মাঝির ছেলে ডাক্তার”হেলাল উদ্দিন ফারহান নির্মিত নাটক

মাঝির ছেলে ডাক্তার”হেলাল উদ্দিন ফারহান নির্মিত নাটক

দৈনিক প্রবাহবার্তা বিনোদন প্রতিবেদক : সম্প্রতি দৃশ্যধারণ শেষ হয়েছে নির্মাতা  হেলাল উদ্দিন ফারহান এর মাঝির ছেলে ডাক্তার নাটকের। গল্পে দেখা যাবে- রফিক মিয়া একজন মাঝি,তার একটায় স্বপ্ন  ছেলেকে ডাক্তার বানানো।আর ডাক্তার বানাতে যদি তার সব সম্পত্তি বিক্রিও করতে হয় তাও সে করবে, এই স্বপ্নকে লালন করে রফিক মিয়া ছেলে রাতুলকে পড়াশুনা করায়।কিন্তু সমাজের কিছু  লোক আছে যারা গরিবের ও স্বপ্ন থাকে এটা তারা মানতে চায় না । আর কোন ভাবে যদি মানেও তবে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নও করতে দিতে চায় না । রফিক মিয়ার ছেলের ডাক্তারী পড়ায় মাতব্বরের মাথায় যেন বাজ পড়ে । মাতব্বর মাতবর সাহেব, খুব অহংকারি ও হিংসুটে, সে চায় না এলাকায় তার উপর কেউ মাতব্বেরি করুক, তার নাম না নিয়ে অন্য কারো নাম মানুষ মুখে নেক।তাই সে রাতুলের ডাক্তারি পড়া নিয়ে বিভিন্ন ভাবে তাদেরকে হুমকি ধামকি দিয়ে আসে,মাতব্বরের  ভয়ে রফিক মাঝি ও তার ছেলের স্বপ্ন নিমিষেই নদীর শ্রোতে ভেসে যায়।বন্ধ করে দেয় পড়া লেখা হাতে নিতে হয়  নৌকার বৈঠা, পারাপার করতে থাকে মানুষ।কিন্তু একটা সময় রফিক মাঝি তার ছেলেকে মামার কাছে পাঠিয়ে দেয় কাজ শিখবে বলে, আর এই কথাটাই এলাকার মাতবরসহ সবাই জানে।কিন্তু পরে জানা যায় রফিক মাঝি তার ছেলেকে ডাক্তারি পড়ার জন্য শহরে পাঠায়।ছেলে ডাক্তারি পরে এলাকায় আসলে সবাই জানতে পারে।তখন মাতব্বরকে সবাই বলতে থাকে মাঝির পোলা ডাক্তারি পাশ দিয়ে আইছে।মাতব্বর এটা আর নিতে পারে না,তাই তাদেরকে মারার পরিকল্পনা করে। নাটকের  গল্প মোড় নেয় অন্য দিকে। মাঝির ছেলে ডাক্তার নাটক সর্ম্পকে নির্মাতা হেলাল উদ্দিন ফারহান বলেন গল্পটিকে আমি দর্শকের কথা মাথায় রেখে বলার চেষ্ঠা করেছি,আমার বিশ্বাস মাঝির ছেলে ডাক্তার নাটকটি দর্শকদের নিরাশ করবে না । নাটকটি একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে সম্প্রচারের পর থ্রী স্টার ড্রামা ইউটিউব চ্যানেলে দেখতে পাওয়া যাবে বলে নির্মাতা হেলাল উদ্দিন ফারহান জানান।নাটকটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করছেন আফজাল কবির,পুস্প পাপরি,হায়দার আলি,মুক্তা,বাদল,আকলিমা লিজা সহ আরো অনেকে। শাকিবুর রহমান এর রচনায় নাটকটি প্রযোজনা করেছেন শাকিবুর রহমান ,চিত্রগ্রহনে ছিলেন কামরুল হাসান,প্রধান সহকারি পরিচালকের দ্বায়িত্ব পালন করেছেন কাব্বির পাইকার।নাটকটির দৃশ্যধারন করা হয়েছে মাওনা শ্রীপুরের বিভিন্ন এলাকায়।

Please Share This Post in Your Social Media

শিল্প-সংস্কৃতির প্রতি অসম্ভব ভালোবাসা ছিলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের। এ ভালোবাসা থেকেই বঙ্গবন্ধু যখন প্রাদেশিক সরকারের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী ছিলেন তখন ১৯৫৭ সালের ৩ এপ্রিল তার দূরদর্শিতায় চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন প্রতিষ্ঠার বিল আনা হয়। প্রতিষ্ঠিত হয় আজকের বাংলাদেশে চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (এফডিসি)।

সিনেমা অঙ্গনকে ভালোবেসে এদেশের চলচ্চিত্রের উন্নয়নে আমৃত্যু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, তিনি নিজেও সিনেমাতে অভিনয় করেছেন। বঙ্গবন্ধু অভিনীত সিনেমাটির নাম ‘সংগ্রাম’। ছবিটি পরিচালনা করেন প্রয়াত নির্মাতা চাষী নজরুল ইসলাম।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক চলচ্চিত্র ‘সংগ্রাম’। এতে ছোট্ট এক ভূমিকায় হাজির হয়েছিলেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ এই বাঙালি। সে সময়ের চিত্রনায়ক কামরুল আলম খান খসরু ও চাষী নজরুল ইসলামের অনুরোধে ছোট্ট ওই চরিত্রে অভিনয়ে রাজি হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু।

ছবির চিত্রনাট্যের শেষ দিকে ছিল, মুক্তিযুদ্ধের পর সদ্য স্বাধীন দেশের সামরিক বাহিনী বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের নায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে স্যালুট করছে। এই দৃশ্য কীভাবে ধারণ করা যায় সে নিয়ে চিন্তায় পড়েছিলেন পরিচালক চাষী নজরুল ইসলাম। একপ্রকার দুঃসাহস নিয়ে বঙ্গবন্ধুকে ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব দিয়ে বসেন ছবিটির নায়ক খসরু। কিন্তু বঙ্গবন্ধু প্রথমে রাজি হননি। পরে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মান্নানকে দিয়ে সুপারিশ করিয়ে অভিনয়ের জন্য তাকে রাজি করানো হয়।

‘সংগ্রাম’ ছবিটিতে নাযক ছিলেন খসরু আর নায়িকা সূচন্দা। ছবিটি ১৯৭৪ সালে মুক্তি পায়।

বঙ্গবন্ধু যে চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন