ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড বিরল অতিমূল্যবান হীরার প্রদর্শন, গ্রাহক সেবা ও প্যাভিলিয়ন তৈরীতে নান্দনিকতা ও শৌল্পিকতার শ্রেষ্ঠ পিমিয়াম প্যাভিলন পুরস্কারে ভূষিত

ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড বিরল অতিমূল্যবান হীরার প্রদর্শন, গ্রাহক সেবা ও প্যাভিলিয়ন তৈরীতে নান্দনিকতা ও শৌল্পিকতার শ্রেষ্ঠ পিমিয়াম প্যাভিলন পুরস্কারে ভূষিত

দৈনিক প্রবাহবার্তা প্রতিবেদন : শেষ হলো মাসব্যাপী ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার (ডিআইটিএফ) ২৭তম আসর। বরাবরের মতো মেলার এই আসরেও দর্শনার্থীদের আগ্রহের কেন্দ্রে ছিল বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ এবং এদেশে জুয়েলারীতে প্রথম ISO সার্টিফাইড গোল্ড, ডায়মন্ড ও প্লাটিনাম বিক্রয়, বিপণন ও প্রস্তুতকারী কোম্পানী ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড।
মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারী/২০২৩) রাজধানীর পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে মেলায় বিরল ও অতিমূল্যবান হীরার প্রদর্শন, গ্রাহক সেবা ও প্যাভিলিয়ন তৈরীতে নান্দনিকতা ও শৌল্পিকতার পরিচয় তুলে ধরার কারণে শ্রেষ্ঠ পিমিয়াম প্যাভিলন পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, বীর প্রতীক। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এবং ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অ্যান্ড কমার্স ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আহমেদ বাবু। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ অতিরিক্ত সচিব মো. হাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ইপিবি’র ভাইস-চেয়ারম্যান এএইচএম আহসান।অতিথিদের কাছ থেকে শ্রেষ্ঠ পিমিয়াম প্যাভিলন পুরস্কারের ক্রেস্ট ও সনদ গ্রহণ করেন ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা। এ সময়ে তিনি সকলকে ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড এর পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ জানান। বাণিজ্য মেলায় দেশি-বিদেশি দর্শনার্থীদের নজর কাড়ে ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড এর বিশ্বমানের গহনা, ক্রেতা বান্ধব মূল্যতালিকা ও বিভিন্ন আকর্ষনীয় অফার।

গত ১ জানুয়ারী/২০১৩ খ্রিস্টাব্দে মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশের মুখেই প্যাভিলিয়ন নম্বর ১ এ তৈরীকৃত ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড এর শোরুমের ফিতা কেটে উদ্বোধন করেছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রী, উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই এর প্রেসিডেন্ট জসিম উদ্দিন, সিনিয়র বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি এবং ইপিবি এর ভাইস-চেয়ারম্যান এ.এইচ. এম আহসান ও ইপিবি এর সচিব ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী। উদ্বোধনকালে উপস্থিত সকলেই ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড এর শোরুমের প্রশংসা করেন। অতিথিরা বলেন এ ধরণের একটি প্যাভিলন মেলার সৌন্দর্য্যকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

শিল্প-সংস্কৃতির প্রতি অসম্ভব ভালোবাসা ছিলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের। এ ভালোবাসা থেকেই বঙ্গবন্ধু যখন প্রাদেশিক সরকারের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী ছিলেন তখন ১৯৫৭ সালের ৩ এপ্রিল তার দূরদর্শিতায় চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন প্রতিষ্ঠার বিল আনা হয়। প্রতিষ্ঠিত হয় আজকের বাংলাদেশে চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (এফডিসি)।

সিনেমা অঙ্গনকে ভালোবেসে এদেশের চলচ্চিত্রের উন্নয়নে আমৃত্যু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, তিনি নিজেও সিনেমাতে অভিনয় করেছেন। বঙ্গবন্ধু অভিনীত সিনেমাটির নাম ‘সংগ্রাম’। ছবিটি পরিচালনা করেন প্রয়াত নির্মাতা চাষী নজরুল ইসলাম।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক চলচ্চিত্র ‘সংগ্রাম’। এতে ছোট্ট এক ভূমিকায় হাজির হয়েছিলেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ এই বাঙালি। সে সময়ের চিত্রনায়ক কামরুল আলম খান খসরু ও চাষী নজরুল ইসলামের অনুরোধে ছোট্ট ওই চরিত্রে অভিনয়ে রাজি হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু।

ছবির চিত্রনাট্যের শেষ দিকে ছিল, মুক্তিযুদ্ধের পর সদ্য স্বাধীন দেশের সামরিক বাহিনী বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের নায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে স্যালুট করছে। এই দৃশ্য কীভাবে ধারণ করা যায় সে নিয়ে চিন্তায় পড়েছিলেন পরিচালক চাষী নজরুল ইসলাম। একপ্রকার দুঃসাহস নিয়ে বঙ্গবন্ধুকে ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব দিয়ে বসেন ছবিটির নায়ক খসরু। কিন্তু বঙ্গবন্ধু প্রথমে রাজি হননি। পরে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মান্নানকে দিয়ে সুপারিশ করিয়ে অভিনয়ের জন্য তাকে রাজি করানো হয়।

‘সংগ্রাম’ ছবিটিতে নাযক ছিলেন খসরু আর নায়িকা সূচন্দা। ছবিটি ১৯৭৪ সালে মুক্তি পায়।

বঙ্গবন্ধু যে চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন