সিংগাইরে পীর বাড়ির আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘাতে আহত-৬

সিংগাইরে পীর বাড়ির আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘাতে আহত-৬

মো.রকিবুল হাসান বিশ্বাস(মানিকগঞ্জ):মানিকগঞ্জের
সিংগাইরে নয়ানী পীর বাড়ির আধিপত্য বিস্তার নিয়ে
সংঘাতে উভয় পক্ষে ৬ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। বুধবার (৬ই মে) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে উপজেলার জয়মন্টপ ইউনিয়নের নয়ানী পীর বাড়ির রোডে এ সংঘাতের ঘটনা ঘটে।
এতে উভয় পক্ষের ৬ জন আহত হন। আহতরা হলেন-উপজেলার জয়মন্টপ ইউনিয়নের দশানী গ্রামের মো.আব্দুল লতিফ মাষ্টারের ছেলে মো.হুমায়ূন কবির(৫০),মোজাহিদ কবির(৩০) ও একই পরিবারের
আব্দুল রাজ্জাকের ছেলে মো.সোহেল রানা(২৪),মৃত মো.আরশাদের ছেলে মজনু(৪৫),ডন খালপাড়(নয়ানী) এলাকার চাঁন মিয়ার ছেলে চুন্নু মিয়া(৩৭),সাভার,রাজ ফুলবাড়িয়া রামচন্দ্রপুর গ্রামের মো.হানিফ মিয়ার ছেলে সজিব(২৫)। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,উপজেলার দশানী গ্রামের জয়মন্টপ বাজারের ব্যবসায়ী মো.সোহেল রানা দোকান বন্দ করে বাড়ি ফেরার পথে নয়ানী পীর বাড়ির কাছাকাছি মো.বোরহানউদ্দিনের বাড়ির সামনে পৌছালে ওঁৎ পেতে থাকা সাভার,রাজ ফুলবাড়িয়া রামচন্দ্রপুর গ্রামের মো.হানিফের পুত্র মো.সজিব(২৫),নয়ানী
গ্রামের মান্নানের পুত্র রিয়াদ(২৫),বোরহানউদ্দিনের পুত্র
রিয়াদ(২৫),তোফাজ্জলের পুত্র রাকিব(২২) রফিকুলের পুত্র আতিকুর ও আমিনুর(২০) আজিজ খার পুত্র ইফতি(২৪) মান্নানের জামাতা সাত্তার(৩৮) দেশীয় অস্র সশ্র মাথায় ও বুকে আঘাত করলে মারাত্মক জখম হয়ে গুরুতর আহত হয়। এবং তার ডাকচিৎকারে
পাশে থেকে মো.চুন্নু মিয়া এগিয়ে এলে তাকেও আঘাত
করে। সেও গুরুতর আহত হয়। বিষয়টি গুরুতর আহত সোহেলেরআত্বীয় স্বজন জানতে পেরে পার্শ্ববর্তী এলাকায় থেকে এগিয়ে এলে তাদের উপর আর্তকিত হামলা চালায়। এতে হুমায়ূন কবির,মোজাহিদ কবির,মজনু আহত হয়। পরে থানা পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্যে কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। নয়ানী পীর বাড়ির আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয়দের ধারনা। অপরদিকে,সজিব(২৫)আহত হলে হাসপাতালে ভর্তি হয়। এ ব্যাপারে ভুত্তভোগীরা সিংগাইর থানায় পৃথক ২টি অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানা গেছে।

Please Share This Post in Your Social Media

শিল্প-সংস্কৃতির প্রতি অসম্ভব ভালোবাসা ছিলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের। এ ভালোবাসা থেকেই বঙ্গবন্ধু যখন প্রাদেশিক সরকারের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী ছিলেন তখন ১৯৫৭ সালের ৩ এপ্রিল তার দূরদর্শিতায় চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন প্রতিষ্ঠার বিল আনা হয়। প্রতিষ্ঠিত হয় আজকের বাংলাদেশে চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (এফডিসি)।

সিনেমা অঙ্গনকে ভালোবেসে এদেশের চলচ্চিত্রের উন্নয়নে আমৃত্যু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, তিনি নিজেও সিনেমাতে অভিনয় করেছেন। বঙ্গবন্ধু অভিনীত সিনেমাটির নাম ‘সংগ্রাম’। ছবিটি পরিচালনা করেন প্রয়াত নির্মাতা চাষী নজরুল ইসলাম।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক চলচ্চিত্র ‘সংগ্রাম’। এতে ছোট্ট এক ভূমিকায় হাজির হয়েছিলেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ এই বাঙালি। সে সময়ের চিত্রনায়ক কামরুল আলম খান খসরু ও চাষী নজরুল ইসলামের অনুরোধে ছোট্ট ওই চরিত্রে অভিনয়ে রাজি হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু।

ছবির চিত্রনাট্যের শেষ দিকে ছিল, মুক্তিযুদ্ধের পর সদ্য স্বাধীন দেশের সামরিক বাহিনী বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের নায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে স্যালুট করছে। এই দৃশ্য কীভাবে ধারণ করা যায় সে নিয়ে চিন্তায় পড়েছিলেন পরিচালক চাষী নজরুল ইসলাম। একপ্রকার দুঃসাহস নিয়ে বঙ্গবন্ধুকে ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব দিয়ে বসেন ছবিটির নায়ক খসরু। কিন্তু বঙ্গবন্ধু প্রথমে রাজি হননি। পরে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মান্নানকে দিয়ে সুপারিশ করিয়ে অভিনয়ের জন্য তাকে রাজি করানো হয়।

‘সংগ্রাম’ ছবিটিতে নাযক ছিলেন খসরু আর নায়িকা সূচন্দা। ছবিটি ১৯৭৪ সালে মুক্তি পায়।

বঙ্গবন্ধু যে চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন