শীতবস্ত্র নিয়ে রাতের আঁধারে অসহায়দের মাঝে সাংবাদিক জয়

শীতবস্ত্র নিয়ে রাতের আঁধারে অসহায়দের মাঝে সাংবাদিক জয়

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরে রাতে খুঁজে খুঁজে অসহায় শীতার্ত মানুষের বাড়ি গিয়ে ও পত্রিকার হকারদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করছেন সাংবাদিক নজরুল ইসলাম জয়। শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) রাতে লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণ, দক্ষিণ তেমুহনী, পৌরসভার বাঞ্ছানগর, ভবানীগঞ্জ, টুমচর এবং বেড়িবাঁধ সহ শহরের বিভিন্নস্থানে অসহায় মানুষের হাতে ও পত্রিকার হকারদের মাঝে শীতবস্ত্র (কম্বল) পৌঁছিয়ে দিচ্ছেন তিনি। নজরুল ইসলাম জয়, বাংলাদেশ সরকার নিবন্ধিত ‘শীর্ষ সংবাদ’ অনলাইন পত্রিকার সম্পাদক ও লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবের সম্মানিত সদস্য। জানা যায়, সাংবাদিক জয় গত কয়েক বছর ধরে প্রতি শীতকালে অসহায় ও রিকশা চালকদের মাঝে কম্বল বিতরণ করতে দেখা গেছে। করোনা মহামারির সময় গোপনে শতাধিক অসহায় মানুষের ঘরে-ঘরে গিয়ে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছিয়ে দিয়ে আসছেন। ঈদের সময় পথশিশু ও অসহায় মানুষের মাঝে ঈদ পোষাক উপহার দিতেন। তার কোন সহকর্মী অসুস্থ হলে সবার আগে ছুটে যান। জানতে চাইলে জয় জানান, আমি কখনো তারিখ বা সময় নিয়ে এসব কাজ করি না। হঠাৎ মন চেয়ে অসহায় মানুষের জন্য কিছু করতে, তখুনি করি। আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের লাভের একটি অংশ থেকে, সবসময় অসহায় মানুষের জন্য কিছু করতে চেষ্টা করি। আমার এ সামান্য বয়সে সৃষ্টিকর্তা আমাকে কবুল করছে। তাই মানুষের জন্য কিছু করতে পারি। অসহায় মানুষের জন্য কিছু করতে পেরে আমি আনন্দিত। আগামী দিনগুলোতেও অসহায় মানুষগুলোর সহযোগিতার নিজেকে নিয়োজিত রাখতে চাই।

Please Share This Post in Your Social Media

শিল্প-সংস্কৃতির প্রতি অসম্ভব ভালোবাসা ছিলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের। এ ভালোবাসা থেকেই বঙ্গবন্ধু যখন প্রাদেশিক সরকারের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী ছিলেন তখন ১৯৫৭ সালের ৩ এপ্রিল তার দূরদর্শিতায় চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন প্রতিষ্ঠার বিল আনা হয়। প্রতিষ্ঠিত হয় আজকের বাংলাদেশে চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (এফডিসি)।

সিনেমা অঙ্গনকে ভালোবেসে এদেশের চলচ্চিত্রের উন্নয়নে আমৃত্যু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, তিনি নিজেও সিনেমাতে অভিনয় করেছেন। বঙ্গবন্ধু অভিনীত সিনেমাটির নাম ‘সংগ্রাম’। ছবিটি পরিচালনা করেন প্রয়াত নির্মাতা চাষী নজরুল ইসলাম।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক চলচ্চিত্র ‘সংগ্রাম’। এতে ছোট্ট এক ভূমিকায় হাজির হয়েছিলেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ এই বাঙালি। সে সময়ের চিত্রনায়ক কামরুল আলম খান খসরু ও চাষী নজরুল ইসলামের অনুরোধে ছোট্ট ওই চরিত্রে অভিনয়ে রাজি হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু।

ছবির চিত্রনাট্যের শেষ দিকে ছিল, মুক্তিযুদ্ধের পর সদ্য স্বাধীন দেশের সামরিক বাহিনী বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের নায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে স্যালুট করছে। এই দৃশ্য কীভাবে ধারণ করা যায় সে নিয়ে চিন্তায় পড়েছিলেন পরিচালক চাষী নজরুল ইসলাম। একপ্রকার দুঃসাহস নিয়ে বঙ্গবন্ধুকে ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব দিয়ে বসেন ছবিটির নায়ক খসরু। কিন্তু বঙ্গবন্ধু প্রথমে রাজি হননি। পরে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মান্নানকে দিয়ে সুপারিশ করিয়ে অভিনয়ের জন্য তাকে রাজি করানো হয়।

‘সংগ্রাম’ ছবিটিতে নাযক ছিলেন খসরু আর নায়িকা সূচন্দা। ছবিটি ১৯৭৪ সালে মুক্তি পায়।

বঙ্গবন্ধু যে চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন