পুজো আসে”শিরোনামের গানটিতে কন্ঠ দিয়েছেন ডক্টর অরূপরতন চৌধুরী

পুজো আসে”শিরোনামের গানটিতে কন্ঠ দিয়েছেন ডক্টর অরূপরতন চৌধুরী

দৈনিক প্রবাহবার্তা রনজু সরকার : সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব দূর্গা পূজা। এই পূজাকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে ভিন্ন আমেজ বইতে শুরু করেছে সর্বত্র। শরতের কাশফুলের সাদা শুভ্রতা মনে করিয়ে দেয় বিপদ নাশিনী দেবী দূর্গার আগমণী বার্তা। দুর্গামন্দিরে প্রতিমা শিল্পীরা ব্যস্ত সময় পার করছেন দেবীর স্বরূপ দান করতে। উৎসবকে ঘিরে দেবী দূর্গা ও অসুরের রণযুদ্ধের ঘটনাগুলোর সংক্ষিপ্ত পৌরাণিক কাহিনী রং তুলির আঁচড়ে মূর্তির মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে। তবে দূর্গা পূজোর আগেই পূজো পূজো গন্ধ যেন শুরু হয়ে গেছে। শুরু হয়ে গেছে সেই পূজোয় ঘেরা আামেজ। দূর্গা পূজার একটি আগমনী গান `পুজো আসে’। এবারের পূজোয় এই শিরোনামের গানটিকে নতুন করে সাজিয়ে মিউজিক ভিডিওতে ফুটিয়ে তুলে কন্ঠ দিয়েছেন বীর মুক্তিযুদ্ধা ডক্টর অরূপরতন চৌধুরী। গানটির সংগীতায়োজন করেছেন সুমন কল্যাণ। গানটির কথা লিখেছেন প্রসেনজিৎ পূজা ওঝা।কোরিওগ্রাফিতে ছিলেন শাকিল ও ভিডিওগ্রাফিতে ছিলেন সানি খান। গানটির ভিডিও নির্মাণ করেছেন এ বাবুল এবং তার সহকারি ছিলেন নিলয়। গানটিতে মডেল হয়েছেন শান্তা পাল,রিয়া বর্মন, রাইসা, আরাফাত, দেবদীপএবং এক ঝাঁক নৃত্যশিল্পী। অরূপরতন চৌধুরী জানান, গানটির মিউজিক ভিডিওর শুটিং হয়েছে ডাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে। ওখানে পরিচালক এ বাবুল দূর্গা পূজা মন্ডপে বিভিন্ন ভাবে সেট ফেলে ব্যয়বহুল এই মিউজিক ভিডিওটির শুটিং করেছেন। তাছাড়া তিনি অনেক যত্ন নিয়ে কাজটি করেছেন। গানটির ভিডিওতে উনি দারুনভাবে দূর্গা পূজোর আবহ ফুটিয়ে তুলেছেন। আশা করছি সবার ভালো লাগবে। এ বাবুল জানিয়েছেন, দূর্গাপূজা একটি অন্যতম উৎসব। এই ব্যাপারটি মাথায় রেখেই মানুষের আনন্দ খানিক বাড়িয়ে দেওয়ার জন্যই সুন্দর করে গানটির ভিডিও করার চেষ্টা করেছি। আমার বিশ্বাস ভিডিওটিও বেশ সুন্দর হয়েছে। আশা করছি সবাই গানটি উপভোগ করবেন। জানাগেছে, ২৭ সেপ্টেম্বর সংগীতার ইউটিউব চ্যানেলে গানটি প্রকাশ পাবে।

Please Share This Post in Your Social Media

শিল্প-সংস্কৃতির প্রতি অসম্ভব ভালোবাসা ছিলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের। এ ভালোবাসা থেকেই বঙ্গবন্ধু যখন প্রাদেশিক সরকারের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী ছিলেন তখন ১৯৫৭ সালের ৩ এপ্রিল তার দূরদর্শিতায় চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন প্রতিষ্ঠার বিল আনা হয়। প্রতিষ্ঠিত হয় আজকের বাংলাদেশে চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (এফডিসি)।

সিনেমা অঙ্গনকে ভালোবেসে এদেশের চলচ্চিত্রের উন্নয়নে আমৃত্যু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, তিনি নিজেও সিনেমাতে অভিনয় করেছেন। বঙ্গবন্ধু অভিনীত সিনেমাটির নাম ‘সংগ্রাম’। ছবিটি পরিচালনা করেন প্রয়াত নির্মাতা চাষী নজরুল ইসলাম।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক চলচ্চিত্র ‘সংগ্রাম’। এতে ছোট্ট এক ভূমিকায় হাজির হয়েছিলেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ এই বাঙালি। সে সময়ের চিত্রনায়ক কামরুল আলম খান খসরু ও চাষী নজরুল ইসলামের অনুরোধে ছোট্ট ওই চরিত্রে অভিনয়ে রাজি হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু।

ছবির চিত্রনাট্যের শেষ দিকে ছিল, মুক্তিযুদ্ধের পর সদ্য স্বাধীন দেশের সামরিক বাহিনী বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের নায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে স্যালুট করছে। এই দৃশ্য কীভাবে ধারণ করা যায় সে নিয়ে চিন্তায় পড়েছিলেন পরিচালক চাষী নজরুল ইসলাম। একপ্রকার দুঃসাহস নিয়ে বঙ্গবন্ধুকে ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব দিয়ে বসেন ছবিটির নায়ক খসরু। কিন্তু বঙ্গবন্ধু প্রথমে রাজি হননি। পরে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মান্নানকে দিয়ে সুপারিশ করিয়ে অভিনয়ের জন্য তাকে রাজি করানো হয়।

‘সংগ্রাম’ ছবিটিতে নাযক ছিলেন খসরু আর নায়িকা সূচন্দা। ছবিটি ১৯৭৪ সালে মুক্তি পায়।

বঙ্গবন্ধু যে চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন