ভেনিস আওয়ামী লীগের আহবায়ক কমিটির অনুমোদন

ভেনিস আওয়ামী লীগের আহবায়ক কমিটির অনুমোদন

মোহাম্মদ মেসবাহ্ উদ্দিন আলাল ইউরোপ বুরো চীপ : বিশ্ব পর্যটন নগরী ভেনিসে গত ২৮ জানুয়ারী শনিবার ইতালি আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহতাব হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেনকে বিপুল গণসংবর্ধনা দেয়া হয়েছে এবং এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভেনিস আওয়ামী লীগের আয়োজনে ইতালি যুবলীগ ভেনিস শাখার সার্বিক সহযোগিতায় স্থানীয় একটি রেস্টুরেন্টে রফিকুল ইসলাম ছৈয়ালের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইতালি আওয়ামী লীগের সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির আহবায়ক ও সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সম্মানিত সাংগঠনিক সম্পাদক জি.এম কিবরিয়া ও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইতালি আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি লুৎফর রহমান,ইতালি আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম এ রব মিন্টু, দিক নির্দেশনা মুলক বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সমিতি ইতালির সভাপতি আফতাব বেপারী,ইতালি আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি হাজী মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন,নজরুল ইসলাম মাঝি, আবদুল রব ফকির,ইতালি যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি উজ্জ্বল মৃধা,সাধারণ সম্পাদক এনায়েত করিম। অনুষ্ঠানে বিশেষ বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন ভেনিস আওয়ামী লীগের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি সরদার সালাউদ্দিন নান্নু,মজনু দেওয়ান,তাজুল ইসলাম,কাজী রোনাক,জাহাঙ্গীর সরকার, আজাদ খাঁন,সোলাইমান হোসেন,ডালিম মাহমুদ,দেলোয়ার হোসেন,মুরাদ ডালি, সজীব মুন্সি,ফয়সাল আহমেদ প্রমূখ। এছাড়াও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ,যুবলীগ,ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ সহ বিভিন্ন প্রভিন্সের নেতৃবৃন্দ। গণ সংবর্ধনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে ভেনিস আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি বিল্লাল হোসেন ঢালিকে আহবায়ক ও ভেনিস আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক আহম্মেদকে সদস্য সচিব করে ৩১সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটির আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়।সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষে স্থানীয় ও অতিথি শিল্পীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ইতালি আওয়ামী লীগ ভেনিস শাখার সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক আহম্মেদ ও মোক্তার মোল্লা।

Please Share This Post in Your Social Media

শিল্প-সংস্কৃতির প্রতি অসম্ভব ভালোবাসা ছিলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের। এ ভালোবাসা থেকেই বঙ্গবন্ধু যখন প্রাদেশিক সরকারের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী ছিলেন তখন ১৯৫৭ সালের ৩ এপ্রিল তার দূরদর্শিতায় চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন প্রতিষ্ঠার বিল আনা হয়। প্রতিষ্ঠিত হয় আজকের বাংলাদেশে চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (এফডিসি)।

সিনেমা অঙ্গনকে ভালোবেসে এদেশের চলচ্চিত্রের উন্নয়নে আমৃত্যু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, তিনি নিজেও সিনেমাতে অভিনয় করেছেন। বঙ্গবন্ধু অভিনীত সিনেমাটির নাম ‘সংগ্রাম’। ছবিটি পরিচালনা করেন প্রয়াত নির্মাতা চাষী নজরুল ইসলাম।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক চলচ্চিত্র ‘সংগ্রাম’। এতে ছোট্ট এক ভূমিকায় হাজির হয়েছিলেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ এই বাঙালি। সে সময়ের চিত্রনায়ক কামরুল আলম খান খসরু ও চাষী নজরুল ইসলামের অনুরোধে ছোট্ট ওই চরিত্রে অভিনয়ে রাজি হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু।

ছবির চিত্রনাট্যের শেষ দিকে ছিল, মুক্তিযুদ্ধের পর সদ্য স্বাধীন দেশের সামরিক বাহিনী বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের নায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে স্যালুট করছে। এই দৃশ্য কীভাবে ধারণ করা যায় সে নিয়ে চিন্তায় পড়েছিলেন পরিচালক চাষী নজরুল ইসলাম। একপ্রকার দুঃসাহস নিয়ে বঙ্গবন্ধুকে ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব দিয়ে বসেন ছবিটির নায়ক খসরু। কিন্তু বঙ্গবন্ধু প্রথমে রাজি হননি। পরে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মান্নানকে দিয়ে সুপারিশ করিয়ে অভিনয়ের জন্য তাকে রাজি করানো হয়।

‘সংগ্রাম’ ছবিটিতে নাযক ছিলেন খসরু আর নায়িকা সূচন্দা। ছবিটি ১৯৭৪ সালে মুক্তি পায়।

বঙ্গবন্ধু যে চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন