বাংলাদেশ ফাইনালে : প্রতিপক্ষ নেপাল

বাংলাদেশ ফাইনালে : প্রতিপক্ষ নেপাল

দৈনিক প্রবাহবার্তা ডেস্ক : অধিনায়ক শামসুন্নাহার জুনিয়রের হ্যাটট্রিক এবং আকলিমা খাতুনের জোড়া গোলে ভুটানকে হারিয়ে শীর্ষ দল হিসেবে সাফ অনুর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ। আজ কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহি মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে ভুটানকে ৫-০ গোলে পরাজিত করেছে গোলাম রব্বানি ছোটনের শিষ্যরা। ফলে লিগের তিন ম্যাচ থেকে সাত পয়েন্ট নিয়ে তালিকার শীর্ষ দল হিসেবে ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ। ফাইনালে প্রতিপক্ষ হিসেবে নেপালকে পেয়েছে স্বাগতিকরা।
এর আগে লিগ পর্বের প্রথম ম্যাচে নেপালকে ৩-১ গোলে হারানোর পর ভারতের সঙ্গে গোলশুন্য ড্র করেছিল স্বাগতিকরা। আগামী বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ফাইনালে নেপালের মোকাবেলা করবে বাংলাদেশ। হিমালয়ের পাদদেশের দলটি লিগ পর্বের প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক বাংলাদেশের কাছে হেরে গেলেও পরের ম্যাচে ভুটানকে ৪-০ গোলে এবং ভারতকে ৩-১ গোলে হারিয়ে মোট ছয় পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ রানার আপ হিসেবে ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে। ম্যাচ শুরুর আগে তুরস্কে ভয়াবহ ভুমিকম্পে হতাহতদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
আজ ম্যাচের শুরু থেকেই একচেটিয়া আধিপত্য বিস্তার করে খেলতে থাকে বাংলাদেশের মেয়েরা। তবে গোল পেতে ২১ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় শামসুন্নাহারের দলকে।
ম্যাচের ২২ মিনিটে গোল করে বাংলাদেশকে এগিয়ে দেন আকলিমা খাতুন। বাঁ প্রান্ত দিয়ে অধিনায়ক শামসুন্নাহার জুনিয়র আড়াআড়ি ভাবে বল পাঠিয়ে দেন ভুটানের গোল পোস্টের সামনে। সেখানে বল নিয়ন্ত্রনে নিয়ে সফরকারী রক্ষনভাগের তিন খেলোয়াড়কে কাটিয়ে ডান পায়ের প্লেসিং শটে গোল করেন স্বাগতিক স্ট্রাইকার আকলিমা (১-০)।
৮ মিনিট পর দ্বিগুন ব্যবধানে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। ৩০ মিনিটে ডান প্রান্তে কর্নার থেকে উন্নতির ক্রসের বল দর্শনীয় হেডে জালে জড়িয়ে দেন শামসুন্নাহার (২-০)। এরপর অবশ্য প্রথমার্ধে আর কোন গোল না হলে ২-০ গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।
বিরতি থেকে ফিরে ফের গোল উৎসবে মেতে উঠে স্বাগতিক দল। ম্যাচের ৫৩ মিনিটে মাঝ মাঠে শাহেদা আক্তার রিপার পাস থেকে বল নিয়ে ডান প্রান্ত দিয়ে দ্রুত সফরকারি শিবিরে ঢুকে পড়েন স্বাগতিক অধিনায়ক শামসুন্নার। বেশ ঠান্ডা মাথায় ডি বক্সের কানা থেকে ডান পায়ে প্লেসিং শটে গোল করেন তিনি। তার শটের বলটি ভুটানের সাইডবারে লেগে জালে জড়ায় (৩-০)। ৬০ মিনিটে আকলিমা গোল করে বাংলাদেশের স্কোরশিটকে পৌঁছে দেন ৪-০ ব্যবধানে। পরের মিনিটে (৬১ মি.) আকলিমার ট্রু পাস থেকে গোল করে হ্যাটট্রিক পুর্ন করেন শামসুন্নাহার (৫-০)।
এরপরও প্রতিপক্ষ ভুটানের উপর চাপ অব্যাহত রেখেছে লাল সবুজের দলটি। তবে আর গোলের দেখা পায়নি তারা। শেষ পর্যন্ত ৫-০ ব্যবধানের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে ছোটনের শিষ্যরা।

Please Share This Post in Your Social Media

শিল্প-সংস্কৃতির প্রতি অসম্ভব ভালোবাসা ছিলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের। এ ভালোবাসা থেকেই বঙ্গবন্ধু যখন প্রাদেশিক সরকারের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী ছিলেন তখন ১৯৫৭ সালের ৩ এপ্রিল তার দূরদর্শিতায় চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন প্রতিষ্ঠার বিল আনা হয়। প্রতিষ্ঠিত হয় আজকের বাংলাদেশে চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (এফডিসি)।

সিনেমা অঙ্গনকে ভালোবেসে এদেশের চলচ্চিত্রের উন্নয়নে আমৃত্যু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, তিনি নিজেও সিনেমাতে অভিনয় করেছেন। বঙ্গবন্ধু অভিনীত সিনেমাটির নাম ‘সংগ্রাম’। ছবিটি পরিচালনা করেন প্রয়াত নির্মাতা চাষী নজরুল ইসলাম।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক চলচ্চিত্র ‘সংগ্রাম’। এতে ছোট্ট এক ভূমিকায় হাজির হয়েছিলেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ এই বাঙালি। সে সময়ের চিত্রনায়ক কামরুল আলম খান খসরু ও চাষী নজরুল ইসলামের অনুরোধে ছোট্ট ওই চরিত্রে অভিনয়ে রাজি হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু।

ছবির চিত্রনাট্যের শেষ দিকে ছিল, মুক্তিযুদ্ধের পর সদ্য স্বাধীন দেশের সামরিক বাহিনী বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের নায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে স্যালুট করছে। এই দৃশ্য কীভাবে ধারণ করা যায় সে নিয়ে চিন্তায় পড়েছিলেন পরিচালক চাষী নজরুল ইসলাম। একপ্রকার দুঃসাহস নিয়ে বঙ্গবন্ধুকে ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব দিয়ে বসেন ছবিটির নায়ক খসরু। কিন্তু বঙ্গবন্ধু প্রথমে রাজি হননি। পরে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মান্নানকে দিয়ে সুপারিশ করিয়ে অভিনয়ের জন্য তাকে রাজি করানো হয়।

‘সংগ্রাম’ ছবিটিতে নাযক ছিলেন খসরু আর নায়িকা সূচন্দা। ছবিটি ১৯৭৪ সালে মুক্তি পায়।

বঙ্গবন্ধু যে চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন