চট্টগ্রাম বিজ্ঞান কলেজের আসল ঠিকানা কোনটি

চট্টগ্রাম বিজ্ঞান কলেজের আসল ঠিকানা কোনটি

দৈনিক প্রবাহবার্তা চট্টগ্রাম প্রতিনিধি :  কখনো চকবাজার মতি টাওয়ার, কখনো চক মালঞ্চ। কলেজ একটি কিন্তু ঠিকানা অনেক। আবার নিজেদের ফেসবুক পেজে ঠিকানা দেয়া চকবাজার কলেজ রোড। বলছিলাম বেসরকারি পর্যায়ে নিজেদের সেরা কলেজ দাবি করা চট্টগ্রাম বিজ্ঞান কলেজের কথা। চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড স্থায়ী ক্যাম্পাসে কলেজগুলোকে পাঠদানের নির্দেশনা দিলেও সে নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে কলেজটি। এসব বিজ্ঞাপন দেখিয়ে নতুন বছরে উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের ভর্তির ক্ষেত্রে প্রলুব্ধ করছে তারা সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বর্তমানে চট্টেশ্বরী রোডের মুক্তি ভবনের তিনটি ফ্লোর ভাড়া নিয়ে কার্যক্রম চালাচ্ছে কলেজটি। একই ঠিকানায় একই ব্যক্তির মালিকানাধীন চট্টগ্রাম কমার্স কলেজ নামের আরো একটি কলেজের কার্যক্রম চলছে। ছোট ছোট কক্ষে ঘিঞ্জি পরিবেশে চলছে পাঠদান। এছাড়া ভবনটির বিভিন্ন তলায় রয়েছে বেশ কয়েকটি খাবারের দোকান, সেলুন, কোচিং সেন্টারসহ বেশ কয়েকটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের কার্যালয়। বাইরে থেকে দেখে বোঝার উপায় নেই এই ভবনেই একই সাথে চলছে দুটি কলেজের কার্যক্রম বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বিজ্ঞান কলেজের অধ্যক্ষ জাহেদ খান জানান, খুব শীঘ্রই তারা নিজস্ব ভবনে যাবেন। তবে প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ সময় পেরোলেও এখন পর্যন্ত এসব আশার বাণীর বিপরীতে,কবে এ কলেজের শিক্ষার্থীরা স্থায়ী ভবনে যাবেন সে বিষয়ে নেই কোন সুস্পষ্ট বক্তব্য। এদিকে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক জাহেদুল হক বলেন, স্থায়ী ভবনে পাঠদান না করালে সংশ্লিষ্ট কলেজগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে বোর্ডের এসব নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ব্যাঙের ছাতার মত বাণিজ্যিক ভবনে গড়ে ওঠা এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার মান নিয়েও জনমনে উঠেছে প্রশ্ন,শিক্ষার পরিবেশ কতটা উন্নত তা নিশ্চিত করে বলা না গেলেও নির্বিঘ্নে চলছে ভর্তি বাণিজ্য। বিজ্ঞান কলেজ ও এর সংশ্লিষ্টদের আরো অসংগতি নিয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন থাকছে ২য় পর্বে।

Please Share This Post in Your Social Media

শিল্প-সংস্কৃতির প্রতি অসম্ভব ভালোবাসা ছিলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের। এ ভালোবাসা থেকেই বঙ্গবন্ধু যখন প্রাদেশিক সরকারের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী ছিলেন তখন ১৯৫৭ সালের ৩ এপ্রিল তার দূরদর্শিতায় চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন প্রতিষ্ঠার বিল আনা হয়। প্রতিষ্ঠিত হয় আজকের বাংলাদেশে চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (এফডিসি)।

সিনেমা অঙ্গনকে ভালোবেসে এদেশের চলচ্চিত্রের উন্নয়নে আমৃত্যু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, তিনি নিজেও সিনেমাতে অভিনয় করেছেন। বঙ্গবন্ধু অভিনীত সিনেমাটির নাম ‘সংগ্রাম’। ছবিটি পরিচালনা করেন প্রয়াত নির্মাতা চাষী নজরুল ইসলাম।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক চলচ্চিত্র ‘সংগ্রাম’। এতে ছোট্ট এক ভূমিকায় হাজির হয়েছিলেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ এই বাঙালি। সে সময়ের চিত্রনায়ক কামরুল আলম খান খসরু ও চাষী নজরুল ইসলামের অনুরোধে ছোট্ট ওই চরিত্রে অভিনয়ে রাজি হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু।

ছবির চিত্রনাট্যের শেষ দিকে ছিল, মুক্তিযুদ্ধের পর সদ্য স্বাধীন দেশের সামরিক বাহিনী বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের নায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে স্যালুট করছে। এই দৃশ্য কীভাবে ধারণ করা যায় সে নিয়ে চিন্তায় পড়েছিলেন পরিচালক চাষী নজরুল ইসলাম। একপ্রকার দুঃসাহস নিয়ে বঙ্গবন্ধুকে ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব দিয়ে বসেন ছবিটির নায়ক খসরু। কিন্তু বঙ্গবন্ধু প্রথমে রাজি হননি। পরে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মান্নানকে দিয়ে সুপারিশ করিয়ে অভিনয়ের জন্য তাকে রাজি করানো হয়।

‘সংগ্রাম’ ছবিটিতে নাযক ছিলেন খসরু আর নায়িকা সূচন্দা। ছবিটি ১৯৭৪ সালে মুক্তি পায়।

বঙ্গবন্ধু যে চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন