মন্ট্রিয়ল,কানাডায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ৩৭ তম ফোবানা সম্মেলন হতে

মন্ট্রিয়ল,কানাডায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ৩৭ তম ফোবানা সম্মেলন হতে

দৈনিক প্রবাহবার্তা : ফোবানা চেয়ারম্যন  আতিকুর রহমান ও নির্বাহী সম্পাদক ড.রফিক খানের পক্ষ থেকে সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে ৩৭ তম ফোবানা সম্মেলন হবে কানাডার মন্ট্রিয়ল শহরে। ফোবানা সম্মেলনটি প্রতি বছর উত্তর আমেরিকার (ইউ.এস.এ. ও কানাডার) বিভিন্ন শহরে উদযাপিত হয়। এবার দীর্ঘ দিন পর বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অফ মন্ট্রিয়ল ফোবানা সম্মেলনটি করতে যাচ্ছে । এই সম্মেলনটির কনভেনার হচ্ছেন উত্তর আমেরিকার জনপ্রিয় সংগঠক মনিরুজ্জামান এবং মেম্বার সেক্রেটারী হাফিজুর রহমান ও অভিজিৎ দে। এই সম্মেলনটিকে সার্থক করতে ইতিমধ্যে কনভেনশন হল /হোটেল বুকিং এবং শিল্পীদের আমন্ত্রণ করার কাজ দ্রুত চলমান রয়েছে। আপনাদের সকলকে সপরিবারে এই অনুষ্ঠানটিতে অংশ গ্রহন করার জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে। এই ফোবানা সম্মেলনটি হচ্ছে মূলধারার ফোবানা দ্বারা আয়োজিত একমাত্র সম্মেলন। আমরা বিশ্বাস করি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বে, বাংলাদেশে স্বাধীনতায়, বাংলাদেশের সংস্কৃতিতে, বিশ্বাস করি এক পরিচ্ছন্ন ফোবানাতে যেখানে থাকবে সম্মানিত সাংস্কৃতিক মনের মানুষ, থাকবেনা অপরাধের সাথে সংযুক্ত কোনো ব্যক্তিবর্গ। ফোবানার মূল লক্ষ্য হচ্ছে উত্তর আমেরিকায় বাংলাদেশী সংস্কৃতিকে ধরে রাখা এবং নুতন প্রজন্মের কাছে তার প্রচার ও প্রসারে সাহায্য করা। সাথে সাথে উত্তর আমেরিকায় বসবাসকারী বাংলাদেশীদের মধ্যে যোগসূত্র গড়ে তোলা, বাংলাদেশ ও উত্তর আমেরিকায় বসবাসকারী বাংলাদেশীদের ভেতর সাংস্কৃতিক ও ব্যবসায়িক সেতু বন্ধন তৈরী করা, নুতন প্রজন্মের কাছে ফোবানা ইয়ুথ ক্লাবের মাধ্যমে ভাষা, সংস্কৃতি, উচ্চ শিক্ষার ব্যাপারে প্রেরণা দেওয়া। ফোবানা সম্মেলন হচ্ছে বিদেশের মাটিতে হাজার বাংলাদেশীদের মিলন মেলা, যেখানে আপনারা খুঁজে পাবেন বাংলাদেশকে, যেখানে আপনারা জানতে পাবেন অদম্য গতিতে এগিয়ে চলা বাংলাদেশের গল্প, এবং স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে প্রবাসীদের অংশগ্রহণ নিয়ে বিশেষ আলোচনা। এখানে বাংলাদেশ থেকে আসবেন স্বনামধন্য শিল্পী সহ অন্নান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। উত্তর আমেরিকায় বহু বাংলাদেশী গুণী শিল্পীরা আছেন যারা আসবেন আমাদের ফোবানা সম্মেলনে তাদের পরিবেশনা নিয়ে। আপনাদের-আমাদের-সকল বাংলদেশীদের প্লাটফর্ম – ফোবানা। চলুন সবাই মিলে সার্থক করে তুলি মন্ট্রিয়ল, কানাডায় আয়োজিত এই ফোবানা সম্মেলনটিকে। সবার অবগতির জন্য আবার জানানো যাচ্ছে যে কানাডার সম্মেলনটি হবে ফোবানার মূল ৩৭ তম ফোবানা সম্মেলন। ফোবানার নাম ব্যবহার করে কেউ যদি কোন অনুষ্ঠান করার চেষ্টা করে, তাদের সাথে কোন অর্থনৈতিক লেনদেন করতে সবাইকে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানাচ্ছি। এর দায়ভার ফোবানা কর্তৃপক্ষ কখনো বহন করবে না। এ ব্যাপারে যেকোন প্রশ্নের উত্তর জানার জন্য নিম্নে দেয়া ফোন বা ইমেইলের মাধ্যমে যোগাযোগ করুন , অথবা ভিজিট করুন WWW.FOBANA.INFO ফোন: ৯৫৪-৮১৮-২৯৭০, ফোন: ২৮১-৪৬০-৯১০১ ইমেইল: rahman355@yahoo.com ইমেইল: fobanac@gmail.com

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

Please Share This Post in Your Social Media

শিল্প-সংস্কৃতির প্রতি অসম্ভব ভালোবাসা ছিলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের। এ ভালোবাসা থেকেই বঙ্গবন্ধু যখন প্রাদেশিক সরকারের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী ছিলেন তখন ১৯৫৭ সালের ৩ এপ্রিল তার দূরদর্শিতায় চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন প্রতিষ্ঠার বিল আনা হয়। প্রতিষ্ঠিত হয় আজকের বাংলাদেশে চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (এফডিসি)।

সিনেমা অঙ্গনকে ভালোবেসে এদেশের চলচ্চিত্রের উন্নয়নে আমৃত্যু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, তিনি নিজেও সিনেমাতে অভিনয় করেছেন। বঙ্গবন্ধু অভিনীত সিনেমাটির নাম ‘সংগ্রাম’। ছবিটি পরিচালনা করেন প্রয়াত নির্মাতা চাষী নজরুল ইসলাম।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক চলচ্চিত্র ‘সংগ্রাম’। এতে ছোট্ট এক ভূমিকায় হাজির হয়েছিলেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ এই বাঙালি। সে সময়ের চিত্রনায়ক কামরুল আলম খান খসরু ও চাষী নজরুল ইসলামের অনুরোধে ছোট্ট ওই চরিত্রে অভিনয়ে রাজি হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু।

ছবির চিত্রনাট্যের শেষ দিকে ছিল, মুক্তিযুদ্ধের পর সদ্য স্বাধীন দেশের সামরিক বাহিনী বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের নায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে স্যালুট করছে। এই দৃশ্য কীভাবে ধারণ করা যায় সে নিয়ে চিন্তায় পড়েছিলেন পরিচালক চাষী নজরুল ইসলাম। একপ্রকার দুঃসাহস নিয়ে বঙ্গবন্ধুকে ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব দিয়ে বসেন ছবিটির নায়ক খসরু। কিন্তু বঙ্গবন্ধু প্রথমে রাজি হননি। পরে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মান্নানকে দিয়ে সুপারিশ করিয়ে অভিনয়ের জন্য তাকে রাজি করানো হয়।

‘সংগ্রাম’ ছবিটিতে নাযক ছিলেন খসরু আর নায়িকা সূচন্দা। ছবিটি ১৯৭৪ সালে মুক্তি পায়।

বঙ্গবন্ধু যে চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন