বাসাইলে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন প্রকল্পে নোটিশ না দিয়েই বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন,প্রকল্পের কাজ বন্ধ

বাসাইলে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন প্রকল্পে নোটিশ না দিয়েই বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন,প্রকল্পের কাজ বন্ধ

দৈনিক প্রবাহবার্তা অর্ণব আল আমিন, বাসাইল, টাঙ্গাইলঃ টাঙ্গাইলের বাসাইলে বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকায় প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন প্রকল্পের কাজে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে পল্লীবিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ। এর ফলে প্রকল্পের ঘর নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে। বুধবার উপজেলার কাউলজানী ইউনিয়নের চরপাড়া প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন প্রকল্পে এমন ঘটনা ঘটে। অভিযোগ উঠেছে কোন প্রকার নোটিশ না দিয়েই হঠাৎ করে বিদ্যুৎ বিচ্ছন্ন করে দেয়া হয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিচ্ছিন্ন করায় বন্ধ হয়ে গেছে ঘর নির্মানের কাজ। বিদ্যুৎ না থাকায় নির্মাণ প্রকল্পের মালামাল চুরি হওয়ার আশঙ্কা করছেন শ্রমিকরা।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এবছর জুলাই মাসে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন প্রকল্পের ৩০টি ঘরের কাজের শুরু করা হয়। প্রতিটি ঘর বাবদ খরচ ধরা হয়েছে ২ লাখ ৫৯ হাজার ৫শ’ টাকা। ঘর নির্মাণের কাজ প্রায় শেষের দিকে। ডিসেম্বরের মধ্যেই ঘরে উঠবে উপকারভোগীরা। ঘর নির্মাণে ১টি মিটার দিয়ে কাজ চলছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন বলেন, কোনো নোটিশ না দিয়েই বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এতে করে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন প্রকল্পের কাজ বন্ধ রয়েছে। দ্রুত বিদ্যুৎ না দিলে নির্মাণ প্রকল্পের মালামাল চুরি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

এ ব্যাপারে বাসাইল পল্লীবিদ্যুতের ডিজিএম অঞ্জন কুমার সরকার বলেন, ৪ মাসের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়েছে। সরকারি সিস্টেম রয়েছে বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকলে মেসেজ যাবে। বিদ্যুৎ সংযোগ নেয়ার পর থেকেই (জুলাই মাস) কর্তৃপক্ষ বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করেনি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা রয়েছে, তিন মাস বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকলে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দেয়ার। বিষয়টি সুরহা করার জন্য ইউএনও সাথে কথা হয়েছে। ইউএনও সরকারিভাবে টাকা দেয়ার কথা বলেছেন বলে তিনি জানান।

এ ব্যাপারে বাসাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার পাপিয়া আক্তারের সাথে যোগাযোগ করা হলে পাওয়া যায়নি।

Please Share This Post in Your Social Media

শিল্প-সংস্কৃতির প্রতি অসম্ভব ভালোবাসা ছিলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের। এ ভালোবাসা থেকেই বঙ্গবন্ধু যখন প্রাদেশিক সরকারের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী ছিলেন তখন ১৯৫৭ সালের ৩ এপ্রিল তার দূরদর্শিতায় চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন প্রতিষ্ঠার বিল আনা হয়। প্রতিষ্ঠিত হয় আজকের বাংলাদেশে চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (এফডিসি)।

সিনেমা অঙ্গনকে ভালোবেসে এদেশের চলচ্চিত্রের উন্নয়নে আমৃত্যু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, তিনি নিজেও সিনেমাতে অভিনয় করেছেন। বঙ্গবন্ধু অভিনীত সিনেমাটির নাম ‘সংগ্রাম’। ছবিটি পরিচালনা করেন প্রয়াত নির্মাতা চাষী নজরুল ইসলাম।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক চলচ্চিত্র ‘সংগ্রাম’। এতে ছোট্ট এক ভূমিকায় হাজির হয়েছিলেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ এই বাঙালি। সে সময়ের চিত্রনায়ক কামরুল আলম খান খসরু ও চাষী নজরুল ইসলামের অনুরোধে ছোট্ট ওই চরিত্রে অভিনয়ে রাজি হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু।

ছবির চিত্রনাট্যের শেষ দিকে ছিল, মুক্তিযুদ্ধের পর সদ্য স্বাধীন দেশের সামরিক বাহিনী বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের নায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে স্যালুট করছে। এই দৃশ্য কীভাবে ধারণ করা যায় সে নিয়ে চিন্তায় পড়েছিলেন পরিচালক চাষী নজরুল ইসলাম। একপ্রকার দুঃসাহস নিয়ে বঙ্গবন্ধুকে ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব দিয়ে বসেন ছবিটির নায়ক খসরু। কিন্তু বঙ্গবন্ধু প্রথমে রাজি হননি। পরে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মান্নানকে দিয়ে সুপারিশ করিয়ে অভিনয়ের জন্য তাকে রাজি করানো হয়।

‘সংগ্রাম’ ছবিটিতে নাযক ছিলেন খসরু আর নায়িকা সূচন্দা। ছবিটি ১৯৭৪ সালে মুক্তি পায়।

বঙ্গবন্ধু যে চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন