মাটিরাঙ্গায় এশিয়ান টিভির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন

মাটিরাঙ্গায় এশিয়ান টিভির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন

এ এম ফাহাদ (খাগড়াছড়ি): ১০ বছর পূর্তি ও ১১ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে আলোচনা সভা ও কেক কাটার মধ্য দিয়ে খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গায় আপনার চ্যানেল স্লোগানে প্রচারিত বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় টেলিভিশন চ্যানেল এশিয়ান টিভির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। ১৮ জানায়ারী (বুধবার) সকাল ১০ ঘটিকায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে মাটিরাঙ্গা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, প্রশাসনিক, রাজনৈতিক ব্যাক্তি, সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ সহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের নিয়ে কেক কাটেন মাটিরাঙ্গা পৌরসভার মেয়র মোঃ শামসুল হক। এ সময় উপস্থিত ছিলেন গেমতী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ তফাজ্জল হোসেন, সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ তাজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা জয়, জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা মাটিরাঙ্গা শাখার সভাপতি এস এম কামাল, সাংগঠনিক সম্পাদক এ এম ফাহাদ, মাটিরাঙ্গা উপজেলা আওয়ামীলীগ এর সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল হাসান আমান, ও সহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সাংবাদিকবৃন্দ এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও প্রশাসনিক ব্যাক্তিবর্গ। এশিয়ান টিভির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ করায় প্রশংসা করেন। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মাটিরাঙ্গা পৌরসভার মেয়র শামসুল হক তিনি আগামী দিনগুলোতে এশিয়ান টিভির সাফল্য কামনা করেন। এ সময় অন্যান্য অতিথিবৃন্দ এশিয়ান টিভির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে উত্তর উত্তর সমৃদ্ধি ও সফলতা কামনা করেন এবং এশিয়ান টিভির মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রতিনিধি মোঃ ফারুক হোসেনকে এশিয়ান টিভির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ১১ বছরে পদার্পণ ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ সংগ্রহে বিশেষ অবদান রাখায় মাটিরাঙ্গা সাংবাদিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। এশিয়ান টিভির ১১ বছরে পদার্পণ ও প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ায় এশিয়ান টিভির মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রতিনিধি মোঃ ফারুক হোসেন উপস্থিত সকল অতিথিবৃন্দকে শুভেচ্ছা জানান ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

Please Share This Post in Your Social Media

শিল্প-সংস্কৃতির প্রতি অসম্ভব ভালোবাসা ছিলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের। এ ভালোবাসা থেকেই বঙ্গবন্ধু যখন প্রাদেশিক সরকারের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী ছিলেন তখন ১৯৫৭ সালের ৩ এপ্রিল তার দূরদর্শিতায় চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন প্রতিষ্ঠার বিল আনা হয়। প্রতিষ্ঠিত হয় আজকের বাংলাদেশে চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (এফডিসি)।

সিনেমা অঙ্গনকে ভালোবেসে এদেশের চলচ্চিত্রের উন্নয়নে আমৃত্যু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, তিনি নিজেও সিনেমাতে অভিনয় করেছেন। বঙ্গবন্ধু অভিনীত সিনেমাটির নাম ‘সংগ্রাম’। ছবিটি পরিচালনা করেন প্রয়াত নির্মাতা চাষী নজরুল ইসলাম।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক চলচ্চিত্র ‘সংগ্রাম’। এতে ছোট্ট এক ভূমিকায় হাজির হয়েছিলেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ এই বাঙালি। সে সময়ের চিত্রনায়ক কামরুল আলম খান খসরু ও চাষী নজরুল ইসলামের অনুরোধে ছোট্ট ওই চরিত্রে অভিনয়ে রাজি হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু।

ছবির চিত্রনাট্যের শেষ দিকে ছিল, মুক্তিযুদ্ধের পর সদ্য স্বাধীন দেশের সামরিক বাহিনী বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের নায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে স্যালুট করছে। এই দৃশ্য কীভাবে ধারণ করা যায় সে নিয়ে চিন্তায় পড়েছিলেন পরিচালক চাষী নজরুল ইসলাম। একপ্রকার দুঃসাহস নিয়ে বঙ্গবন্ধুকে ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব দিয়ে বসেন ছবিটির নায়ক খসরু। কিন্তু বঙ্গবন্ধু প্রথমে রাজি হননি। পরে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মান্নানকে দিয়ে সুপারিশ করিয়ে অভিনয়ের জন্য তাকে রাজি করানো হয়।

‘সংগ্রাম’ ছবিটিতে নাযক ছিলেন খসরু আর নায়িকা সূচন্দা। ছবিটি ১৯৭৪ সালে মুক্তি পায়।

বঙ্গবন্ধু যে চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন