যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির ছায়া মন্ত্রিসভার অর্থমন্ত্রী নিযুক্ত হয়েছেন টিউলিপ সিদ্দিক

যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির ছায়া মন্ত্রিসভার অর্থমন্ত্রী নিযুক্ত হয়েছেন টিউলিপ সিদ্দিক

প্রবাহবার্তা ডেস্ক :বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতনি টিউলিপ সিদ্দিককে এবার যুক্তরাজ্যের প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টির নতুন ছায়া মন্ত্রিসভায় যুক্ত করা হয়েছে। শ্যাডো ইকোনমিক সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে লন্ডনের ফাইন্যান্সিয়াল সিটির শ্যাডো মিনিস্টারও তিনি।

মূলত লেবার পার্টির ছায়া অর্থ মন্ত্রণালয়ের হয়ে কাজ করবেন লন্ডনের হ্যাম্পস্টেড ও কিলবার্ন এলাকার এমপি টিউলিপ। তিনি শ্যাডো চ্যান্সেলর রেচেল রিভস এমপির টিমে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করবেন।

ব্যাংক, ইন্সুরেন্সসহ সামগ্রিক আর্থিক খাতে সরকারের কার্যক্রমের ওপর লেবার পার্টির হয়ে নজরদারি করবেন এমপি টিউলিপ সিদ্দিক।

টুইটবার্তায় নতুন দায়িত্বের বিষয়টি নিশ্চিত করেন টিউলিপ সিদ্দিক। স্থানীয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমেও বিষয়টি নিয়ে একাধিক খবর প্রকাশ হয়েছে।

এর আগে ২০১৬ সালে লেবার পার্টির হয়ে শ্যাডো মিনিস্টার ফর আর্লি ইয়ার্স এডুকেশন হিসেবে দায়িত্ব পান টিউলিপ। কাজ করেন শিশু কল্যাণ ও প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা নিয়ে।

টিউলিপ এর আগে করবিনের প্রথম ছায়া মন্ত্রিসভার সংস্কৃতি, গণমাধ্যম ও ক্রীড়া বিষয়ক মন্ত্রী মাইকেল ডাগারের ব্যক্তিগত সচিবও ছিলেন। যুক্তরাজ্য পার্লামেন্টের নারী ও সমতা বিষয়ক সিলেক্ট কমিটির সদস্যও ছিলেন তিনি।

যুক্তরাজ্যের ৫৬তম সাধারণ নির্বাচনে হ্যাম্পস্টিড ও কিলবার্ন আসনে দ্বিতীয়বারের মতো এমপি পদে বিজয়ী হন শেখ রেহানা ও শফিক আহমেদ সিদ্দিকের জ্যেষ্ঠ কন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নি টিউলিপ।

মাত্র ১৬ বছরে লেবার পার্টির সদস্য হওয়া টিউলিপ সিদ্দিক ২০১০ সালে ক্যামব্রিয়ান কাউন্সিলের প্রথম বাংলাদেশি নারী কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচিত হন।

Please Share This Post in Your Social Media

শিল্প-সংস্কৃতির প্রতি অসম্ভব ভালোবাসা ছিলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের। এ ভালোবাসা থেকেই বঙ্গবন্ধু যখন প্রাদেশিক সরকারের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী ছিলেন তখন ১৯৫৭ সালের ৩ এপ্রিল তার দূরদর্শিতায় চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন প্রতিষ্ঠার বিল আনা হয়। প্রতিষ্ঠিত হয় আজকের বাংলাদেশে চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (এফডিসি)।

সিনেমা অঙ্গনকে ভালোবেসে এদেশের চলচ্চিত্রের উন্নয়নে আমৃত্যু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, তিনি নিজেও সিনেমাতে অভিনয় করেছেন। বঙ্গবন্ধু অভিনীত সিনেমাটির নাম ‘সংগ্রাম’। ছবিটি পরিচালনা করেন প্রয়াত নির্মাতা চাষী নজরুল ইসলাম।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক চলচ্চিত্র ‘সংগ্রাম’। এতে ছোট্ট এক ভূমিকায় হাজির হয়েছিলেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ এই বাঙালি। সে সময়ের চিত্রনায়ক কামরুল আলম খান খসরু ও চাষী নজরুল ইসলামের অনুরোধে ছোট্ট ওই চরিত্রে অভিনয়ে রাজি হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু।

ছবির চিত্রনাট্যের শেষ দিকে ছিল, মুক্তিযুদ্ধের পর সদ্য স্বাধীন দেশের সামরিক বাহিনী বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের নায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে স্যালুট করছে। এই দৃশ্য কীভাবে ধারণ করা যায় সে নিয়ে চিন্তায় পড়েছিলেন পরিচালক চাষী নজরুল ইসলাম। একপ্রকার দুঃসাহস নিয়ে বঙ্গবন্ধুকে ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব দিয়ে বসেন ছবিটির নায়ক খসরু। কিন্তু বঙ্গবন্ধু প্রথমে রাজি হননি। পরে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মান্নানকে দিয়ে সুপারিশ করিয়ে অভিনয়ের জন্য তাকে রাজি করানো হয়।

‘সংগ্রাম’ ছবিটিতে নাযক ছিলেন খসরু আর নায়িকা সূচন্দা। ছবিটি ১৯৭৪ সালে মুক্তি পায়।

বঙ্গবন্ধু যে চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন