লেখক উন্নয়ন কেন্দ্রের উদ্যোগে উদযাপিত হলো কবি, উপস্থাপিকা ও শিল্পী আফরোজা কণার জন্মদিন

লেখক উন্নয়ন কেন্দ্রের উদ্যোগে উদযাপিত হলো কবি, উপস্থাপিকা ও শিল্পী আফরোজা কণার জন্মদিন

দৈনিক প্রবাহবার্তা প্রতিবেদন : উদযাপিত হলো কবি, উপস্থাপিকা ও শিল্পী আফরোজা কণার জন্মদিন। আয়োজনে ছিল কবি সংসদ বাংলাদেশ এবং লেখক উন্নয়ন কেন্দ্র।
৩০ জানুয়ারি রাজধানীর তোপখানা রোডের বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদের কনফারেন্স হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাংস্কৃতিক বন্ধন ও প্রিয়াংকা গ্রুপের চেয়ারম্যান বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সাইদুর রহমান সজল। শুভেচ্ছা জানিয়েছেন একুশে পদক প্রাপ্ত কবি অসীম সাহা। বক্তব্য রাখেন বাংলা একাডেমী পুরস্কার প্রাপ্ত কবি, ছড়াকার ও শিশু সাহিত্যিক আসলাম সানী কবি আসাদ কাজল, আসাদ কাজল মিতা হক এবং আফরোজা কণার মাসহ অনেকে। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট নজরুল গবেষক, সমাজ বিজ্ঞানী, মানবাধিকার মু. নজরুল ইসলাম তামিজি। সবশেষে কেক কেটে অনুষ্ঠানের সমাপনী করা হয়।
জন্মদিনের অনুষ্ঠান নিয়ে আফরোজা কণা বলেন, আমার জন্মদিন প্রতিবছরই কবি সংসদ বাংলাদেশ এবং লেখক উন্নয়ন কেন্দ্রের উদ্যোগে পালন করা হয়। সকলের প্রতি আমার শ্রদ্ধা ভালোবাসা এবং কৃতজ্ঞতা। সকলে আমার জন্য দোয়া করবেন। সবার মঙ্গল হোক। সুন্দর এই আয়োজন করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
আফরোজা কণা বাংলাদেশ বেতারের একজন উপস্থাপিকা। এছাড়াও বাংলাদেশ টেলিভিশনের তালিকাভুক্ত শিল্পী।

Please Share This Post in Your Social Media

শিল্প-সংস্কৃতির প্রতি অসম্ভব ভালোবাসা ছিলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের। এ ভালোবাসা থেকেই বঙ্গবন্ধু যখন প্রাদেশিক সরকারের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী ছিলেন তখন ১৯৫৭ সালের ৩ এপ্রিল তার দূরদর্শিতায় চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন প্রতিষ্ঠার বিল আনা হয়। প্রতিষ্ঠিত হয় আজকের বাংলাদেশে চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (এফডিসি)।

সিনেমা অঙ্গনকে ভালোবেসে এদেশের চলচ্চিত্রের উন্নয়নে আমৃত্যু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, তিনি নিজেও সিনেমাতে অভিনয় করেছেন। বঙ্গবন্ধু অভিনীত সিনেমাটির নাম ‘সংগ্রাম’। ছবিটি পরিচালনা করেন প্রয়াত নির্মাতা চাষী নজরুল ইসলাম।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক চলচ্চিত্র ‘সংগ্রাম’। এতে ছোট্ট এক ভূমিকায় হাজির হয়েছিলেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ এই বাঙালি। সে সময়ের চিত্রনায়ক কামরুল আলম খান খসরু ও চাষী নজরুল ইসলামের অনুরোধে ছোট্ট ওই চরিত্রে অভিনয়ে রাজি হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু।

ছবির চিত্রনাট্যের শেষ দিকে ছিল, মুক্তিযুদ্ধের পর সদ্য স্বাধীন দেশের সামরিক বাহিনী বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের নায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে স্যালুট করছে। এই দৃশ্য কীভাবে ধারণ করা যায় সে নিয়ে চিন্তায় পড়েছিলেন পরিচালক চাষী নজরুল ইসলাম। একপ্রকার দুঃসাহস নিয়ে বঙ্গবন্ধুকে ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব দিয়ে বসেন ছবিটির নায়ক খসরু। কিন্তু বঙ্গবন্ধু প্রথমে রাজি হননি। পরে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মান্নানকে দিয়ে সুপারিশ করিয়ে অভিনয়ের জন্য তাকে রাজি করানো হয়।

‘সংগ্রাম’ ছবিটিতে নাযক ছিলেন খসরু আর নায়িকা সূচন্দা। ছবিটি ১৯৭৪ সালে মুক্তি পায়।

বঙ্গবন্ধু যে চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন