জয়পুরহাটে চিত্র-নায়িকা অপু বিশ্বাস ফুটবল মাঠের দর্শকদেরকে নাচে-গানে মাতিয়ে রাখলেন

জয়পুরহাটে চিত্র-নায়িকা অপু বিশ্বাস ফুটবল মাঠের দর্শকদেরকে নাচে-গানে মাতিয়ে রাখলেন

স্টাফ রিপোর্টার এস,এম,মিঠু : নতুন বছরের প্রথম দিন থেকে জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার পুনট ইউনিয়নের চাকলমুয়া গ্রামের মাঠে জেলা ভিত্তিক ফুটবল খেলা শুরু হয়েছে।গ্রামের যুব সমাজের উদ্যোগে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের মোট ১৬ জেলার দল এই ফুটবল খেলায় অংশগ্রহন করেছেন। প্রথম রাউন্ড খেলা শেষ হওয়ার পর কোয়াটার ফাইনাল খেলা শুরু হয়েছে। আয়োজকরা খেলার মাঠে দর্শক জমাতে বিভিন্ন পর্যায়ের নায়ক-নায়িকাদের উপস্থিত করাচ্ছেন। এরই ধারাবিকতায় আজ ১০ জানুয়ারি মঙ্গলবার বিকেলে চাকলমুয়া ফুটবল খেলার মাঠে আয়োজকরা পার্শ্ববর্তী জেলার মেয়ে হিসেবে চিত্র নায়িকা অপু বিশ্বাসকে উপস্থিত করেন। তার আগমনের কথা শুনে এলাকার কয়েক হাজার ভক্ত দুপুর গড়িয়ে বিকেল হওয়ার সাথে সাথে উপস্থিত হন খেলার মাঠে। অপু বিশ্বাস খেলার পূর্বে মঞ্চে উঠে নাচে-গানে মাতিয়ে তোলেন তার কয়েক হাজার ভক্তসহ এলাকাবাসীদের। আয়োজকরা জানান, প্রতি বছর শীত মৌসুমে চাকলমুয়া গ্রামের মাঠে যুব সমাজের উদ্যোগে ছোট পরিসরে ফুটবল খেলার আয়োজন করা হয়। অন্য বছরগুলোতে ছোট পরিসরে খেলা হলেও এবার জেলা ভিত্তিক খেলা শুরু হয়েছে। রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের মোট ১৬ জেলার দল নিয়ে এবারের আয়োজন। নতুন বছরের প্রথম দিন থেকে এই খেলার প্রথম রাউন্ড শুরু হয়। ইতোমধ্যে খেলা কোয়াটার ফাইনালে এসেছে। খেলার মাঠে দর্শক জমাতে আয়োজকরা স্থানীয় পুনট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস ফকিরের সাথে আলোচনা করেন ও তারই পরামর্শে কোয়াটার ফাইনালের প্রথম দিনে অথাৎ আজ মঙ্গলবার বিকেলে বাংলাদেশ চলচিত্রের নায়িকা বগুড়ার মেয়ে অপু বিশ্বাসকে খেলার মাঠে আমন্ত্রিত করার মাধ্যমে উপস্থিত করেন। খেলার মাঠে নায়িকা অপু বিশ্বাসের উপস্থিত হওয়ার বিষয়ে এলাকায় আগে থেকেই মাইকিং করা হয়। আর সে কারনেই দুপুর গড়িয়ে বিকাল হওয়ার সাথে সাথে চাকলমুয়া ফুটবল খেলার মাঠ অপু বিশ্বাসের ভক্ত, ফুটবলপ্রেমী ও দর্শকদের উপস্থিতিতে জমজমাট হয়ে ওঠে। খেলা শুরুর পূর্বে অপু বিশ্বাস ওঠেন মঞ্চে। প্রায় ঘন্টা খানেক ধরে তিঁনি নাচে-গানে মাতিয়ে তোলেন ভক্ত, ফুটবলপ্রেমী ও দর্শকদের। এরপর খেলার মাঠে নামেন সিরাজগঞ্জ জেলা দল বনাম পাবনা জেলা দল। কালাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিনফুজুর রহমান মিলন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ফজলুর রহমান, কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মঈনুদ্দী, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণসহ জেলার সকল গণমাধ্যম কর্মীরা এ মাঠে উপস্থিত ছিলেন। খেলার আয়োজক ইউপি সদস্য জ্বনাব আফজাল হোসেন বলেন, একজন নায়িকার উপস্থিতিতে ফুটবল খেলার মাঠে এত মানুষ উপস্থিত হবে এটা ভাবতেও পারিনি। দর্শক ধরে রাখতে ফাইনালের দিন পর্যন্ত বিভিন্ন পর্যায়ের নায়ক-নায়িকারা উপস্থিত থাকবেন। আমি আশাবাদী আগামীতে এর প্রসার আরও ঘটবে।

Please Share This Post in Your Social Media

শিল্প-সংস্কৃতির প্রতি অসম্ভব ভালোবাসা ছিলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের। এ ভালোবাসা থেকেই বঙ্গবন্ধু যখন প্রাদেশিক সরকারের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী ছিলেন তখন ১৯৫৭ সালের ৩ এপ্রিল তার দূরদর্শিতায় চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন প্রতিষ্ঠার বিল আনা হয়। প্রতিষ্ঠিত হয় আজকের বাংলাদেশে চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (এফডিসি)।

সিনেমা অঙ্গনকে ভালোবেসে এদেশের চলচ্চিত্রের উন্নয়নে আমৃত্যু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, তিনি নিজেও সিনেমাতে অভিনয় করেছেন। বঙ্গবন্ধু অভিনীত সিনেমাটির নাম ‘সংগ্রাম’। ছবিটি পরিচালনা করেন প্রয়াত নির্মাতা চাষী নজরুল ইসলাম।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক চলচ্চিত্র ‘সংগ্রাম’। এতে ছোট্ট এক ভূমিকায় হাজির হয়েছিলেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ এই বাঙালি। সে সময়ের চিত্রনায়ক কামরুল আলম খান খসরু ও চাষী নজরুল ইসলামের অনুরোধে ছোট্ট ওই চরিত্রে অভিনয়ে রাজি হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু।

ছবির চিত্রনাট্যের শেষ দিকে ছিল, মুক্তিযুদ্ধের পর সদ্য স্বাধীন দেশের সামরিক বাহিনী বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের নায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে স্যালুট করছে। এই দৃশ্য কীভাবে ধারণ করা যায় সে নিয়ে চিন্তায় পড়েছিলেন পরিচালক চাষী নজরুল ইসলাম। একপ্রকার দুঃসাহস নিয়ে বঙ্গবন্ধুকে ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব দিয়ে বসেন ছবিটির নায়ক খসরু। কিন্তু বঙ্গবন্ধু প্রথমে রাজি হননি। পরে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মান্নানকে দিয়ে সুপারিশ করিয়ে অভিনয়ের জন্য তাকে রাজি করানো হয়।

‘সংগ্রাম’ ছবিটিতে নাযক ছিলেন খসরু আর নায়িকা সূচন্দা। ছবিটি ১৯৭৪ সালে মুক্তি পায়।

বঙ্গবন্ধু যে চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন