টাঙ্গাইলে ফ্রেমে ফ্রেমে আগামী স্বপ্ন’ স্লোগানে চিলড্রেন’স্ ফিল্ম সোসাইটির উদ্যোগে শুরু হচ্ছে ১৫তম আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসব

টাঙ্গাইলে ফ্রেমে ফ্রেমে আগামী স্বপ্ন’ স্লোগানে চিলড্রেন’স্ ফিল্ম সোসাইটির উদ্যোগে শুরু হচ্ছে ১৫তম আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসব

দৈনিক প্রবাহবার্তা অর্ণব আল আমিন, টাঙ্গাইলঃ ‘ফ্রেমে ফ্রেমে আগামী স্বপ্ন’ স্লোগানে চিলড্রেন’স্ ফিল্ম সোসাইটি টাঙ্গাইল-এর উদ্যোগে ও চিলড্রেন’স্ ফিল্ম সোসাইটি বাংলাদেশের পৃষ্ঠপোষকতায় আগামী ২৪ নভেম্বর শুরু হচ্ছে ১৫তম আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসব বাংলাদেশ টাঙ্গাইল পর্ব । এ উপলক্ষে আজ সকালে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন চিলড্রেন’স্ ফিল্ম সোসাইটি টাঙ্গাইলের সভাপতি ও  টাঙ্গাইল উৎসবের পরিচালক মুঈদ হাসান তড়িৎ। সংবাদ সম্মেলনে আয়োজক কমিটির আহবায়ক সাম্য রহমান, যুগ্ম আহবায়ক এনামুল হাসান বক্তব্য রাখেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আগামী ২৪ নভেম্বর সকাল ১১টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে প্রধান অতিথি হিসেবে উৎসব উদ্বোধন করবেন সংসদ সদস্য ছানোয়ার হোসেন। বরেণ্য অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দিন ইউসুফ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন নির্মাতা তানভীর হোসেন প্রবাল, রিয়াজুল রিজু ও ১৫তম আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসব বাংলাদেশের উৎসব পরিচালক শাহরিয়ার আল মামুন। উৎসবে টাঙ্গাইলের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত থাকবেন। উৎসবে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এছাড়াও উৎসব উপলক্ষ্যে প্রকাশিত হয়েছে পোস্টার, লিফলেট , টি-শার্ট ইত্যাদি।
এছাড়া আগামী ২৫ নভেম্বর সিনেম্যাটোগ্রাফি বিষয়ে নির্মাতা এনামুল হাসান ও এ্যানিমেশন বিষয়ে এ্যানিমেশন নির্মাতা শাহরিয়ার আল মামুন কর্মশালা পরিচালনা করবেন। আগামী ২৬ নভেম্বর মোবাইল চলচ্চিত্র নির্মাণ বিষয়ে কর্মশালা পরিচালনা করবেন নির্মাতা রাকা নোশীন নাওয়ার। একই দিন বিকাল ৫টায় উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।
তিনদিনব্যাপী এ চলচ্চিত্র উৎসবে ১৪টি দেশের ২০টি শিশুতোষ চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে।  প্রতিদিন সকাল ১১টা, দুপুর ২টা এবং বিকাল ৫টায় প্রদর্শনী রয়েছে। উৎসবের সকল প্রদর্শনী অভিভাবক, শিশু-কিশোরসহ সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
২৪ নভেম্বর, ২০২২ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় প্রদর্শিত হবে বাংলাদেশী চলচ্চিত্র  কাঁঠাল, ৪৫ মিনিট; শহরটা ঢাকা, ১১ মিনিট; অশ্লেশা, ৬ মিনিট; ফ্রেমড মেমোরিস, মালেশিয়া, ৭ মিনিট । দুপুর ২টায় পাঠশালা, ভারত, ১৯ মিনিট ; ফাইন্ডারস অফ দ্যা লস্ট ইয়ট, ফিনল্যান্ড, ৮৬ মিনিট । বিকাল ৫টায় দীপু নাম্বার টু, বাংলাদেশ, ১৫৪ মিনিট ।
২৫ নভেম্বর, ২০২২ শুক্রবার সকাল ১১টায় প্রদর্শিত হবে দি রিপাবলিক অফ চিলড্রেন, পোল্যান্ড, ৭২ মিনিট ; মেসি, ইরান, ১৪ মিনিট। দুপুর ২টায় সুমো কিড, রাশিয়া, ৮৮ মিনিট ; ক্রিপি, জার্মানি, ৫ মিনিট ; থ্যাংক ইউ ফর ইয়র টিথ, রোমানিয়া, ২ মিনিট। বিকাল ৫টায় আমার বন্ধু রাশেদ,বাংলাদেশ, ৯৬ মিনিট।
২৬ নভেম্বর, ২০২২ শনিবার সকাল ১১টায় প্রদর্শিত হবে জিম বাটন এন্ড দি ওয়াইন্ড ১৩, জার্মানি, ১০৯ মিনিট ; সুমন’স ওডিশি-ভস্ট ইং, ফ্রান্স,২৬ মিনিট। দুপুর ২টায় নেইবোরস,সুইজারল্যান্ড, ৯০ মিনিট ; মেও অর নেভার, ইউকে, ১০ মিনিট ; মাই গ্যান্ডমা মাটিলডি, মেক্সিকো, ১০ মিনিট; মুন ল্যান্ডিং, কোস্টারিকা, ৬ মিনিট । সন্ধ্যা ৬টায় তারে জামিন পার, ভারত, ১৬৪ মিনিট।
উৎসবের সহ-আয়োজক জেলা শিল্পকলা একাডেমি টাঙ্গাইল। এছাড়া উৎসব আয়োজনে সহযোগিতা করেছে বুরো বাংলাদেশ, মেলো, সময় টিভি, ডুগডুগি মিডিয়া, শিশুদের জন্য ফাউন্ডেশন ও স্পটলাইট।
উল্লেখ্য যে গত মার্চ মাসজুড়ে ঢাকাসহ দেশের ৮টি বিভাগে চিলড্রেন’স্ ফিল্ম সোসাইটি বাংলাদেশের  উদ্যোগে আয়োজিত হয় ১৫তম আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসব বাংলাদেশ।  ঢাকা উৎসবে ৩৮টি দেশের ১১৭টি শিশুতোষ চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়।
Please Share This Post in Your Social Media

শিল্প-সংস্কৃতির প্রতি অসম্ভব ভালোবাসা ছিলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের। এ ভালোবাসা থেকেই বঙ্গবন্ধু যখন প্রাদেশিক সরকারের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী ছিলেন তখন ১৯৫৭ সালের ৩ এপ্রিল তার দূরদর্শিতায় চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন প্রতিষ্ঠার বিল আনা হয়। প্রতিষ্ঠিত হয় আজকের বাংলাদেশে চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (এফডিসি)।

সিনেমা অঙ্গনকে ভালোবেসে এদেশের চলচ্চিত্রের উন্নয়নে আমৃত্যু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, তিনি নিজেও সিনেমাতে অভিনয় করেছেন। বঙ্গবন্ধু অভিনীত সিনেমাটির নাম ‘সংগ্রাম’। ছবিটি পরিচালনা করেন প্রয়াত নির্মাতা চাষী নজরুল ইসলাম।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক চলচ্চিত্র ‘সংগ্রাম’। এতে ছোট্ট এক ভূমিকায় হাজির হয়েছিলেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ এই বাঙালি। সে সময়ের চিত্রনায়ক কামরুল আলম খান খসরু ও চাষী নজরুল ইসলামের অনুরোধে ছোট্ট ওই চরিত্রে অভিনয়ে রাজি হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু।

ছবির চিত্রনাট্যের শেষ দিকে ছিল, মুক্তিযুদ্ধের পর সদ্য স্বাধীন দেশের সামরিক বাহিনী বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের নায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে স্যালুট করছে। এই দৃশ্য কীভাবে ধারণ করা যায় সে নিয়ে চিন্তায় পড়েছিলেন পরিচালক চাষী নজরুল ইসলাম। একপ্রকার দুঃসাহস নিয়ে বঙ্গবন্ধুকে ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব দিয়ে বসেন ছবিটির নায়ক খসরু। কিন্তু বঙ্গবন্ধু প্রথমে রাজি হননি। পরে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মান্নানকে দিয়ে সুপারিশ করিয়ে অভিনয়ের জন্য তাকে রাজি করানো হয়।

‘সংগ্রাম’ ছবিটিতে নাযক ছিলেন খসরু আর নায়িকা সূচন্দা। ছবিটি ১৯৭৪ সালে মুক্তি পায়।

বঙ্গবন্ধু যে চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন