স্বতন্ত্র মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠার সহ ১২ দফা দাবি শিক্ষকদের

স্বতন্ত্র মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠার সহ ১২ দফা দাবি শিক্ষকদের

দৈনিক প্রবাহবার্তা প্রতিবেদন : জাতীয় শিক্ষানীতি অনুসারে স্বতন্ত্র মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়েছেন বিভিন্ন সরকারি স্কুলের শিক্ষকরা। একইসঙ্গে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ব্যাচভিত্তিক পদোন্নতি, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের ৫০ শতাংশ পদে সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের পদায়ন ও প্রস্তাবিত মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক ও আঞ্চলিক কার্যালয়ের পরিচালকের পদসহ পরিদর্শন শাখার অন্যান্য সব পদে সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের পদায়নের দাবি জানানো হয়েছে।

বুধবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষকরা এসব দাবি জানান। ‘স্বতন্ত্র মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর বাস্তবায়ন জাতীয় কমিটি’ এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

সংবাদ সম্মেলনে সরকারি মাধ্যমিক স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের চেয়ারম্যান ও সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষা সমিতির খুলনা অঞ্চল কমিটির সভাপতি মমতাজ খাতুন নেতৃত্ব দেন। তার পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আয়োজক সংগঠনের মুখপাত্র ওমর ফারুক। আরও উপস্থিত ছিলেন, শিক্ষক নেতা মুনিরুল ইসলাম মঞ্জু, কামরুন নাহার, আকরাম হোসেন, রিজবি হোসেন খান, শাহ নেওয়াজ সেতু, সালাউদ্দিন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অসাম্প্রদায়িক, দুর্নীতিমুক্ত ও শোষণমুক্ত উন্নত সমৃদ্ধশালী সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে ১৯৭৪ সালে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক/শিক্ষিকাদের পদটি দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড পদমর্যাদা দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিলেন।

আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি এন্ট্রিপদ নবম গ্রেড ধরে একটি যৌক্তিক পদসোপানসহ স্বতন্ত্র মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর গঠন করা। বিষয়টি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখাকে অবহিত করে বেশ কয়েকবার আবেদন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও আমাদের আবেদনের বিষয়টি আলোর মুখ দেখেনি। যার ফলে শিক্ষা ব্যবস্থার মেরুদণ্ড মাধ্যমিক শিক্ষা তার কাঙ্খিত সাফল্য অর্জন করতে ব্যর্থ হচ্ছে।

লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর বর্তমানে বিপুল সংখ্যক মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বেসরকারি কলেজ, সরকারি কলেজ তদারকিসহ অন্যান্য কার্যক্রম চালাতে হিমসিশ খাচ্ছে। তাই মাধ্যমিক শিক্ষা প্রশাসনের কাজে গতি এবং বিদ্যালয় পরিদর্শন ও তদারকি ব্যবস্থা জোরদার এবং জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ এর প্রস্তাবনা অনুযায়ী মানসম্মত আধুনিক, যুগোপযোগী ও বাস্তবমুখী শিক্ষা নিশ্চিত করা এবং জাতীয় শিক্ষাক্রম ২০২১ মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়নের জন্য ‘স্বতন্ত্র মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর’একান্ত প্রয়োজন।

সংবাদ সম্মেলনে ১২ দফা দাবি উপস্থাপন করা হয়। দাবিগুলো হলো- স্বতন্ত্র মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর বাস্তবায়ন। সহকারী শিক্ষকদের বিদ্যমান পদের আপগ্রেডেশন করে এন্ট্রিপদ নবম গ্রেডে উন্নীতকরণ। সরকারি কলেজের ন্যায় চার স্তরীয় পদ সোপান বাস্তবায়ন। দ্রুত দীর্ঘদিনের বকেয়া টাইমস্কেল/ সিলেকশন গ্রেডের মঞ্জুরি আদেশ প্রদান। বিভিন্ন সময়ে নিয়োগপ্রাপ্ত সম্মানিত সিনিয়র সহকর্মীদের ব্যাচ ভিত্তিক নিয়মিত পদোন্নতি নিশ্চিত করা। ২০১০ (অংশ) ও ২০১১ ব্যাচের সহকারী শিক্ষকদের সিনিয়র শিক্ষকের শূন্য পদে পদোন্নতি। সিনিয়র শিক্ষকদের উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের ৫০ ভাগ পদে দ্রুত বিধি মোতাবেক পদায়ন নিশ্চিতকরণ। দ্রুত নন-ক্যাডার শিক্ষকদের স্থায়ীকরণ। অগ্রিম বর্ধিত বেতন নিয়ে সৃষ্ট জটিলতার দ্রুত নিরসন। মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষকদের জন্য সুষ্ঠু ও সুসামঞ্জস্যপূর্ণ বদলি নীতিমালা বাস্তবায়ন।

Please Share This Post in Your Social Media

শিল্প-সংস্কৃতির প্রতি অসম্ভব ভালোবাসা ছিলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের। এ ভালোবাসা থেকেই বঙ্গবন্ধু যখন প্রাদেশিক সরকারের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী ছিলেন তখন ১৯৫৭ সালের ৩ এপ্রিল তার দূরদর্শিতায় চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন প্রতিষ্ঠার বিল আনা হয়। প্রতিষ্ঠিত হয় আজকের বাংলাদেশে চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (এফডিসি)।

সিনেমা অঙ্গনকে ভালোবেসে এদেশের চলচ্চিত্রের উন্নয়নে আমৃত্যু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, তিনি নিজেও সিনেমাতে অভিনয় করেছেন। বঙ্গবন্ধু অভিনীত সিনেমাটির নাম ‘সংগ্রাম’। ছবিটি পরিচালনা করেন প্রয়াত নির্মাতা চাষী নজরুল ইসলাম।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক চলচ্চিত্র ‘সংগ্রাম’। এতে ছোট্ট এক ভূমিকায় হাজির হয়েছিলেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ এই বাঙালি। সে সময়ের চিত্রনায়ক কামরুল আলম খান খসরু ও চাষী নজরুল ইসলামের অনুরোধে ছোট্ট ওই চরিত্রে অভিনয়ে রাজি হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু।

ছবির চিত্রনাট্যের শেষ দিকে ছিল, মুক্তিযুদ্ধের পর সদ্য স্বাধীন দেশের সামরিক বাহিনী বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের নায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে স্যালুট করছে। এই দৃশ্য কীভাবে ধারণ করা যায় সে নিয়ে চিন্তায় পড়েছিলেন পরিচালক চাষী নজরুল ইসলাম। একপ্রকার দুঃসাহস নিয়ে বঙ্গবন্ধুকে ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব দিয়ে বসেন ছবিটির নায়ক খসরু। কিন্তু বঙ্গবন্ধু প্রথমে রাজি হননি। পরে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মান্নানকে দিয়ে সুপারিশ করিয়ে অভিনয়ের জন্য তাকে রাজি করানো হয়।

‘সংগ্রাম’ ছবিটিতে নাযক ছিলেন খসরু আর নায়িকা সূচন্দা। ছবিটি ১৯৭৪ সালে মুক্তি পায়।

বঙ্গবন্ধু যে চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন