশ্নে তিনি আপোস করেননি, করছেনও না। পাকিস্তানিরা আরও বলেছিল, ছয় দফার জবাব দেয়া হবে অস্ত্রের ভাষায়। এ অস্ত্রের ভাষায়ই তারা জবাব দিয়েছিল। কিন্তু জনগণের আন্দোলনের কাছে তারা পরাভূত হয়।
১৯৬৬ সালে ছয় দফা ঘোষণার পর বঙ্গবন্ধুর ওপর নেমে আসে অত্যাচার, জুলুম ও নির্যাতন। দূরদর্শী বঙ্গবন্ধু বাঙালির স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষার রূপরেখা তৈরি করতেই ঐতিহাসিক ছয় দফা ঘোষণা করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ছয় দফা অচিরেই ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করতে দেখে তৎকালীন আইয়ুব সরকার চিন্তায় পড়ে যান। ‘আপত্তিজনক বক্তব্য’ দেয়ার অজুহাতে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার প্রতিরক্ষা আইনে বঙ্গবন্ধুকে ৮ মে গ্রেফতার করে এবং ১৯৬৭ সালের এপ্রিল মাসে অপরাধী সাব্যস্ত করে কারাদণ্ড প্রদান করে।এই সময়ই তাকে সবচেয়ে বেশি সময় কারাগারে থাকতে হয়েছে।
পরে ছয় দফাকে ১১ দফায় অন্তর্ভুক্ত করে আন্দোলনে নামেন বাংলার ছাত্রসমাজ। মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীও সেই আন্দোলনে পূর্ণ সমর্থন দেন। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে আইয়ুব খান বিদায় নেন। ১৯৬৯ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি সব রাজবন্দির মুক্তির পর বঙ্গবন্ধু মুক্তিলাভ করেন। ১৯৬৯ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) লক্ষ লক্ষ মানুষের উপস্থিতিতে শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধি দেয়া হয়।
ইলিয়াস ভাই যদি সরকারের এজেণ্ডা থাকতো তাহলে সরকার নমনীয় থাকতো। কিন্তু পাকিস্তানি পত্রিকা বঙ্গবন্ধুকে বিচ্ছিন্নতাবাদি সহ নানা অপবাদ দিয়েছিলেন তাকি দিতেন? আর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কি দেশ স্বাধীন করতে পারতেন? আপনার আর এক ভিডিও তে আপনি বলেছেন স্বাধীনতা সংগ্রামের নেতা তাজউদ্দীন, জিয়া ওসমানী, আপনি লক্ষ্য করেন প্রথম এই দফা গুলো কাগজে লিখলেন তাজউদ্দীন। তিনি ৬ দফা নিয়ে সারাদেশে চষে বেড়ালেন।
আসলে যিনি স্বপ্নবাজ একমাত্র তিনিই জানেন কিভাবে তার স্বপ্ন বাস্তবয়ন করবেন।
আল্লাহ রাসুল যখন হুদায়বিয়ার সন্ধি করেছিলেন তাতে আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছিল মুসলমানদের স্বার্থে আঘাত আসছে কিন্তু আল্লাহের রাসুলের জ্ঞান তো কম না। তিনি দেখালেন কিভাবে জয় করতে হয়।
আবার ভাববেন না তুলনা করছি। মাপ করবেন ইলিয়াস ভাই। নিজেকে মুসলিম ভাবলে মহানবী (সঃ) এর কথা বলা ছাড়া পথ কি। তিনি বিশ্বের জ্ঞানের শেষ।
আমরা একটা ঘটনা নয় বরং শেষ পর্যন্ত দেখতে হবে, দেখতে হবে তার ফলাফল। মুয়াবিয়া তো পঞ্চম খলিফা ও একজন ভালো সাহাবী তো তিনি কাজ টা কি করলেন শেষ পর্যন্ত। তিনি ইয়াজিদ কে খলিফা বানালেন আর ইয়াজিদ কারবালা ঘটালে প্রায় তিন হাজার হাফেজ ছিল ইমাম হোসাইন এর বিরুদ্ধে তাহলে ঐ হাফেজদের কি মুল্য থাকলো হাফেজ হিসাবে।
মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে জেড ফোর্স এর নেতৃত্ব দেওয়া সেনা নায়ক জিয়াউর রহমান পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পুরস্কৃত করলেন। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে পরবর্তীতে কাজ টা করলেন।
আর আপনার কথা মত পাকিস্তানী শাষক আইয়ুব খানের এজেণ্ডা বাস্তবয়ন করা শেখ মুজিব দেশ স্বাধীনের নেতৃত্ব দিলেন।
আমি আপনার প্রতিবেদন দেখি। আপনাকে সম্মান করি আপনি আপনার পক্ষ থেকে পড়াশোনা করেন এবং যুক্তি দেন তবে বাস্তবতার সাথে যুক্তি গুলো বিচার বিশ্লেষণ করবেন তাহলে জাতি সমৃদ্ধ হবে প্লিজ ইতিহাস বিকৃত করবেন না।

লেখক : বেদুইন হায়দার লিও
বঙ্গবন্ধু গবেষক

তৃনমূল কর্মী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© All rights reserved © 2017 kaabait.com
Theme Customized By zahidit.com