বাসাইলে জাতীয় বীমা দিবস পালন

বাসাইলে জাতীয় বীমা দিবস পালন

দৈনিক প্রবাহবার্তা অর্ণব আল আমিন, বাসাইল, টাঙ্গাইলঃটাঙ্গাইলের বাসাইলে জাতীয় বীমা দিবস ২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে র‍্যালী ও আলোচনা সভার আয়োজন করেন উপজেলা প্রশাসন।
আজ বুধবার (১ মার্চ) সকালে বাসাইল উপজেলা পরিষদ হলরুমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার পাপিয়া আক্তার এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়্যারমান কাজী অলিদ ইসলাম, বিশেষ অতিথি উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ শাহাদত হোসেন। এসময় উপস্থিতি ছিলেন সহকারি কমিশনার (ভূমি) আরিফুন্নাহান রীতা, বাসাইল ডিগ্রী কলেজ অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত)  জাহাঙ্গীর হোসেন মিয়া, সরকারি জাবেদা রুবিয়া মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মশিউর রহমান খান (আপেল), থানার  তদন্ত কর্মকর্তা মোঃ আবু হানিফ সরকার, কাউলজানি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হাবিব, কাশিল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সরকারি কর্মকর্তা ও বীমা কর্মী প্রমূখ।
বক্তারা জীবন বীমার পাশাপাশি, ব্যবসা বীমা, যানবাহন বীমা, পশু বীমা চালু করার আহ্বান জানান।
উল্লেখযোগ্য যে, জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬০ সালের ১ মার্চ পাকিস্তানের আলফা ইনস্যুরেন্স কোম্পানিতে যোগ দেন। তার এ যোগদানের দিনটিকে জাতীয় পর্যায়ে স্মরণীয় রাখতে ২০২০ সালের ১৫ জানুয়ারি বাংলাদেশের বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের সুপারিশক্রমে প্রতিবছর ১ মার্চকে জাতীয় বীমা দিবস ঘোষণা করে বাংলাদেশ সরকার। ওই বছরের ১ মাস এটি প্রথম দিবস হিসেবে পালিত হয়।
Please Share This Post in Your Social Media

শিল্প-সংস্কৃতির প্রতি অসম্ভব ভালোবাসা ছিলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের। এ ভালোবাসা থেকেই বঙ্গবন্ধু যখন প্রাদেশিক সরকারের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী ছিলেন তখন ১৯৫৭ সালের ৩ এপ্রিল তার দূরদর্শিতায় চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন প্রতিষ্ঠার বিল আনা হয়। প্রতিষ্ঠিত হয় আজকের বাংলাদেশে চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (এফডিসি)।

সিনেমা অঙ্গনকে ভালোবেসে এদেশের চলচ্চিত্রের উন্নয়নে আমৃত্যু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, তিনি নিজেও সিনেমাতে অভিনয় করেছেন। বঙ্গবন্ধু অভিনীত সিনেমাটির নাম ‘সংগ্রাম’। ছবিটি পরিচালনা করেন প্রয়াত নির্মাতা চাষী নজরুল ইসলাম।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক চলচ্চিত্র ‘সংগ্রাম’। এতে ছোট্ট এক ভূমিকায় হাজির হয়েছিলেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ এই বাঙালি। সে সময়ের চিত্রনায়ক কামরুল আলম খান খসরু ও চাষী নজরুল ইসলামের অনুরোধে ছোট্ট ওই চরিত্রে অভিনয়ে রাজি হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু।

ছবির চিত্রনাট্যের শেষ দিকে ছিল, মুক্তিযুদ্ধের পর সদ্য স্বাধীন দেশের সামরিক বাহিনী বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের নায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে স্যালুট করছে। এই দৃশ্য কীভাবে ধারণ করা যায় সে নিয়ে চিন্তায় পড়েছিলেন পরিচালক চাষী নজরুল ইসলাম। একপ্রকার দুঃসাহস নিয়ে বঙ্গবন্ধুকে ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব দিয়ে বসেন ছবিটির নায়ক খসরু। কিন্তু বঙ্গবন্ধু প্রথমে রাজি হননি। পরে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মান্নানকে দিয়ে সুপারিশ করিয়ে অভিনয়ের জন্য তাকে রাজি করানো হয়।

‘সংগ্রাম’ ছবিটিতে নাযক ছিলেন খসরু আর নায়িকা সূচন্দা। ছবিটি ১৯৭৪ সালে মুক্তি পায়।

বঙ্গবন্ধু যে চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন