সূর্যকুমার-আইসিসির বর্ষসেরা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটার

সূর্যকুমার-আইসিসির বর্ষসেরা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটার

দৈনিক প্রবাহবার্তা ডেস্ক : ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) ২০২২ সালের বর্ষসেরা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটার হয়েছেন ভারতের ব্যাটার সূর্যকুমার যাদব। ভারতের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে এই নজির গড়লেন সূর্য।
নারীদের বর্ষসেরা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটার হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার অলরাউন্ডার তাহলিয়া ম্যাকগ্রা।
বর্ষসেরা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটার হিসেবে পুরুষ বিভাগে মনোনয়ন পেয়েছিলেন চারজন। সূর্যর সাথে লড়াইয়ে ছিলেন পাকিস্তানের উইকেটরক্ষক-ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ান, ইংল্যান্ডের অলরাউন্ডার স্যাম কারন ও জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং অলরাউন্ডার সিকান্দার রাজা।
২০২১ সালে টি-টোয়েন্টি অভিষেকের পর গেল বছরটা দুর্দান্ত কাটিয়েছেন সূর্যকুমার। ২০২২ সালে ৩১ ম্যাচ খেলে সর্বোচ্চ ১১৬৪ রান করেন এই ডান-হাতি ব্যাটার। টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে এক বর্ষ পঞ্জিকায় ১ হাজার রান করেন ভারতীয় এ ব্যাটার। করেছেন ৯টি হাফ-সেঞ্চুরি ও ২টি সেঞ্চুরি । ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নটিংহামে ৫৫ বলে ১১৭ ও মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৫১ বলে অপরাজিত ১১১ রানের দু’টি নান্দনিক ইনিংস খেলেন তিনি।
গেল বছর টি-টোয়েন্টিতে ৬৮টি ছক্কা মারেন সূর্য। যা এক বর্ষপঞ্জিকায় সংক্ষিপ্ত ভার্সনে সর্বোচ্চ । তার ব্যাটিং গড় ছিলো প্রায় ৪৬ ও স্ট্রাইক রেট ছিলো ১৮৭।
গেল বছর অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও ব্যাট হাতে নিজের সেরা রুপেই ছিলেন সূর্য। ৬ ইনিংসে ৩টি হাফ-সেঞ্চুরিতে ২৩৯ রান করেন তিনি। গড় ছিল প্রায় ৬০ ও স্ট্রাইক রেট ছিল প্রায় ১৯০।
বর্ষসেরা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটারের পুরস্কার পাওয়া সূর্যকুমার বলেন, ‘এটি দারুন এক অনুভূতি। ব্যক্তিগতভাবে ২০২২ সালটা আমার জন্য দারুন কেটেছে। গেল বছর আমার কিছু ইনিংস আমি বেশ উপভোগ করেছি। যদি একটি ইনিংস বেছে নেয়া হয়, তাহলে আমি মনে করি সেরা ছিলো দেশের হয়ে প্রথম সেঞ্চুরি। কারন প্রথম সেঞ্চুরি সব সময়ই বিশেষ কিছু। আশা করছি, আরো অনেক ভাল ইনিংস আসবে।’

Please Share This Post in Your Social Media

শিল্প-সংস্কৃতির প্রতি অসম্ভব ভালোবাসা ছিলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের। এ ভালোবাসা থেকেই বঙ্গবন্ধু যখন প্রাদেশিক সরকারের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী ছিলেন তখন ১৯৫৭ সালের ৩ এপ্রিল তার দূরদর্শিতায় চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন প্রতিষ্ঠার বিল আনা হয়। প্রতিষ্ঠিত হয় আজকের বাংলাদেশে চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (এফডিসি)।

সিনেমা অঙ্গনকে ভালোবেসে এদেশের চলচ্চিত্রের উন্নয়নে আমৃত্যু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, তিনি নিজেও সিনেমাতে অভিনয় করেছেন। বঙ্গবন্ধু অভিনীত সিনেমাটির নাম ‘সংগ্রাম’। ছবিটি পরিচালনা করেন প্রয়াত নির্মাতা চাষী নজরুল ইসলাম।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক চলচ্চিত্র ‘সংগ্রাম’। এতে ছোট্ট এক ভূমিকায় হাজির হয়েছিলেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ এই বাঙালি। সে সময়ের চিত্রনায়ক কামরুল আলম খান খসরু ও চাষী নজরুল ইসলামের অনুরোধে ছোট্ট ওই চরিত্রে অভিনয়ে রাজি হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু।

ছবির চিত্রনাট্যের শেষ দিকে ছিল, মুক্তিযুদ্ধের পর সদ্য স্বাধীন দেশের সামরিক বাহিনী বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের নায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে স্যালুট করছে। এই দৃশ্য কীভাবে ধারণ করা যায় সে নিয়ে চিন্তায় পড়েছিলেন পরিচালক চাষী নজরুল ইসলাম। একপ্রকার দুঃসাহস নিয়ে বঙ্গবন্ধুকে ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব দিয়ে বসেন ছবিটির নায়ক খসরু। কিন্তু বঙ্গবন্ধু প্রথমে রাজি হননি। পরে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মান্নানকে দিয়ে সুপারিশ করিয়ে অভিনয়ের জন্য তাকে রাজি করানো হয়।

‘সংগ্রাম’ ছবিটিতে নাযক ছিলেন খসরু আর নায়িকা সূচন্দা। ছবিটি ১৯৭৪ সালে মুক্তি পায়।

বঙ্গবন্ধু যে চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন