বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও বিজয় দিবস উপলক্ষে রাহুল গান্ধী ফেইসবুক পোস্ট

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও বিজয় দিবস উপলক্ষে রাহুল গান্ধী ফেইসবুক পোস্ট

প্রবাহবার্তা ডেস্ক :কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেছেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কথা বলি, তখন আমরা গণতন্ত্রের ধারণা নিয়েও কথা বলি।

বুধবার নিজের ভেরিফায়েড ফেইসবুক পেজে এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন। ওই পোস্টে বাংলাদেশের বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের চারটি ছবিও পোস্ট করেন তিনি।পোস্টে তিনি বলেছেন, ‘আমরা যখন ১৯৭১ এর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কথা বলি, তখন আমরা গণতন্ত্রের ধারণা নিয়েও কথা বলি।’

তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র পুনঃ প্রতিষ্ঠা করতেই ইন্দিরা গান্ধী ওই যুদ্ধে লড়েছিলেন এবং জয় লাভ করেছিলেন। আমরা গণতন্ত্রের সৈনিক। আজীবন তা-ই থাকব।’

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার ১৬ ডিসেম্বর পালিত হবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী। ইতিহাসের এই দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে জয়লাভ করে পৃথিবীর মানচিত্রে স্বাধীন দেশ হিসেবে জায়গা করে নেয় বাংলাদেশ। এই যুদ্ধে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ও কংগ্রেস নেত্রী ইন্দিরা গান্ধী বাংলাদেশকে সমর্থন নানাভাবে দিয়েছিলেন।

 

Please Share This Post in Your Social Media

শিল্প-সংস্কৃতির প্রতি অসম্ভব ভালোবাসা ছিলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের। এ ভালোবাসা থেকেই বঙ্গবন্ধু যখন প্রাদেশিক সরকারের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী ছিলেন তখন ১৯৫৭ সালের ৩ এপ্রিল তার দূরদর্শিতায় চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন প্রতিষ্ঠার বিল আনা হয়। প্রতিষ্ঠিত হয় আজকের বাংলাদেশে চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (এফডিসি)।

সিনেমা অঙ্গনকে ভালোবেসে এদেশের চলচ্চিত্রের উন্নয়নে আমৃত্যু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, তিনি নিজেও সিনেমাতে অভিনয় করেছেন। বঙ্গবন্ধু অভিনীত সিনেমাটির নাম ‘সংগ্রাম’। ছবিটি পরিচালনা করেন প্রয়াত নির্মাতা চাষী নজরুল ইসলাম।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক চলচ্চিত্র ‘সংগ্রাম’। এতে ছোট্ট এক ভূমিকায় হাজির হয়েছিলেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ এই বাঙালি। সে সময়ের চিত্রনায়ক কামরুল আলম খান খসরু ও চাষী নজরুল ইসলামের অনুরোধে ছোট্ট ওই চরিত্রে অভিনয়ে রাজি হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু।

ছবির চিত্রনাট্যের শেষ দিকে ছিল, মুক্তিযুদ্ধের পর সদ্য স্বাধীন দেশের সামরিক বাহিনী বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের নায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে স্যালুট করছে। এই দৃশ্য কীভাবে ধারণ করা যায় সে নিয়ে চিন্তায় পড়েছিলেন পরিচালক চাষী নজরুল ইসলাম। একপ্রকার দুঃসাহস নিয়ে বঙ্গবন্ধুকে ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব দিয়ে বসেন ছবিটির নায়ক খসরু। কিন্তু বঙ্গবন্ধু প্রথমে রাজি হননি। পরে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মান্নানকে দিয়ে সুপারিশ করিয়ে অভিনয়ের জন্য তাকে রাজি করানো হয়।

‘সংগ্রাম’ ছবিটিতে নাযক ছিলেন খসরু আর নায়িকা সূচন্দা। ছবিটি ১৯৭৪ সালে মুক্তি পায়।

বঙ্গবন্ধু যে চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন