সুনামগঞ্জ আ,লীগের সম্মেলনে সম্পাদক পদে সবার মুখে মুখে বাবুল

সুনামগঞ্জ আ,লীগের সম্মেলনে সম্পাদক পদে সবার মুখে মুখে বাবুল

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি : কয়েক দফা সম্মেলনের তারিখ পেছানোর পর অবশেষে আগামী ১১ই ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে সুনামগঞ্জ জেলা আ,লীগের সম্মেলন। এর সকল আয়োজন প্রায় শেষে পথে। ঐদিন সরকারি জুবিলি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সুনামগঞ্জ জেলা আ,লীগের সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক পদে আলোচনা সমালোচনা ঝড় তুলেছেন জেলা আ,লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক, তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান করুণা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল। জেলার বষিয়ান নেতা ও তার সহযোদ্ধারাও তাকে সাধারণ সম্পাদক পদে দেখতে চায়। কারন হিসাবে তারা জানান,নেতৃত্ব দেবার মত পরিচ্ছন্ন ব্যক্তি ইমেজ,পারিবারিক ঐতিহ্য,সামাজিক পরিচিতি, জনবল,আর্থিক স্বচ্ছলতা,রাজনৈতিক দূরদর্শীতা,আদর্শিক পরীক্ষিত নেতৃত্ব ও গ্রহণ যোগ্যতাসহ যেসব গুণের প্রয়োজন তার সবগুলো করুনা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল এর মধ্যে রয়েছে। জেলার ত্যাগী,পরিশ্রমী,নিবেদিত,দলের দূসময়ে হামলা মামলা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তাদের নাম উঠলেই বাবুল চৌধুরীর নাম উঠে আসে। আ,লীগের রাজনীতি করার কারনে নিজ পরিবার পরিজনকেও ছাড় দেয়নি স্বাধীন বিরোধীরা। সকল বাধা পায়ে ঠেলে নিঃস্বার্থ ভাবে দলের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন ছাত্র রাজনীতি থেকে অর্ধবধি এই নেতা। আমিনুল মিয়া সাকিল মিয়াসহ তৃনমুল আ,লীগের নেতাকর্মী সমর্করা বলেন,যোগ্য পরিক্ষিত নেতাদের গুরুত্বপূর্ণ পদে দিলে দল আরও শক্তিশালী হবে। জেলায় জনবান্ধব,কর্মীবান্ধব নেতৃত্ব প্রয়োজন। দলের স্বার্থে যে কোন পরিস্থিতিতে এগিয়ে এসে ঐক্য বদ্ধ করে কাজ করতে পারবে আর এই কাজটি করতে পারে করুণা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল। তিনি প্রত্যান্ত হাওরাঞ্চল থেকে জেলার সর্বত্র বিচরন রয়েছে আর গুরুত্বপূর্ণ সাধারণ সম্পাদক পদটি পেলে দলের স্বার্থে কাজের গতি আরও বেড়ে যাবে। জেলা আ,লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান করুণা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল বলেন,আমি ও আমার পরিবার আ,লীগ পরিবার। দলের জন্য নির্যাতন নিপীড়ন মামলা হামলার শিকার হয়েছি। আমি চাই জেলা আ,লীগ শক্তিশালী হোক। দলের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। কাজের মূল্যানয় আমি পাব। জেলার প্রত্যেক স্তরের কর্মীদের সক্রিয় রাখার চেষ্টা করেই দলের দায়িত্ব পালন করেছি। দলীয় প্রধান আমাকে দায়িত্ব দিলে মাথা পেতে নিব। উল্লখ্য,জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক,জেলা আওয়ামী যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক,জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক,বর্তমানে জেলা আ,লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক,তাহিরপুর উপজেলা পরিষদে নৌকার বিজয়ী চেয়ারম্যান। গত ২০১৬ সালের ২৫শে ফেব্রুয়ারি জুবিলী স্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত সুনামগঞ্জ জেলা আ,লীগের সম্মেলনে সভাপতি মতিউর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন ব্যারিস্টার এম এনামুল কবির ইমন নাম ঘোষণা করা হয়। পরে ২০১৭ সালের ২২ ডিসেম্বর জেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছিল।

Please Share This Post in Your Social Media

শিল্প-সংস্কৃতির প্রতি অসম্ভব ভালোবাসা ছিলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের। এ ভালোবাসা থেকেই বঙ্গবন্ধু যখন প্রাদেশিক সরকারের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী ছিলেন তখন ১৯৫৭ সালের ৩ এপ্রিল তার দূরদর্শিতায় চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন প্রতিষ্ঠার বিল আনা হয়। প্রতিষ্ঠিত হয় আজকের বাংলাদেশে চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (এফডিসি)।

সিনেমা অঙ্গনকে ভালোবেসে এদেশের চলচ্চিত্রের উন্নয়নে আমৃত্যু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, তিনি নিজেও সিনেমাতে অভিনয় করেছেন। বঙ্গবন্ধু অভিনীত সিনেমাটির নাম ‘সংগ্রাম’। ছবিটি পরিচালনা করেন প্রয়াত নির্মাতা চাষী নজরুল ইসলাম।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক চলচ্চিত্র ‘সংগ্রাম’। এতে ছোট্ট এক ভূমিকায় হাজির হয়েছিলেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ এই বাঙালি। সে সময়ের চিত্রনায়ক কামরুল আলম খান খসরু ও চাষী নজরুল ইসলামের অনুরোধে ছোট্ট ওই চরিত্রে অভিনয়ে রাজি হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু।

ছবির চিত্রনাট্যের শেষ দিকে ছিল, মুক্তিযুদ্ধের পর সদ্য স্বাধীন দেশের সামরিক বাহিনী বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের নায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে স্যালুট করছে। এই দৃশ্য কীভাবে ধারণ করা যায় সে নিয়ে চিন্তায় পড়েছিলেন পরিচালক চাষী নজরুল ইসলাম। একপ্রকার দুঃসাহস নিয়ে বঙ্গবন্ধুকে ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব দিয়ে বসেন ছবিটির নায়ক খসরু। কিন্তু বঙ্গবন্ধু প্রথমে রাজি হননি। পরে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মান্নানকে দিয়ে সুপারিশ করিয়ে অভিনয়ের জন্য তাকে রাজি করানো হয়।

‘সংগ্রাম’ ছবিটিতে নাযক ছিলেন খসরু আর নায়িকা সূচন্দা। ছবিটি ১৯৭৪ সালে মুক্তি পায়।

বঙ্গবন্ধু যে চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন